Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জন্মের আগে লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কেন বেআইনি নয়

৬ সপ্তাহের মধ্যে জানতে চান হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামি ৬ সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। রিটকারির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সহকারী এটর্নি জেনারেল এমএমজি সরোয়ার পায়েল।

রিটের শুনানিতে বলা হয়, দেশের ভাগ বাবা-মা এখনো ছেলে সন্তান প্রত্যাশা করেন। তারা ভাবেন, ছেলেরা বংশের ধারক। তারা আয় করে বেশি। এবং তারা শক্তিশালী। এমনকি অনেক নারীও ছেলে সন্তান তাদের ভবিষ্যতের জন্য সুরক্ষা হবে বলে মনে করেন। এ অবস্থায় পরীক্ষার মাধ্যমে যদি গর্ভজাত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় জানা যায় এবং তা মা-বাবার কাছে কাক্সিক্ষত শিশু না হয়, সেক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করে। তাই ওই সময় অন্তঃসত্ত্বা মা যদি হতাশায় ভোগেন, তবে তার প্রভাব অনাগত শিশুর ওপরও পড়তে থাকে। চীন-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গর্ভজাত শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ হওয়া জরুরি। তবে অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশুর কল্যাণের জন্য, বা অনাগত সন্তানের সুস্থতা জানতে তারা যেকোনো পরীক্ষা করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে শিশু লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে ডাক্তারি পরীক্ষা বা ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টে শিশু লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কোনোভাবেই কাম্য নয়।

রিটে তিন মন্ত্রণালয়কে তিন দিনের মধ্যে সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে গর্ভজাত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা বা লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত উপরোক্ত রুল জারি করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্ট বারের অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে লিগ্যাল নোটিস দেন। সেই আলোকেই দায়ের করা হয় এই রিট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ