Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনে করোনাভাইরাসের প্রভাব

সিরামিক ও পাট খাতের ক্রয়াদেশ আসছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাড়তে পারে বাংলাদেশের রফতানি। এরই মধ্যে ক্রেতারা বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। জার্মানির ফ্রাংকফুর্টে আয়োজিত অ্যাম্বিয়েন্তে শীর্ষক প্রদর্শনীর দর্শনার্থী-ক্রেতা প্রতিনিধিদের প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এমন প্রত্যাশা জানিয়েছে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের ৩৪টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে সিরামিক ও পাট খাতের প্রতিষ্ঠানও। তারা বলছে, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত পশ্চিমা ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা। ফলে চীন থেকে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছেন তারা।

প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া সিরামিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে প্যারাগন সিরামিক, শাইনপুকুর, পিপলস সিরামিক, মুন্নু সিরামিক ও ফার সিরামিকস। পাট খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে প্রকৃতি, সৈয়দপুর এন্টারপ্রাইজ, আর্টিসান হাউজ, এসিক্স বিডি, অরণ্য ক্র্যাফটস, ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড, বিডি ক্রিয়েশন, ঊষা হান্ডিক্র্যাফটস ও আস্ক হ্যান্ডিক্র্যাফটস।

শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার (ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং) মো. ছালেক মিয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ক্রেতারা চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি নিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত। এ মনোভাব বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের সম্ভাবনা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান লিভিস চীনের সঙ্গে যেমন কাজ করে, তেমনি বাংলাদেশের শাইনপুকুরের সঙ্গেও কাজ করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনে অর্ডার দেয়ার কথা থাকলেও তারা এখন তা বাংলাদেশে দিচ্ছে। একই রকম ঘটনা আরো দুই-তিনটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। প্যারাগন সিরামিকের ম্যানেজার (ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং) মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, এসব মেলায় সাধারণত বিদ্যমান ও নতুন এ দুই ধরনের ক্রেতাই আসেন। এবার নতুনদের আনাগোনা শূন্য। বিদ্যমান ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও তাদের জন্য এখানে আসার প্রয়োজন ছিল না।
ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল করিম মুন্না বলেন, চীনের এ সংকট খুবই বেদনাদায়ক। কিন্তু আমাদের জন্য বড় ধরনের সম্ভাবনা। গতকাল সকালে এক ক্রেতা অর্ডার নিশ্চিত করেছেন। আগামী তিন-চার মাসের জন্য ওই ক্রেতা চীনে যাবেন না। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। পোশাকসহ অন্য খাতের জন্য হয়তো সংকট তৈরি হবে। কারণ সেগুলোর কাঁচামালের ক্ষেত্রে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে, যা পাটজাত পণ্যের ক্ষেত্রে নেই। কাজেই আমাদের জন্য এটা অনেক বড় সম্ভাবনা, যেটা আমাদেরকে কাজে লাগাতে হবে।
জার্মানির বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অনেক ক্রেতা ফ্রাংকফুর্ট এলেও হোটেলেই অবস্থান করছেন। লোকসমাগম এড়িয়ে চলতে তারা মেলায় আসছেন না। তার পরও এ পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক। কারণ যারাই আসছেন, তারা বাংলাদেশে পণ্য প্রস্তুতকারকদের নিয়ে আগ্রহী।

জার্মানিতে সফররত বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ অংশ নেয়ায় যে সাড়া পাওয়া গেছে, তা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। চীনের বিষয়টি নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য ইতিবাচক।



 

Show all comments
  • MD Monir ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৩৬ এএম says : 0
    চিন চেয়েছিলো কুরআনে পরিবর্তন আনতে,কিন্তু আল্লাহ পুরো চিন'কে পরিবর্তন করে দিলেন,,চিন নারীদের হিজাব নিষিদ্ধ করেছিলো কিন্তু বর্তমানে তারা নারী পুরুষ উভয়ে মুখ ঢেকে ছাড়া বাইরে বাহির হতে পারেনা। কাফের'রা চক্রান্ত করেছিলো আল্লাহ'ও কৌশল করেছিলো নিশ্চয় আল্লাহ কৌশল কারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কৌশলি।
    Total Reply(0) Reply
  • Rashed Shahriar ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৩৭ এএম says : 0
    যে নামে দিক না কেন, এটা হচ্ছে করোনাভাইরাস। চায়নার হুবে প্রদেশের ওহান শহর থেকে উৎপত্তি! এটা কেউ ভুলতে পারবেনা, আর চায়না দের যে খাদ্যভ্যাস তার ফলস্বরূপ এরকম হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। তারা ধর্ম বিশ্বাস করে না মেনে নিলাম, কিন্তু মানব সভ্যতার এই প্রান্তে এরকম অসভ্য খাদ্যভ্যাস কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ মামূনুল হক ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৩৭ এএম says : 0
    চীন মুলমানদের উপর যে নির্যাতন করছে এবং কোরআন বানানোর যে দুঃসাহসীকতা করেছে তার প্রতিফলে আল্লাহ গজব দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। সুতরাং তাদের উচিত মুসলমানদেরকে মুক্তি দিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রাথনা করে মসলমান হয়ে যাওয়া। আল্লাহ চায়তো তাদেরকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি দিবে
    Total Reply(0) Reply
  • Md Mizanur Rahman Miza ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৩৮ এএম says : 0
    নাম চেঞ্জ করলেই কি চিরতরে করোনাভাইরাস নির্মূল হয়ে যাবে? সেটা কি আদৌ সম্ভব যে বাইরাস স্বয়ং আল্লাহ তাআলা গজব হিসেবে প্রেরণ করেছেন চীনের উপরে এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে হলে চীনে গনো তওবার আয়োজন করা উচিত। তাহলে হয়ত আল্লাহ চিরতরে করোনাভাইরাস থেকে আমাদের সবাইকে মুক্তি দিতে পারে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ