পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করে কোনো ধরনের অনৈতিক কাজ করলে প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারণে অনেক শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র পায়নি জানানোর পর তিনি বলেন, এটি তো হতেই পারে না।
প্রবেশপত্র যেন আরও আগে পায় আমরা সেটির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি আছে। তারা ‘রেজিস্ট্রশেন ফি’ জমা দিয়েছে কিন্তু তারপরে দেখা যায় ‘রেজিস্ট্রেশন’ ঠিকমত হয়নি, এরকম অনেক ঘটনা ঘটে। এ বছর কতগুলো জিনিস নজরে এসেছে। আমরা এর প্রত্যেকটির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, আগামীতেও করব যেন এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই না ঘটে। গতকাল তেজগাঁও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের তথ্য দিতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা প্রত্যেকটির তদন্ত করে দেখব, জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে তদন্ত করে দোষী যারাই, হন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
দীপু মনি বলেন, এবার ৩৫টি বিষয়ে ১৫ কর্মদিবসে ১৭ শিফটটে পরীক্ষা হবে। ৩০টি বিষয়ে সৃজনশীল এবং পাঁচটিতে রচনামূলক পদ্ধতি পরীক্ষা হবে। ৫ হাজার ৫৮০ সেট প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ২ হাজার ৭৯০ সেট প্রশ্ন মুদ্রণ করা হয়েছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ হাজার ২০০ কক্ষে পরীক্ষা হচ্ছে। এক লাখ ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োজিত আছেন। সম্পূর্ণ নকল ও প্রশ্নফাঁসমুক্ত এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শেষ করতে অভিভাবকসহ সকলের সহযোগিতা চান মন্ত্রী।
পাবলিক পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করে এমন কোনো কর্মসূচি দেওয়া থেকে রাজনৈতিক দলগুলো বিরত থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের দিক থেকে যা করণীয় তার আমরা তার সর্বোচ্চটুকু করছি, কিন্তু আমরা সকলেরই সহযোগিতা চাই। কোথায় যেন কেউ কোনো গুজব ছড়িয়েও কাউকে প্রতারিত কতে না পারে। সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন সংস্থা তীক্ষণ দৃষ্টি রাখছেন এবং যথযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। কাজেই আমরা আশা করছি কোনো ধরনের কোনো সমস্যা ছাড়া সুচারুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
জনগণ বিএনপির রোববারের হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার মধ্যে যদি কোনো যৌক্তিক কারণেও এ ধরনের কর্মসূচি দেয় জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সেটি আমাদের জাতির কাছে নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনো দলই কোনো কারণেই পাবলিক পরীক্ষা চলার সময় এমন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি দেবেন না যেগুলো পরীক্ষার প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে, তাদের মধ্যে উদ্বেগের জন্য দেয়।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।