পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষে প্রস্তাবিত শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া দু’টি সংস্থাকে একীভূত করতে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২০-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশ্ব-সংস্কৃতির সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির মেলবন্ধন জোরদার করার লক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক চুক্তি সম্পাদন ও এর আওতায় সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ প্রক্রিয়ায় এরই মধ্যে মোট ৪৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরিত সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তিটির মূললক্ষ্য ও বৈশিষ্ট্যগুলো হলো- দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক কৃষ্টি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ, দু’দেশের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের মাধ্যমে শৈল্পিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে উভয় দেশের জনগণের জ্ঞান ও সচেতনতা অর্জন, সভা ও সেমিনার প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে উভয় দেশের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি, চারুকলা, শিল্পকলা, শিল্প সংস্কৃতি ও সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে উভয় দেশের সংস্কৃতি সমৃদ্ধকরণ, প্রকাশনা, গবেষণা ও তথ্য দেয়া-নেয়ার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ, সামগ্রিকভাবে সংস্কৃতি, শিল্পকলা এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে দু’দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষার সুযোগ সৃষ্টি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি সইয়ের জন্য গ্রিস সরকারের পক্ষ হতে পাঠানো খসড়ার ওপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর অনাপত্তিসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ২০১২ সালের ১৩ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গ্রিস সরকারের কাছে খসড়া চুক্তিটি পাঠানো হয়। গ্রিস সরকারের পক্ষ হতে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর খসড়ায় কতিপয় অনুচ্ছেদে কিছু শব্দ ও বাক্য সংযোজন করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ও গ্রিস সরকারের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করা হয়। চুক্তিটি সই হলে বাংলাদেশ ও গ্রিস সরকারের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম সম্পাদিত হবে। আগের চুক্তির ধারাবাহিকতায় এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে উভয় দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা স¤প্রসারিত হবে। চুক্তির বিষয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মতামত নেয়া হয়।
কোনও পক্ষ চুক্তিটি বাতিল করতে চাইলে ৬ মাস আগে লিখিতভাবে ক‚টনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। এ চুক্তির বিষয়বস্তু বন্ধুপ্রতীম অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পাদিত সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তির অনুরূপ হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একীভ‚ত হচ্ছে শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। দু’টি সংস্থাকে একীভ‚ত করতে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২০-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালে শের-ই-বাংলা নগরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন ও সীমিতভাবে দরিদ্র রোগাক্রান্ত শিশুদের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হতো। পরবর্তী সময়ে শিশুদের সার্বিক চিকিৎসার জন্য এটি একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একীভ‚ত করে ২১টি ধারা সম্বলিত বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউটের সুষ্ঠু পরিচালনা ও প্রশাসন সার্বিকভাবে একটি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের ওপর ন্যস্ত থাকবে। সরকারের একজন চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্যের ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠিত হবে। বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মনোনীত সদস্যরা তাদের মনোনয়নের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য বহাল থাকবেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, একটি আইনের মাধ্যমে ঢাকা শিশু হাসপাতাল পরিচালিত হলে সর্বস্তরের শিশুদের উন্নত চিকিৎসাসেবা দেয়ার মাধ্যমে একটি সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে হাসপাতালটি বলিষ্ঠ ভ‚মিকা পালন করবে আশা করা যায়। এছাড়া ৩টি বিষয় মন্ত্রিসভায় অবহিত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।