পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রয়াত কবি আল-মাহমুদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে তার অপ্রকাশিত ৫টি পান্ডুলিপি নিয়ে বই। ফলে সোনালি কাবিনের কবি আরও কখনো বইমেলায় আসতে না পারলেও বইপ্রেমিরা তার লেখা পড়ার সুযোগ পাবে। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি গত হয়েছেন। কর্ম তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে পাঠকের মনে।
কবির প্রথম শাহাদাত বার্ষিকীকে সামনে রেখে নতুন পাঁচটি বই আনছে সরলরেখা প্রকাশনী। সরলরেখার পরিচালক কবি নাজমুস সায়াদাত গণমাধ্যমকে জানান, কবির অপ্রকাশিত পাঁচটি পাণ্ডুলিপি আমরা পেয়েছি। ইতোমধ্যে সহোদরা ও রাগিণী নামে ক্ষুদ্রায়তনের দুটি উপন্যাস পাঠকের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে, প্রকাশিত হয়ে। এছাড়া তাঁর মহাকাব্য এ গল্পের শেষ নেই শুরুও ছিল না, নতুন কাব্যগ্রন্থ ইতিহাস দেখো বাঁক ঘুরে গেছে ফের ইতিহাসে এবং ছড়ার বই আমার নামে ডাকছে পাখি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
শেষ তিনটি বইয়ের গ্রন্থনা ও সম্পাদনা করেছেন কবি আবিদ আজম। তিনি বলেন, প্রাণের ফেব্রুয়ারিতে আনন্দের ভেতর যে আকস্মিক এমন কঠিন শোক উপস্থিত হতে পারে, আমি কি তা কখনো কল্পনা করেছি? গত বছরের বইমেলার এ দিনগুলোতে আমি যখন কিংবদন্তির একাধিক বই প্রকাশের চেষ্টায় ব্যস্ত; ঠিক তখনই লোক থেকে লোকান্তরে চলে গেলেন ভাষার জন্য ফেরার হওয়া কবি। তিনি আরও বলেন, কিছু প্রকাশকের অসহায়তায় কবি আর নতুন বইয়ের পালক-মোড়ক ছুঁতে পারেননি, শেষবারের মতো। আর কখনো বাংলার মাটিতে, বইমেলাতে ফিরবেন না বাংলা সাহিত্যের সর্বব্যাপ্ত অধীশ্বর আল মাহমুদ। নতুন লেখার জন্য আমার আর তাঁকে জ্বালানোও হবে না কোনদিন। তবুও মুক্তিযুদ্ধের এই মহত্তম প্রাণের স্মৃতির সৌরভ ছড়িয়ে দিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখছি না।
কবির প্রকাশিত নতুন বইগুলো সরলরেখা প্রকাশনা সংস্থার ৬১৮ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে। নিজের কালজয়ী সব কীর্তির ভেতর সৌরভ ছড়াতে থাকবেন কবি। আল মাহমুদ প্রাণহীন হলেও সবচেয়ে বেশি এখনো তিনি ছড়িয়ে আছেন প্রাণে প্রাণে। হৃদয়ের গভীর থেকে গভীরে।
বিক্রি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আমার দেখা নয়া চীন: মেলার প্রথমদিন থেকেই পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বঙ্গবন্ধুর আমার দেখা নয়া চীন। মেলার প্রথম ১০ দিনেই প্রায় ২০ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। বিক্রয়কর্মীরা জানান, মেলার শুরু থেকেই আমার দেখা নয়া চীন বইয়ের প্রতি পাঠকদের অন্যরকম আগ্রহ দেখা গেছে। এবার বইটি ১ লাখ ২০ হাজার কপি বিক্রির একটি টার্গেট নেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমির একটি স্টলের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, আমার দেখা নয়া চীন বইটির বেশ চাহিদা রয়েছে। আজ আমরা নতুন করে ২০টি বই নিয়ে এসেছিলাম। সবগুলো বিক্রি হয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।