পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী চলবে জনশুমারি ও গৃহগণনা। আগের বছরগুলোতে আমাদের গণনা নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও এবারের জনশুমারি ও গৃহগণনায় কোন প্রশ্নের সুযোগ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ঢাকা বিভাগের জনশুমারি ও গৃহগণনা উপলক্ষে বিভিন্ন জেলার প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এক সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিসংখ্যান নিয়ে অনেক মহলে হাসাহাসি হত। এখন আর সেই দিন নেই। এবারের পরিসংখ্যানের পর এ ধরনের মন্তব্য করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক আজকাল তাদের ডকুমেন্টে আমাদের পরিসংখ্যান ব্যবহার করে। সোর্স হিসেবে উল্লেখ করে বিবিএস, বাংলাদেশ। আমরা এখন গর্ববোধ করি। অনেক মহল আগে এটা নিয়ে হাসাহাসি করত। কিন্তু এখন সেই দিন নাই। আমরা উত্তরোত্তর আরও ভালো করব।
‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ প্রকল্পের আওতায় এ শুমারি পরিচালিত হচ্ছে। এর বাস্তবায়ন করছে বিবিএস। এতে খরচ হচ্ছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ১ হাজার ৫৭৮ কোটি ৬৮ লাখ এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ১৮৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।
এমন এ মান্নান বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জিনিস আমরা ক্রয় করব। ক্রয় সম্পর্কে আমাদের জনগণের প্রচ- আগ্রহ আছে। এটা খুব ভালো। তারা জানতে চায়, আমরা কোথায় কী কিনছি, কত টাকায় কিনছি, কেন কিনছি, এর চেয়ে আরও কম দামে বাজারে ছিল কিনা। ক্রয়ের ব্যাপারে আমরা সাবধানতা অবলম্বন করব।
তিনি বলেন, আগের তুলনায় চারগুণ সম্মানী দেয়া হবে মাঠপর্যায়ের তথ্যগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের। এ সম্মানী দ্রুত প্রদান করতে হবে। আমি সচিব ও প্রকল্প পরিচালককে এ টাকা দ্রুত প্রদানের অনুরোধ করব।
প্রকল্পে অর্থ খরচের বিষয়টি নিজে তদারকি করবেন বলেও জানান মন্ত্রী এম এ মান্নান। এই শুমারির কাজ ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী স্মরণীয় করে রাখতে বিবিএস ২০২১ সালের ১৭ মার্চ রাত ১২ থেকে শুমারি মুহূর্ত ধরে পরবর্তী সাত দিন জনশুমারি ও গৃহগণনার জন্য মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
বিদেশে অবস্থানরত প্রায় ১ কোটির মতো প্রবাসীদের গণনার আওতায় আনা হবে। এছাড়া বাংলাদেশে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থানকারি বিদেশিদেরও গণনা করা হবে। এসডিজি অভীষ্টের ১৬টি সূচকের তথ্য সরাসরি এবং ৯৭টি সূচকের ডিনোমিনেটর এই শুমারি হতে পাওয়া যাবে। তাছাড়া শুমারি পর্যন্ত আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক জরিপের মাধ্যমে বিশদ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে।
মূল প্রবন্ধে জনশুমারি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল হক সরদার জানান, ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয় আদমশুমারি। আগামী ২০২১ সালে হবে ষষ্ঠবারের মতো জনশুমারি ও গৃহগণনা। ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান আইন অনুযায়ী একে এখন আর আদম শুমারি বলা হবে না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও বিবিএস’র মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল হক সরদার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।