পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সদ্য সমাপ্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস। এই নির্বাচনে ৭-৯ভাগ ভোট পড়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমলগীর নির্বাচিত মেয়রদের আইনগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ওপরে জনগণের কোন আস্থা নেই। আস্থা নেই বলেই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি তারা (সরকার ও ইসি) বাড়িয়ে দেখানোর পরও অনেক কম। অথচ এরকম কখনোই ছিল না। এখন প্রশ্ন উঠেছে এধরণের নির্বাচনে, যেখানে প্রকৃতপক্ষে ৭ থেকে ৯ ভাগের বেশি ভোট পড়েনি এমন ভোটে যাদের বিজয়ী বলা হচ্ছে আসলে তাদের আইনগত কোন যোগ্যতা থাকছে কিনা।
বুধবার সকালে গুলশানে ইমানুয়্যেল ব্যাংকুয়েট হলে বিএনপি সমর্থিত দুই প্রার্থীর নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে। গণতন্ত্রের যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে সচেতনভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েও তারা পারেনি, এখন ভিন্ন কৌশলে সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশালের অনুরূপ শাসন তারা প্রবর্তন করতে চলেছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফল ঘটেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই নির্বাচনে জনগণের মতামতের কোন প্রতিফলন ঘটেনি। জনগণ ভোট দিতে পারেননি। সুতরাং এই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব নতুন করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, গত ১০ বছর ধরে প্রমাণিত হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের অধীনে কখনো কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। এজন্য দাবি জানাচ্ছি নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটের একমাত্র সমাধান সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
সংবাদ সম্মেলনে উত্তর সিটিতে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণ সিটির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ছাড়াও বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।