পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এই মূহুর্তে পুলিশ ও সন্ত্রাসী শক্তির ব্যবহার ছাড়া শেখ হাসিনার ঝুড়িতে আর কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তারা (সরকার) শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, ভোটাধিকার, স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। দেশের মানুষকে তারা মানুষ মনে করেনা। বিকট অমানবিকতা, পাকাপোক্ত নিষ্ঠুরতা, পাশবিকতা আর বন্দুকের নলই হচ্ছে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার উৎস। পুলিশ প্রশাসন, সিভিল প্রশাসন, আইন-আদালতকে নিজেদের দলীয় অস্ত্র বানিয়ে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্নকরণের কর্মসূচি করেছে এই মিডনাইট সরকার। বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় বিনা অপরাধে দুই বছরের বেশী হলো কারাবন্দী রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। জেলের ভেতর হত্যার চেষ্টা চলছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা সিটি নির্বাচনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের বিজয় দেখানো হয়েছে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী পান্ডারা দিনে-দুপুরে দস্যুবৃত্তির মাধ্যমে কারচুপির যতরকমের কৌশল আছে সব প্রয়োগ করেছে এই ভোটে। এই সরকার বাদে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও নগরবাসী এই কারচুপির ভোটের ফল প্রত্যাখান করেছে। ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছেন। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে সিটি নির্বাচনে জালিয়াতি, ভোট কারচুপির সকল প্রামাণ্য তথ্য উপাত্ত জাতির সামনে তুলে ধরে ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী। গণবিচ্ছিন্ন ক্ষমতাসীন দল সেই আহবান প্রত্যাখান করেছে।
ওবায়দুল কাদেরের সমালোচান করে তিনি বলেন, আপনি ভোট কারচুপির এমনই মেকানিজম করেছিলেন যে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আপনার সুস্থতা কামনা করি, কিন্তু জালিয়াতির মেশিন ইভিএম দিয়ে ভোটারদের যেভাবে সর্ষে ফুল দেখিয়েছেন সেজন্য আপনাকে নিয়ে ভোটাররা কি ভাবছেন সেটি একটু বোঝার চেষ্টা করবেন। বারবার অসুস্থ হওয়ার পরেও আপনি মিথ্যার ফেরিওয়ালাই থেকে যাচ্ছেন। সৃষ্টিকর্তার কথা বিবেচনা করে কমপক্ষে কিছুটা সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন। ঢাকা সিটি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবী প্রতিটি মানুষের। ভোট ডাকাতি এখন আপনাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আপনারা এখন জনগণের চরম ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছেন। জোর করে বিনা ভোটে ক্ষমতায় থেকে কিভাবে আপনারা বেহায়ার মতো অবৈধ কর্মকা-ের পক্ষে কথা বলেন? সুষ্ঠু ও ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট দেবার জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন।
নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পা চাটা গোলাম উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের অঘোষিত নেতা সিইসি নুরুল হুদার অধীনে এ পর্যন্ত যতোগুলো নির্বাচন হয়েছে সেগুলোতে শুধু একতরফা, ভোট লুট, রাতের আঁধারে নৌকা মার্কায় সিল মারার উৎসব হয়েছে। নির্লজ্জ সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নে জড়িত সিইসিসহ কতিপয় কমিশনারকে তাড়িয়ে দেয়ার সংগ্রাম শুরু করতে হবে গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-জিয়া, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মাটির সন্তান নয়। কিন্তু জিয়াউর রহমানই দেশের ক্রান্তিকালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে রক্ষা করেছিলেন। বিপন্ন গণতন্ত্রকে উদ্ধারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি এখনও হারানো গণতন্ত্র এবং মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, কোন স্বৈরাচারের নিকট তিনি মাথানত করেননি বলেই তিনি আপোষহীন নেত্রী আখ্যায় আখ্যায়িত হয়েছেন। তিনি সবসময় দেশের মানুষের পাশেই আছেন, অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর চোখ রাঙানীতে ভীত হয়ে বিদেশ পালিয়ে যাননি। কিন্তু দেশের মানুষের পাশে না থেকে বিদেশ পালিয়েছে কিংবা কার সন্তান কোথায় বিয়ে করেছেন বা কিভাবে আছেন তা দেশবাসী ভালভাবেই জানে।
অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন-তিনি বিশে^র এক নম্বর অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর এই কথা চিরকুটে লিখে রাখলাম। হাসতে হাসতে হার্টফেল করলে অর্থমন্ত্রী দায়ী থাকবেন। এই বক্তব্য অজ্ঞাতপ্রসুত নয়, রাজনৈতিক ধান্দাবাজপ্রসুত। অর্থমন্ত্রী এই বক্তব্যের পরের দিনই আবার বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ।
তিনি বলেন, প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে দেখবেন দুই-আড়াই কোটি নয়, শত শত, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে আপনাদের দলের লোকজন। বিদেশে বেগম পল্লী, সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে। ঘরে ঘরে টাকশাল বানাচ্ছে। বিদেশে পাচার করছে। দেশের অর্থনীতি ফোকলা করে ফেলেছেন আপনারা।
পৃথিবীর ইতিহাসে কোন স্বৈরাচারের পরিণতি শুভ হয়নি। জনগণের ওপর জোর-জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখলে রেখে কিছু দিনের জন্য যা ইচ্ছা করা যায়। কিন্তু তা চিরস্থায়ী নয়। স্বৈরশাসকদের করুণ দশা চোখের সামনে দেখে এবং জেনেও বর্তমান স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অবৈধ অনির্বাচিত নিশিরাতের সরকারের বোধোদয় হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।