Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীন ফেরত বাংলাদেশিরা করোনায় আক্রান্ত হননি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

উহানে বা চীনে এখন পর্যন্ত কোনও বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে (২০১৯ এন সিওভি) আক্রান্ত হননি বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারি সংস্থাটির পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান। এ সময় আরও জানানো হয়, আইইডিসিআর এ পর্যন্ত ৩৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। লক্ষণ ও উপসর্গ দেখে এবং উহান থেকে আসার কারণে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু কারও মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
চীন থেকে দেশে ফেরা ৩১২ জনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আটজনের শরীরেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিমানে থাকা অবস্থায় তাদের স্ক্রিনিং করা হয়। আটজনের শরীরের তাপমাত্রা প্রত্যাশিত মাত্রার থেকে বেশি হওয়ায় তাদের দুটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আইইডিসিআর তাদের নমুনা সংগ্রহ করে। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

তিনি বলেন, যেহেতু তারা উহানে ছিল, তাই তাদের হজ ক্যাম্পে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর যিনি সিএমএইচে ছিলেন তিনি গর্ভবতী। স্বামী-সন্তানসহ তাদের সেখানেই কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া ৩১২ জনের মধ্যে আরও দুটি পরিবার ছিল যাদের ছোট বাচ্চা রয়েছে তাদেরও সিএমএইচে আলাদা করে রাখা হয়েছে। শিশুরা একটু বেশি ভালনারেবল (ঝুঁকিপূর্ণ) বলে তাদের বড়দের সঙ্গে রাখা হয়নি। গতকাল রোববার (২ ফেব্রæয়ারি) রাতে হজ ক্যাম্পে থাকা একজনের শরীরে তাপামাত্রা বেশি থাকার কারণে তাকে কুর্মিটোলায় ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, এছাড়া বাকি সবাই মোটামুটি ভালো আছেন। হজ ক্যাম্পের পরিবেশ নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে ডা. ফ্লোরা বলেন, এ অভিযোগটা একদমই মেনে নিতে পারি না। আমরা চেষ্টা করছি হজ ক্যাম্পে তাদের যা যা প্রয়োজন সেসব সরবরাহ করতে। তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা হজ ক্যাম্পটা তাদের জন্য তৈরি করেছিলাম। হজ মৌসুমে সেখানে যে রকম পরিকল্পনা থাকে অন্য সময়ে সেটা থাকে না। প্রথমদিন কিছু মশা ছিল সেখানে। তবে রোববার থেকে মশা নেই। সিটি করপোরেশন সেখানে বিশেষভাবে কয়েকবার ফগিং করছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমি নিজে সেখানে থাকি।

এক রুমে অনেকজনকে রাখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক মিটার দূরত্বে থাকলে এই ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনে যায় না। বিছানাগুলোও সেভাবেই রাখা। সেদিক থেকে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। ফুলটাইম ক্লিনার থাকছে যারা সবকিছু পরিষ্কার করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সহযোগিতা করছে বলেও জানান তিনি।

হাসপাতাল থেকে হজ ক্যাম্পে ফেরত নেওয়া সাতজনকে পর্যবেক্ষণের জন্য নেওয়া হয়েছিল জানিয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যদি তারা নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে ১৪ দিনের মধ্যে সেটা প্রকাশ পাবে। তাই তাদের পর্যবেক্ষণে রেখে স্ক্রিনিং করা হবে। আবার এটা কেবল ১৪ দিনই হবে কিনা, সে বিষয়েও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করা হবে।

তিনি বলেন, ফেসবুকে অনেকেই অনেক কিছু লিখছে। তবে এটা ঠিক, এখানে যারা আছেন, তারা নিজের বাড়িতে এরকম পরিবেশে থাকেন না। কিন্তু বুঝতে হবে জরুরি পরিস্থিতির কারণে এমনটা করা হয়েছে। তার মধ্যেও যেন তারা ভালো থাকেন সেজন্য ওয়াইফাই, টেলিভিশনসহ ইনডোর খেলার নানা সরঞ্জামও দেওয়া হয়েছে।###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ