পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অমর একুশে বইমেলাকে বাঙালীর লেখক সাহিত্যিকদের নতুন বই প্রকাশের অঘোষিত মৌসুম বলা চলে। বেচাবিক্রি কম হলেও মেলায় নতুন নতুন বইয়ের আগমণ থেকে নেই। প্রথম ৪ দিনে নতুন বই এসেছে ২১৪টি। এরমধ্যে গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধকাল প্রকাশিত নতুন বইয়ের সংখ্যা যথাক্রমে ৮১ ও ৯৫টি। তবে দু’একদিনের মধ্যেই পুরোদমে বিক্রি শুরু হবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এরসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে নতুন বই প্রকাশের সংখ্যাও।
অন্য বারের তুলনায় পরিসর বাড়ানোয় এবারের মেলা অনেকটা পরিপাটি আর নান্দনিক। বাহ্যিক পরিপাটির পাশাপাশি মেলায় নতুন প্রকাশিত বইয়ের মানের ওপর বেশি মনোযোগ দেয়া হোক এমনটাই চান সচেতনমহল। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে তরুণ প্রজন্মের পাঠকদের মুখে এ সুরই শোনা গেছে। তরুণ পাঠক তাওহিদুল ইসলাম নাবিল বলেন, নতুন প্রকাশিত বইয়ে লেখার মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ এর সঙ্গে কাগজের মান, প্রচ্ছদ, ছাপা, সম্পাদনা, বানানসহ অন্যান্য বিষয়গুলোর প্রতিও অনেক মনোযোগ দেওয়া উচিত প্রকাশকদের।
ঢাবি শিক্ষার্থী মৌসুমী রায় বলেন, বইমেলা কেন্দ্রীক নতুন বই প্রকাশের কারণে মানহীন বই আসার সম্ভাবনা তৈরী হয়। বইমেলা এলে বই প্রকাশের জন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু সারা বছরব্যাপী একটি পরিকল্পনা অনুযায়ি বই প্রকাশ হলে মানহীন বই প্রকাশের হার অনেকাংশে কমে আসত। যেরকমই হোক বা যেভাবেই হউক বইমেলায় বই প্রকাশ করা চাই এরকম মানুষিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
নজরুলকে নিয়ে একাধিক বই: বিগত হওয়ার দীর্ঘ সময় পরও বাঙালীর সমাজ, সংস্কৃতি ও মননে এখন সমকালীন ও প্রাসঙ্গিক বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। প্রতিবছরই নজরুলকে নানাভাবে আবিষ্কার করছেন সাহিত্য বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে তাকে ঘিরে এখনও অপেক্ষা করছে নতুনতর বিশ্লেষণ। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটে কাজী নজরুল ইসলামের একাধিক গ্রন্থ দেখা গেছে। এগুলোর মধ্যে কবির বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ, সংগীত সংগ্রহ, শিশু-কিশোর সাহিত্য, জাগরণী গান, ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, পত্রাবলী, নাট্যসমগ্র, নজরুল সংগীত স্বরলিপিসহ বইয়ের বিশাল এক সম্ভার। এছাড়া নজরুলকে নিয়ে বিভিন্ন লেখকের পর্যালোচনা, প্রবন্ধ, চর্চার ইতিবৃত্ত, নজরুল ভাবনাও ঠাঁই পেয়েছে এখানে।
নজরুল ইনস্টিটিউটের বিক্রয় সহকারী মো. রাসেল বলেন, এখন বইমেলার প্রথম ভাগ হওয়ায় পাঠক নতুন বইয়ের তুলনায় কাজী নজরুল ইসলামের বইয়ের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিক্রিও ভালো। কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস, প্রবন্ধ, পত্রাবলীর ওপর তাদের আগ্রহ বেশি। আর শিশুরা ঝুঁকছে কাজী নজরুলের শিশুতোষ রচনাগুলোর ওপর। অন্যান্য স্টলেও কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে বই দেখা গেছে। এসব গ্রন্থে নতুন লেখকরা নজরুলকে নিয়ে নানা দৃষ্টিকোণ তুলে এনেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।