Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

এসডিজির অগ্রগতি মূল্যায়ন করছে ট্র্যাকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:৩৯ পিএম

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু শুধু বাস্তবায়ন নয়, এই বাস্তবায়নের অগ্রগতিও নিয়মিত মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এজন্য তৈরি করা হয়েছে ‘এসডিজি ট্র্যাকার’। একই সঙ্গে এসডিজি’র স্থানীয়করণের জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এই ট্র্যাকারে নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে।

বুধবার (৫ ফেব্রæয়ারি) ‘এসডিজি ট্র্যাকার ও এসডিজি লোকালাইজেশন’ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বক্তারা বলেন, এসডিজির সামগ্রিক অর্জন দৃশ্যমান করতে একদিকে যেমন তথ্য প্রদানকারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তেমনি তথ্য অনুমোদনকারীর ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।

বিবিএস মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) জুয়েনা আজিজ। অতিথি ছিলেন ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ঢাকা বিভাগীয় কমিশিনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই প্রকল্পের ড. রমিজ উদ্দিন ও বিবিএস’র আলমগীর হোসেন। বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি ড. দীপঙ্কর রায়।

সেমিনারে জুয়েনা আজিজ বলেন, এসডিজি ট্র্যাকারে তথ্য ও উপাত্ত নিয়মিত দিতে হবে যেন এসডিজি’র সামগ্রিক অর্জন দৃশ্যমান হয়। এক্ষেত্রে এসডিজি ট্র্যাকারে তথ্য ও উপাত্ত প্রদানকারী এবং অনুমোদনকারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কারণ অনুমোদিত তথ্যের ভিত্তিতে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) তাদের অগ্রগতি রিপোর্টিং করবে।

জুয়েনা আজিজ বলেন, এসডিজি ট্র্যাকারের পোর্টালকে রিপোর্টিং উপযোগী করে তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এটুআই ও বিবিএসকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এসডিজি’র এই পোর্টালকে সার্বজনীন ডাটা পোর্টালে রূপান্তর করতে হবে। ৩৯টি অগ্রাধিকার সূচক রয়েছে, যেখানে এসডিজি সূচকের সঙ্গে ২৯টির সরাসরি মিল রয়েছে এবং, বাকি ১০টি সূচক দেশীয় প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে। সঙ্গে একটি অতিরিক্ত সূচক জেলা ও উপজেলা নির্ধারণ করবে, কাউকে পেছনে ফেলে নয়।

সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, এসডিজি তথ্য-উপাত্তের উৎস বিবেচনায় নিলে প্রায় ৫৫ শতাংশ ডাটা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগের প্রশাসন বা তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (এমআইএস) থেকে আসবে। এ বিষয়ে ডাটা প্রদানকারী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সক্রিয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এর জন্য কোনো ধরনের কারিগরি সহযোগিতা প্রয়োজন হলে বিবিএসের সংশ্লিষ্ট ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তার সহযোগিতা নেওয়া যাবে। এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, এসডিজি অর্জন ও উন্নত সেবা দেওয়া নিশ্চিত করার জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর এবং দফতর সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় থাকতে হবে। মূলত দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদফতরকে সময়মতো এসডিজি ট্র্যাকারে ডাটা দিতে হবে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সরকারি কর্মকর্তাদের তাদের ডাটা দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ