বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রতিবাদের মুখে ১৫ দিনের জন্য স্থগিত হলো নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান। তবে অভিযান স্থগিত থাকলেও চলমান থাকবে জরিমানা ও স্থাপনায় তালা দেয়া।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় রেলওয়ে জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও ১২৯ নম্বর রেলওয়ের পরিত্যক্ত বাংলোতে বসবাসকারীদের বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও শহরের হাওয়ালদারপাড়া এলাকায় রেলওয়ে জমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাসা-বাড়ি ও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে কয়েক হাজার হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তবে মোট কতজনের কাছ থেকে কত টাকা জরিমানা আদায় করা হয় তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে বিভাগীয় ভ‚-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান শহরের হাওয়ালদারপাড়া এলাকায় রেলওয়ে জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ রাজস্ব হিসেবে আদায় করা হয়েছে বলে জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সৈয়দপুর শহরের হাওয়ালদারপাড়ায় এলাকায় রেলওয়ে জমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা কথা ছিল। অবশ্য এর আগে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী ১০৩ জনকে নোটিশ প্রদান করা হয়। এছাড়াও রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা পাকা অবকাঠামোগুলো চিহিৃত করে লাল রঙ দিয়ে ক্রস চিহ্ন দেয়া হয়। সেই সঙ্গে রেলওয়ে ভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা অবকাঠামো সরিয়ে নিয়ে কয়েক দফা মাইকিং করা হয়। এতে করে গত কয়েকদিন যাবৎ শহরের হাওয়ালদারপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চরম উচ্ছেদ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে র্যাব, সৈয়দপুর থানা পুলিশ ও রেলওয়ে থানা পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর (আরবিএন), আইডব্লিউ, পিডব্লিউ বিভাগের সমন্বয়ে একটি দল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে শহরের হাওয়ালদারপাড়া আসেন। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা না করে তা আগামী ১৫ দিনের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। রেলওয়ের জমিতে বসবাসকারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ দিনের জন্য উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এতে করে রেলওয়ে ভূমিতে বসবাসকারী মানুষজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।