পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ হয়ে হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েন তার বোন সেলিমা ইসলাম। প্রিয় নেত্রীর এমন অসুস্থাবস্থায় এখন তার জীবন রক্ষা করাকেই মুখ্য বলে মনে করছে তার দল বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের কাছে, জনগণের কাছে এখন মুখ্য বিষয়টা হচ্ছে যে, ম্যাডামের জীবনকে রক্ষা করা। কারণ এরা খুব সুপরিকল্পিতভাবে ম্যাডামকে হত্যার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাকে মুক্ত করতে চাই, তার জীবনকে বাঁচাতে চাই, তাকে সুস্থ করে জনগণের মধ্যে নিয়ে আসতে চাই। আমরা জনগণের কাছে যাচ্ছি, তাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা দেশনেত্রীকে মুক্ত করার চেষ্টা করব- এখন রাজনৈতিক দল হিসেবে এটাই আমাদের কাজ।
বুধবার দুপরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য পরিবার কি আবেদন করেছেন জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা সম্পর্কে আমরা ঠিক বলতে পারব না। কারণ এটা আমরা করিনি। তার পরিবার থেকে প্যারোলের আবেদন করা হয়েছে কিনা সেটাও আমাদের জানা নেই।
তিনি বলেন, আমরা তার (খালেদা জিয়া) মুক্তির জন্য আইনের সবগুলো বিষয় চেষ্টা করেছি, এখনো করে যাচ্ছি আইনগতভাবে। আমরা তো সব সময় দাবি জানাচ্ছি, আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমেও জানাচ্ছি, আমরা হোম মিনিস্টারের সঙ্গে কথা বলেছি, পার্লামেন্টেও জানানো হয়েছে। এখন পুরো বিষয়টাই সরকারের হাতে। দ্য বল ইজ ইন দেয়ার কোর্ট। খালেদা জিয়াকে ‘শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে জামিন না দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা একটা জিনিস খুব স্পষ্ট করে বলেছি যে, এটা আইনের বিষয় নয়। তাকে বেআইনিভাবে আটক করে রাখা হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। সুতরাং সিদ্ধান্তটা রাজনৈতিক হতে হবে, অর্থাৎ দখলদার সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে- দেশনেত্রীকে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটক করে রাখবেন, না সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, পরিবেশ তৈরি করার জন্য তাকে আপনারা মুক্তি দেবেন।
১৫ ফেব্রæয়ারি বিক্ষোভ: খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের অংশ হিসেবে শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে মিছিল হবে বেলা ২টায়। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হবে মিছিলটি।
সবাইকে ১৫ ফেব্রæয়ারির বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়ার আহŸান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে, এই ধরনের অন্যায়, এই ধরনের বেআইনি কাজ, এই ধরনের রাজনীতিকে ধবংস করে দেওয়ার যে কৌশল- সেগুলোকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য সামনে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের সম্মিলিত ঐক্যের মধ্য দিয়ে, তাদের সোচ্চার হওয়ার মধ্য দিয়েই এ ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন-অন্যায়কে আমরা পরাজিত করতে সক্ষম হব বলে আমি বিশ্বাস করি।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, ঢাকা জেলার দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, খন্দকার আবু আশফাক, নারায়ণগঞ্জ এটিএম কামাল, মামুন মাহমুদ, খন্দকার আবু জাফর, গাজীপুরের ছাইয়েদুল আলম বাবুল, শওকত হোসেন সরকার, সোহরাবউদ্দিন, মজিবুর রহমান, মানিকগঞ্জের জামিলুর রশীদ খান, এসএ জিন্নাহ কবির, টাঙ্গাইলের সাইদুল হক ছাদু, ফরহাদ রেজা, হান্নান মিয়া হান্নু, মুন্সিগঞ্জের কামরুজ্জামান রতন।
অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে মহানগরের আহসানউল্লাহ হাসান, এবিএম আবদুর রাজ্জাক মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুর রহিম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।