বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শবে বরাত-৩
সুনানে ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে : হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
ফজরের নামাজ আদায় করার প্রশ্নে আমাদের অনেককেই বিভিন্ন সমস্যায় পেয়ে বসে। অথচ যথাসময়ে ফজরের নামাজ আদায় না করলে কি শাস্তি হবে সে সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছে- হজরত আবু যুহাইর উমারাহ রুওয়াইবা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বের নামাজ (ফজর) ও সূর্যাস্তের পূর্বের নামাজ (আসর) আদায় করবে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।’ [মুসলিম, হাদিস নং: ১০৪৯]
নিম্নে ফজরের নামাজ আদায়ে সহায়ক ৫টি পরামর্শ তুলে ধরা হলো-
১. ফজরে উঠতে দৃঢ় ইচ্ছা যদি আপনি করেন, তবে কখনোই রাত জাগবেন না। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন, যাতে একদিকে আপনার ঘুমও পূর্ণ হয়, অন্যদিকে যথাসময়ে ফজরের জন্য উঠতেও পারেন। রাসূল (সা.) এশার নামাজের পরপরই ঘুমাতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিজ্ঞানও এই অভ্যাসের যথার্থতার প্রমাণ প্রকাশ করেছে।
২. বিছানায় যাওয়ার আগে অজু করে নিন। যদি আপনি পবিত্র অবস্থায় ঘুমাতে যান, তবে ফেরেশতারা আপনার ঘুম থেকে জাগার আগ পর্যন্ত আপনার জন্য দোয়া করতে থাকবে।
৩. রাসূল (সা.) ঘুমানোর সময় ডান কাত হয়ে, ডান হাতকে ডান গালের নিচে রেখে ঘুমাতেন। রাসূল (সা.)-এর অনুকরণে ঘুমের জন্য শোয়ার এই অবস্থা একদিকে যেমন ঘুমের জন্য সহায়ক, অন্যদিকে ফজরে যথাসময়ে ঘুম থেকে ওঠার জন্যও কার্যকর।
৪. আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে বেশি বেশি দোয়া করুন, যাতে আল্লাহ আপনাকে যথাসময়ে ফজরের নামাজ আদায়ে সামর্থ্য দান করেন। আল্লাহর কাছে যদি আপনি আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করতে পারেন, তবে আল্লাহও আপনার প্রার্থনাকে কবুল করবেন।
৫. বিছানায় যাওয়ার সময় কিছু কোরআনের আয়াত তিলাওয়াত করে নিন। বিশেষ করে সূরা সাজদাহ, সূরা মুলক, সূরা ইসরা, সূরা যুমার, সূরা কাহফের শেষ চার আয়াত, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ইত্যাদি এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।