পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখায় ৮ম শ্রেণির ছাত্রীদের ওড়না খুলে ক্লাসে ঢুকতে বাধ্য করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রুবিনা সুলতানা। তার ক্লাসে কোন ছাত্রী ওড়না দিয়ে বুক ঢেকে রাখতে পারবে না এবং বোরকা পরতে পারবে না বলেও সতর্ক করে দেন। ছাত্রীদের ওপর অমানসিক এই নির্যাতনের পর কেউ প্রতিবাদ করলে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে গত ১৯ ও ২০ ফেব্রæয়ারি দৈনিক ইনকিলাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। অনেক অভিভাবক ইনকিলাব অফিসে ফোন করে ওই শিক্ষকের এমন কর্মকাÐকে ঘৃণ্য ও বিকৃত মানসিকতার উল্লেখ করে শাস্তির দাবি জানায়। কেউ কেউ দাবি করে বলেন, ছাত্রীদের যেভাবে তিনি ওড়না ছাড়া পোষাক পরতে বাধ্য করছেন একই রকম পোষাকে তাকেও স্কুলে আসতে বাধ্য করা হোক।
এদিকে ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রুবিনা সুলতানাকে শোকজ (কারণ দর্শানো) নেটিশ দিয়েছেন আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল শাহান আরা বেগম। তিনি বলেন, আমি রুবিনা সুলতানাকে শোকজ নোটিশ দিয়েছি। কি কারণে করেছি সেটি বলতে চাই না। তবে বনশ্রী শাখার এক শিক্ষক জানান, ওড়না খুলে নেয়ার বিষয়টি যেভাবে ইনকিলাব পত্রিকায় তুলে ধরা হয়েছে এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে অভিভাবকসহ সর্বমহলে নেতিবাচক অবস্থান তৈরি হয়েছে। অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভেরও সঞ্চার হয়েছে। এজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে শোকজ করেছে।
বৃহস্পতিবার ওড়না খুলেননি রুবিনা: গত মঙ্গলবার বনশ্রী শাখায় ৮ম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাসে যেসব ছাত্রী ওড়না পরে উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের ওড়না খুলে নিয়ে টেবিলের ওপর রেখে দেন রুবিনা সুলতানা। ওই ক্লাসের ছাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, তিনি ছাত্রীদের বলেছেন ওড়না পরতে চাইলে মাথা ও ঘাড়ের মধ্যে জড়িয়ে রাখতে হবে কোনভাবেই কাধের নিচে ও বুকে তা রাখা যাবে না। এছাড়া ওই ক্লাসে বোরকা পরে আসা তিন ছাত্রীকে তিনি বোরকা ছাড়া ক্লাসে আসার নির্দেশ দেন। অন্যত্থায় ক্লাসে প্রবেশ করতে দেবেন না বলেও সতর্ক করেন। পরের দিন বুধবারও একই রকম কাজ করেন তিনি। যারা ওড়না পরে স্কুলে আসেন তাদের ওড়না খুলে তারপর ক্লাসে প্রবেশ করতে দেন। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকের ক্লাসে আর এধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে ছাত্রীরা জানান। এদিন যারা ওড়না পরে গিয়েছিলেন তারা স্বাভাবিকভাবেই ক্লাস করতে পেরেছেন। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।