পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের আমন্ত্রণে আগামীকাল চার দিনের সরকারি সফরে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম আজ বাসস’কে জানান, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ৫ ফেব্রুয়ারি জিউসেপ কোঁতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিমানে আগামীকাল সকালে ইতালির রাজধানী রোমের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে।
বিমানটি স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪টায় রোমের ফিয়ামিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। মিনিস্টার প্লেনিপোটেনসিয়ারি অব ইটালিয়ান ফরেন মিনিস্ট্রি এবং ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে, মোটর শোভাযাত্রা সহকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় নিয়ে যাওয়া হবে। ইতালির রাজধানীতে সফরকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন।
শেখ হাসিনা একই দিন সন্ধ্যায় পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় তাঁর সম্মানে আয়োজিত একটি সংবর্ধনায় যোগ দিবেন।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি রোমের ভায়া ডেল’এন্টারটাইড এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সরি ভবন উদ্বোধন করবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পালাজো চিগিতে এক আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।
দুই শীর্ষ নেতা সম্মেলনে দ্বিপক্ষীয় সার্বিক ইস্যুগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পরে, ইতালীয় ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিগণ পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় তাঁর হোটেলের সভাকক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
প্রধানমন্ত্রী পরে পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে শেখ হাসিনা পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে ট্রেনে করে রোম থেকে ইতালির মিলান শহরের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় সেখানে পৌঁছে যাবেন।
মিলান সফরের সময় তিনি এক্সেলসিয়ার হোটেল গালিয়ায় অবস্থান করবেন।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে মিলান মালপেন্সা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন।
শেখ হাসিনা ৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই হয়ে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে ঢাকা ও রোমের মধ্যে তিনটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতালির হাতে তিনটি খসড়া চুক্তি রয়েছে। তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর সফরকালের মধ্যে এগুলো চূড়ান্ত করতে পারে, তবে এ সফরকালে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হবে।’
মোমেন আরো বলেন, প্রস্তাবিত চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক বিনিময়, রাজনৈতিক আলোচনা এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
পরপর তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউরোপের কোন দেশে শেখ হাসিনার এটাই প্রথম সফর উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে তাঁর এই সফর বাংলাদেশের অর্থনীতি ও এর চলমান উন্নয়নের জন্য লাভজনক হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করছে। কারণ এ সফরে বাংলাদেশে ইতালীয় উদ্যোক্তাদের নতুন বিনিয়োগের সন্ধান, ইতালিতে আরও বিভিন্ন পণ্য রফতানি এবং দক্ষ জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্র অনুসন্ধান করার প্রয়াস চালানো হবে।’ ইতালি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। দেশটিতে দুই লাখের বেশি বাংলাদেশী বসবাস করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।