Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে চার স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা বন্দর এবং বেনাপোল স্থলবন্দরসহ অন্যান্য স্থল বন্দর গুলো বলে জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
গতকাল রোববার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো, আবদুস সামাদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করতে আরো আন্তরিক হতে প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, নিয়মিত প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করতে হবে। মনিটরিং সঠিকভাবে করতে পারলে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা যাবে।

খালিদ মাহমুদ চেীধুরী বলেন, কাজ করতে গেলে চ্যালেঞ্জ থাকবে, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পদক্ষেপও থাকবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর অধিনস্থ সংস্থাগুলো অনেক কাজ করছে এবং আলোচনায় রয়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্ককতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরে দু’স্তরের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। থার্মাল ও কোয়ারেন্টাইন টেস্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রবেশ প্রতিরোধে জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং এজন্ট কর্তৃক জাহাজ বহির্নোঙ্গরে আসার সাথে সাথে এ বিষয়ে যথাযথ ঘোষণা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বন্দরে আসা জাহাজের মাস্টারকে পোর্ট লিমিটে আসার সাথে সাথে ঘোষণা দিতে হবে যে, ওই জাহাজে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত নাবিক নেই। এছাড়া পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা জাহাজগুলোতে শতভাগ নাবিকের পোর্ট হেলথ অফিসার কর্তৃক স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ ঘোষণা করলেই বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। জাহাজ থেকে হাসপাতালে দ্রæত রোগি স্থানান্তরে জন্য বন্দরে অ্যাম্বুলেন্স শিপ রাখা হয়েছে। বন্দর ইমিগ্রেশন ডেক্সে পোর্ট হেলথ অফিসারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। কোন নাবিক বাইরে যেতে চাইলে মেডিকেল স্ক্রিনিংয়ে সুস্থতা সাপেক্ষেই শুধু অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এলাকায় কর্মরত চীনা নাগরিকদের নিজ দেশে যেতে এ মুহুর্তে ছুটি দেয়া হচ্ছে না। যারা ছুটিতে গেছেন তাদেরকে এখন না আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বন্দরে জাহাজে কর্মরত করোনা ভাইরাস সম্পর্কে লোকদের সচেতন করা হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরসহ অন্যান্য স্থল বন্দরেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং সহায়তায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৭১৩ কোটি ১৩ লাখ ব্যয়ে ৪৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এগুলোর মধ্যে এডিপিভ‚ক্ত প্রকল্প ৪০টি এবং ৯টি প্রকল্প সংস্থার নিজস্ব। এডিপিভ‚ক্ত প্রকল্পে ৩০১৩ কোটি ৪৪ লাখ এবং নিজস্ব প্রকল্পে ১৬৯৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ