পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কমিউনিটি পুলিশিং ধারণার মাধ্যমে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা বদলে যাচ্ছে। ভালো কাজের সুনাম খর্ব হয়ে দূর্ণীতি আর হয়রানি যখন পুলিশ সম্পর্কে সাধারনের ধারণার বিষয়বস্তু ছিলো সেদিনগুলো এ জাতি অতিক্রম করেছে। এখন পুলিশকে জনবান্ধব পুলিশে পরিণত করা হচ্ছে। জনগণের কাজে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে বাহিনীর সদস্যদের। দেশকে সবার জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তুলে সমৃদ্ধশালী ও উন্নত দেশ ঘটতে সরকার জনগণের বন্ধুতে পরিণত করছে এ বাহিনীকে। অমর একুশে বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের ১০৫ নম্বর স্টলে গেলেই পুলিশ সম্পর্কে অনেক না জানা কথা ও পুলিশের পথ চলার নানা গল্প জানতে পারছে সাধারণ মানুষ। অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে নিবিঘ্ন করতে রাতদিন কাজ করছে সরকারি এ বাহিনীটি। এর পাশাপাশি নানা অ্যাডভেঞ্চারমূলক সব বই নিয়ে মেলায় বসেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টল। বিপদে ডাক দিলেই ছুটে আসা, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া মহান সেবার কাজ করতে গিয়ে নানা ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় পুলিশকে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে বই নিয়ে হাজির হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
স্টলে দায়িত্বে থাকা পুলিশের এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশ মূলত বাইরে বেশি কাজ করে। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। যেসব ঘটনা কেউ জানে না। এমন সব ঘটনা পাঠক আমাদের বই পড়ে জানতে পারবে। পুলিশের বই কেমন বিক্রি হচ্ছে গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এবার প্রকাশিত নতুন বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। পাঠক আগ্রহ সহকারে কিনছেন। নতুন বইয়ের মধ্যে পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোশতাক স্যারের বই বেশি। মোশতাক স্যারের লেখা বইয়ের সংখ্যা নতুন-পুরোনো মিলিয়ে ২০০-এর অধিক।
পুলিশের নতুন বইয়ের মধ্যে আছে- ভৌতিক উপন্যাস ‘মৃত্যু প্রাসাদ’, সায়েন্স ফিকশন ‘ইলিন’, সায়েন্স ফিকশন ‘ইডিন’, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের লেখা ‘আসাদুজ্জামান নন্দিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা’। শেষ বইটের সম্পাদনা করেছেন হাবিবুর রহমান। এরবাইরে আছে সাবেক আইজি একেএম শহীদুল হকের লেখা নতুন বই ‘সমাজে পুলিশ এবং কমিউনিটি পুলিশ’ । বইটি বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই পাওয়া যাচ্ছে। আছে হাফিজুর রহমানের বই ‘যেদিন মৃত ছিলাম’।
এদিকে পুলিশের স্টল নিয়ে পাঠকের সীমাছাড়া আগ্রহ দেখা যায়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টলে বই দেখতেজড়ো হচ্ছে মানুষ। ক্ষণে ক্ষণে বেঁধে যাচ্ছে জটলা। মেলায় বই কিনতে আসা ঢাবি ছাত্র ফারদিন আহমেদ বলেন, সাধারণ মানুষের বিপদে আপদে এগিয়ে আসা পুলিশের সাথে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা সাধারণ মানুষ খুব কমই জানতে পারে। বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি পুলিশের উদ্যোগে মেলায় স্টল স্থাপন সত্যিই অসাধারণ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে পুলিশের সাথে সাধারণ মানুষের হৃদয়ের সম্মেলন ঘটবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।