পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোট নিয়ে সকালে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নির্বাচনে হস্তক্ষেপের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বড় রকমের বিধি লঙ্ঘন দিয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ভোট শুরু হয়েছে। তার মতে, ঢাকা সিটি ভোটে একটি তামাশার নির্বাচন হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সিটি নির্বাচন শুরুই হয়েছে বড় রকমের আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে নিজে ভোট দিয়ে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এটা সরাসরি নিবাচনে হস্তক্ষেপের শামিল। কোনও ক্রমেই তার বক্তব্য নির্বাচন আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্রে নানান রকম অনিয়ম হলেও সরকারি বাহিনী কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কোনও কোনও কেন্দ্রে ইভিএমে ধানের শীষের প্রতীক ছিলো না। ফলে অনেক ভোটার ধানের শীষে ভোট দিতে পারেনি। অনেকে ভোটকেন্দ্র থেকে ভোটারদের ভোট না দিতে দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।
অনেক সাংবাদিককেও লাঞ্ছিত করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভীতির সঞ্চার করেছে। শত শত অনিয়মের খবর ইসিতে পাঠানো হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিবাচন এতটুকু সুষ্ঠু হয়নি তবে আমরা নির্বাচন কমিশনের ফলাফলের পর দলীয় অবস্থান তুলে ধরবো। নিবাচন অবাধ হয়নি, তবে ফলাফল দেখবো আগে, এরপর পরের সিদ্ধান্ত জানাবো। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা সারাদেশ থেকে লোকজন ঢাকায় এনেছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে। যা বলতে গেলে শেষ হবে না। আমাদের সিনিয়র নেতারা নিবাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। ইভিএম দিয়ে ভোট সুষ্ঠু হয় না, আমরা বহু আগে থেকে তা বলে আসছি। প্রধান নিবাচন কমিশনার ৭ বার চেষ্টা করেও ইভিএমে ভোট দিতে পারেননি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির দলীয় এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যারা বাধা উপেক্ষা করে কেন্দ্রে গেছে তাদেরকেও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, মারধর করা হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিটি কেন্দ্রের সামনে বহিরাগতদের জড়ো করে বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। ইভিএমের রিমোট আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা বুথের ভেতর অবস্থান করে ভোটাররা ধানের শীষে ভোট দিচ্ছে কিনা, তাও নজরদারি করেছে এবং হামলা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।