পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত ১০০ বছরের যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, ‘এত শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনা করে, আজকে যখন শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে, সেই ভোটের পরে বিএনপি তাদের পরাজয়ের আশঙ্কায় আগেভাগে কিছু অভিযোগ করার জন্য এই সমস্ত নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছে। বিএনপি অভিযোগ করেছে, তাদের পোলিং এজেন্টদের ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে, মারধর করা হয়েছে। এগুলো ডাহা মিথ্যা কথা।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যে সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে, আমার মনে হয়, বাংলাদেশে গত ১০০ বছরের যেকোনো নির্বাচনকে যদি পর্যবেক্ষণে আনা যায়, তাহলে এই রকম অবাধ-সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ-উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আর কখনো দেখা গিয়েছে কি না- এটা আমার সাংবাদিক বন্ধুরাই ভালো বলতে পারবেন।’
কোথায় বিএনপির পোলিং এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে? কোথায় বের করে দেয়া হয়েছে? বলেও সংবাদ সম্মেলন প্রশ্ন তুলেন হানিফ। তিনি বলেন, ‘একটা জায়গায় এমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি যে, কাউকে মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে কোনো কোনো জায়গায় তাদের এজেন্টরা আসেনি বলেও শুনতে পেয়েছি।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই যে নির্লজ্জ মিথ্যাচার ফখরুল সাহেব গণমাধ্যমে করেছেন... এই মিথ্যাচারে কান দেবেন না। বিভ্রান্ত হবেন না।
‘তিনি (ফখরুল) বলেছেন, সরকার তার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে, সন্ত্রাস করে, নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করার চেষ্টা করেছে। এটা চরম মিথ্যাচার। চরম নিন্দনীয় উক্তি। আমরা ফখরুল সাহেবকে আহ্বান জানাব, আপনি যে উক্তি করেছেন, উক্তির পেছনে আপনার অভিযোগের পেছনে যদি কোনো প্রমাণ থাকে, সেই প্রমাণ জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। যদি প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারেন তাহলে আপনাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এই মিথ্যাচারের জন্য,’- যোগ করেন তিনি।
মোহাম্মদপুরে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটা ঘটনার কথা আমাদের কানে এসেছে। মোহাম্মদপুরে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কিছুটা গোলযোগ হয়েছে। সেটা বিএনপি সমর্থিত একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে। এটার সঙ্গে সরকারদলীয় কোনো ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা সরকারদলীয় কোনো মেয়র প্রার্থী নেই। এটা বিএনপি সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজেশ নামের যে প্রার্থী মোহাম্মদপুরের, তার সঙ্গে কিছু দ্বন্দ্ব বা হাতাহাতি হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।