পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে-বিদেশে অনেক বড়ো বড়ো প্রকল্পে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে। এই খাত থেকেই ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল গভর্নেন্স, ২০ লাখ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, ২০২৪ সালের মধ্যে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি এবং জিডিপিতে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৫ শতাংশ অবদান রাখার টার্গেট করেছে সরকার। সরকারের এই লক্ষ্য পূরণে সহযোগিতা করছে দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো। ট্রান্সফর্মিং লাইফ থ্রু ইনোভেশন স্লোগান নিয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী দক্ষিণ এশিয়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতভিত্তিক সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ১৬তম বেসিস সফটএক্সপো ২০২০। ৬ ফেব্রæয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
গতকাল শুক্রবার সফটএক্সপোর দ্বিতীয় দিনে মেলার স্টলগুলোতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির সফটওয়্যার পণ্য ও সেবা প্রদর্শনী এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ অতিথি বক্তাদের উপস্থিতিতে সেমিনার ও গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মেলা পরিদর্শনে এসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নকীব হাসান বলেন, মেলায় বিভিন্ন ইনোভেটিভ প্রজেক্ট শো দেখা যাবে, এটা অনেক বড় একটা সুযোগ আমাদের জন্য। তাছাড়া আমাদের মতো যারা আউটসোর্সিংয়ে আগ্রহী, তাদের জন্য এটা অনেক বড় একটা প্লাটফর্ম, জানার জন্য ও শেখার জন্য।
ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় অনেক অভিভাবক সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে আসেন। অভিভাবক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে আমাদের দেশ নিয়মিত এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এ মেলায় অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। যারা লেখাপড়ার পাশাপাশি নানান রকম তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কাজ করতে চায়, তারা এ মেলায় অংশগ্রহণ করে, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের কথা শুনে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হতে পারবে। তরুণরাই হলো, আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাই প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত, সন্তানকে ডিজিটাল শিক্ষায় আগ্রহী করতে এ ধরনের মেলায় নিয়ে আসা।
বেসিস সফট এক্সপো-২০২০ এর আহবায়ক এবং বেসিস এর সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রদর্শনী এলাকাকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন এবং এক্সপেরিয়েন্স জোন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে। রয়েছে ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, ফিনটেক জোন, উইমেন জোন এবং বরাবরের মতো রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন। থাকছে ৩০০টিরও বেশি দেশি-বিদেশী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের স্টুল, ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার, যেখানে বক্তব্য রাখছেন শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। এছাড়া ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যা¤প, ৪৫টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইনোভেটিভ প্রজেক্ট শো-কেসিং, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আউটসোর্সিং কনফারেন্স, ১০০ জনেরও বেশি দেশি-বিদেশি তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের অংশগ্রহণ, ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশন, সুইডেন, জাপান, নেদারল্যান্ডস থেকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশনে অংশগ্রহণ, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে সিএক্সও লিডারশীপ মিট।
বেসিস সফট এক্সপো ২০২০ প্রসঙ্গে বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, দেশের সকল কাজ বিদেশিদের দিয়ে করা গেলেও তা স্থানীয় কোম্পানিদের দিয়েই বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এজন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় সফটওয়্যার অর্থাৎ মেইড ইন বাংলাদেশ ধারণাকে উৎসাহিত করতে হবে। সফটওয়্যার কো¤পানিগুলোকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে দাতা সংস্থার সহায়তার বাস্তবায়িত প্রকল্পে স্থানীয় সফটওয়্যার কো¤পানিগুলোকে সুযোগ দিতে হবে। একইসঙ্গে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে সরকারি ছোট বড় প্রকল্পে স্থানীয় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোকে সুযোগ দিতে হবে, এ ব্যাপারে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়েরও এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তির অপব্যবহার, সাইবার ক্রাইম বিষয়ে সকলকে কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে ও সচেতন হতে হবে।
আলমাস কবীর বলেন, সরকার সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ এবং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই খাতকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করছে। এই বছরের মধ্যে যদি অন্তত দুইটা পার্ক প্রস্তুত করা যায়, তাহলে সরকার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তা অর্জন করা খুব সহজ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।