পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষের কাছে এবারের ঈদ যাত্রাটা হয়ে উঠেছে স্বস্তির। প্রতিবারের মত এই ঈদেও বাড়ী ফেরা নিয়ে ভোগান্তি হবে- এমনটাই ধরে নিয়েছিল সবাই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সিদ্ধান্তই সকল ভোগান্তির অবসান ঘটিয়েছে। ঈদের ছুটির সাথে যোগ করে আগামী সোমবার ছুটি ঘোষণা করার মধ্যে দিয়ে ঈদের ছুটি পরিণত হয়েছে টানা নয় দিনে। এতে করে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ী ফিরতে পারছে। টিকিট কালোবাজারি, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের ঝুঁকি এসব কোন কিছুই এবার থাকছে না। থাকছে না গ্রামমুখি মানুষগুলোর ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে লম্বা যানজটে পরে থাকার ভোগান্তি; কিম্বা মাইলের পর মাইল লম্বা যানজটের কবলে পরে অগত্যা রাস্তাতেই ঈদের জামাত পড়ে নেয়ার বিড়ম্বনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তকে সরকারি ও বেসরকারি কর্মজীবী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী মহল প্রত্যেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। ঈদের ছুটির সাথে মিলিয়ে সোমাবার সরকার ছুটি ঘোষণা করায় ব্যবসায়ী মহল থেকে খানিকটা আপত্তি জানানো হয়েছিল। এই আপত্তির মূলে ছিল-টানা নয়দিন ছুটি হলে ব্যবসায়ীরা অর্থ লেনদেন নিয়ে বড় ধরনের সমস্যায় পড়বেন। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক এলাকায় ব্যাংকের কিছু শাখা লেনদেনের জন্য খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। ফলে সমস্যার সুন্দর ইতি টানা হয়।
পবিত্র রমজানে এবারের ঈদের ছুটি মূলত আগামী ৫ জুলাই থেকে শুরু হবে। কিন্তু ১ ও ২ জুলাই শুক্র ও শনিবার হওয়ায় এবং রোববার শবে কদরের বন্ধ থাকায় সোমবার অফিস-আদালত ছিল খোলা। সরকার সোমবার ছুটি ঘোষণা করলেও এই ছুটি পুষিয়ে নিচ্ছে আগামী ১৬ জুলাই শনিবার কর্মদিবস ঘোষণা করে। এরপরও চাকরিজীবীরা আনন্দিত। কারণ পরিবার নিয়ে তাদেরকে এবারের ঈদ যাত্রাটা হবে স্বস্তির।
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবদুর রব ঈদ করতে পরিবার নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের বাড়ী নীলফামারি। গাবতলীতে তার সাথে দেখা। এত আগে বাড়ী যাচ্ছেন জানতে চাইলে বলেন, লম্বা ছুটি পেলাম; তাছাড়া বাড়ী ফেরা নিয়ে নেই কোন ভোগান্তি। আগেই টিকেট কাটা ছিল। গাড়ি ছাড়তে আধঘণ্টা দেরি হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, শুনেছি এবার যানজট নেই, পরিস্থিতি অনেক ভালো। এতে করে প্রতিবারের মত এবার ঘরমুখি মানুষগুলোকে ভয়াবহ দুর্ভোগের কবলে পড়তে হবে না।
সদরঘাটে কথা হয় মিরপুরের একটি গার্মেন্টে কর্মরত সাব্বির নেওয়াজের সাথে। তার গ্রামের বাড়ী ভোলা। সদরঘাটে লঞ্চে তুলে দিতে এসেছেন পরিবারের সদস্যদের। তিনি যাবেন ৫ জুলাই। তার মতে, অন্যান্যবার লঞ্চে জায়গা পেতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়। এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। অতিরিক্ত যাত্রী নেই। তিনি বলেন, টানা নয় দিনের ছুটির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবার গার্মেন্টসগুলোও পর্যায়ক্রমে বন্ধ দেয়া হচ্ছে। এতে করে নাড়ির টানে ঘরে ফেরাটা হবে। নেক স্বস্তির, অনেক আনন্দের।
ঈদের মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবার বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে ছুটির শুরু থেকেই। সদরঘাট টার্মিনালে যেয়ে দেখা গেছে, লঞ্চ যাত্রীদের মাঝে কোর হুড়োহুড়ি ছিল না। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করার প্রবণতা নেই। যাত্রীরাও লম্বা ছুটি পাওয়ায় সুবিধামত বাড়ী ফেরার সিডিউল তৈরি করে নিয়েছে। এবারের ঈদে সড়ক পথের অনেক উন্নতি হয়েছে।
এদিকে, ঈদের ছুটি শুক্রবার শুরু হলেও বৃহস্পতিবার শেষ অফিস সেরেই ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে। পরিবহন মালিকরাও বলছিলেন একই ধরনের কথা। গাবতলীতে শ্যামলী পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক পারভেজ বলেন, ৪০ শতাংশ মানুষ বৃহস্পতিবার ঢাকা ছাড়ায় শুক্রবার তেমন ভিড় নেই। তবে ২৭ রমজানের দিন ভিড় হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর যেতে হানিফ পরিবহনের টিকেট কেটেছি। সকাল ৯টায় গাড়ি ছাড়ার কথা, কিন্তু ১০টায়ও ছাড়েনি। গাড়ি ছাড়তে এক দেড় ঘণ্টা দেরি হলেও খুব বিরক্ত নন আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, বহুদিন পর বাড়ি যাচ্ছি, খুব ভালো লাগছে। অনেক ঘোরাঘুরি করব, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সময় দেব।
তবে হানিফ পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন দাবি করেন, ‘ঘড়ি ধরেই’ গাড়ি ছাড়ছেন তারা। গাড়ি ছাড়তে ‘যেটুকু দেরি হচ্ছে’ সেজন্য ‘হালকা যানজটকে’ দায়ী করেন তিনি।
গতকাল (শুক্রবার) সকালে কমলাপুল রেল স্টেশনে গিয়েও তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। বেলা ১২টা পর্যন্ত স্টেশন থেকে ১৪টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সোয়া এক ঘণ্টা এবং খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট পরে ঢাকা ছেড়েছে বলে এক কর্মকর্তা জানান।
কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, শুক্রবার বিভিন্ন ধরনের ১৩২টি ট্রেন কমলাপুর আসা-যাওয়া করবে। তিনি জানান, দেরিতে স্টেশনে পৌঁছায় দুটি ট্রেন দেরিতে ছাড়তে হয়েছে।
গতকাল বিকালে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় আমাদের ব্যবস্থাপনা খুব ভালো। টিকেট সহজলভ্য ছিল বলে যাত্রীদের কোনো ঝামেলা হয়নি। এবার তো আমরা অনেক যাত্রীকে ডেকেও টিকেট বিক্রি করেছি।
অবশ্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হবে না বলে আশ্বাস দিলেও গতকাল সকালে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস যথাসময়ে ঢাকা ছেড়ে যেতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘যান্ত্রিক ত্রুটির’ কারণে দুটি ট্রেন দেরিতে স্টেশন ছেড়েছে।
অপরদিকে, গতকাল থেকে টানা নয় দিনের ছুটি শুরু হলেও কমলাপুর রেল স্টেশনে সকালে দেখা যায়নি তেমন ভিড়; কেউ কেউ দুপুরে স্টেশনে এসেও ঈদের টিকেট পেয়েছেন। অবশ্য দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের ভিড় খানিকটা বেড়েছে।
চারলেন চালু হওয়ায় এবারের ঈদে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক পথে যাতায়াত আগের চেয়ে আরও নিরাপদ হবে। ঢাকা-টাঙ্গইল সড়ক পথে যানজট এড়াতেও নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। সড়ক পথে এবারের ঈদে বাড়ী ফেরা নিরাপদ করতে এতোসব পদক্ষেপ নেয়া হলেও পরিবহন ভাড়া নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ঈদে অতিরিক্ত বাস ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দেয়া এমন হুঙ্কারের পরও পরিবহন মালিকরা তাদের ইচ্ছে মতোই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
ঢাকা-নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী হিমাচল ও মুনলাইন পরিবহন যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্বয়ং মন্ত্রীর এলাকায় চলাচলকারী বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনা।
মাজহার মুনতাসির নামে নোয়াখালীর এক বাসিন্দা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি বলেছিলেন, ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেবেন। অথচ আপনার জেলার (নোয়াখালী) বাস মালিকদের দিনে দুপুরে ডাকাতির চিত্র। যেখানে নির্ধারিত ভাড়া থাকার কথা ২৮০ টাকা সেখানে নিয়মিত যাত্রীদের জিম্মি করে তারা নিচ্ছিল ৩৫০ টাকা করে। আর ঈদ উপলক্ষে ডাকাতিটা যেন আরো বেড়েই গেছে। ভাড়া ৩৫০ টাকার জায়গায় দাঁড়িয়েছে ৬০০ টাকা! বাসের ভাড়া কমানোর জন্য তেলের দামও কমানো হলো। এতে লাভটা হলো কোথায়? যেই কদু সেই লাউ।
প্রতি ঈদে কম করে হলেও অন্তত ৫০ লাখ মানুষ রাজধানী ঢাকা ছেড়ে যান। স্বস্তির যাত্রায় এবারের ঈদে ঘরমুখি মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে বেশ কিছু জায়গায় গতকাল যাত্রীদের ভোগান্তির কবলে পরার খবর দিয়েছেন ইনকিলাবের সংবাদদাতারা।
কাওড়াকান্দিতে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের স্রোত
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, সকাল থেকেই ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের স্রোত দেখা গেছে কাওড়াকান্দি ঘাটে। লঞ্চ, স্পীড বোট ও ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে রাজধানী ঢাকা থেকে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে বাড়িতে আসছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার হাজার হাজার মানুষ। কাওড়াকান্দি ঘাটে এসে অনেকেই ২ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গাড়িতে চড়ে নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে।
এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ রয়েছে, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইসহ অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। তবে, স্পীড বোটে লাইফ জ্যাকেটের বাধ্যতামূলক থাকলেও তা মানছে না কেউ।
সাভার-আশুলিয়ায় যানবাহনের ধীরগতি
সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, ঈদকে সামনে রেখে সাভার ও আশুলিয়ার মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের ধীরগতির ফলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড ও নবীনগর পয়েন্টে দেখা দিয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল, ইপিজেড ও জিরানী এলাকাতেও থেমে থেমে চলছে গাড়ি। বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের জামগড়া ও ইউনিক পয়েন্টেও রয়েছে কিছুটা যানজট।
ঈদের প্রথম ছুটি শুক্রবার সাভার ও আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল এলাকা ঘরমুখো মানুষরা বাড়ি ফেরার জন্য বিভিন্ন মহসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হতে থাকে। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের উপর বাস থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করার কারণে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়।
আশুলিয়ার বাজার এলাকা থেকে বাইপাইল-আব্দুল্লাপুর মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। নবীনগর-কালিয়াকৈর মহাসড়কের নবীনগর থেকে বাইপাইল ও বাইপাইল থেকে জিরানী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে হাল্কা যানজট। তবে থেমে থেমে চলছে যানবাহন।
এদিকে, সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড, হেমায়েতপুর ও নয়ারহাট এলাকায় যানজট না থাকলেও গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ঘরমুখো মানুষদের খুব একটা ভোগান্তীতে পড়তে হচ্ছে না।
তবে সড়কে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ ৩ চাকার যান। অটোরিকশা, টেম্পো, থ্রি হুইলারসহ সব ধরনের ৩ চাকার যানগুলো এখন বড় বড় যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মহাসড়কে।
সোনারাগাঁয়ে ৮ ঘন্টা দীর্ঘ যানজটে নাকাল ঘরমুখো মানুষ
সোনারগাঁও সংবাদদাতা জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটির প্রথম দিনে ঘরমুখো হাজারো মানুষ যানজটে পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৮ঘন্টা এ দীর্ঘ সময় যানজটে নাকাল হয়েছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ব্রীজ থেকে মেঘনা গোমতি সেতু পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীরা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছেন, দীর্ঘ ছুটি হওয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ যানজটের অন্যতম কারণ।
জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এস আলম পরিবহনের যাত্রী হাবিব আকন্দ জানান, সকাল ৬ টা ১৫ মিনিটে কমলাপুর থেকে গাড়িতে উঠে কাঁচপুর ব্রীজ পর্যন্ত ২৫ মিনিটে আসার পর আটকে থাকি। এখন বেলা সাড়ে ১০টা, প্রায় ৩ ঘন্টার বেশি সময় ধরে জ্যামে আটকে আছি। কখন পরিত্রাণ পাব ঠিক জানি না। যানজটের কারণ জানার চেষ্টা করছি তাও কেউ বলতে পারছে না।
তিষা পরিবহনে করে কুমিল্লা গামী প্রদীপ কুমার কর্মকার জানান, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে মোগরাপাড়া এলাকায় বসে আছি। এখন সময় ১০টা। মাত্র কয়েক গজ গাড়ি চলেছে। কখন যেতে পারব, জানি না।
আটকে থাকা যানবাহনগুলোর মধ্যে দেখা গেছে বেশ কিছু এ্যাম্বুল্যান্স। যেগুলোর বেশির ভাগেই ছিল রোগী।
টঙ্গী থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত যানজট কম
টঙ্গী সংবাদদাতা জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী আব্দুল্লাহপুর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত কোথাও তেমন কোন যানজট লক্ষ্য করা যায়নি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের ভ্রমণ যানজটমুক্ত রাখতে টঙ্গী আব্দুল্লাহপুর, ষ্টেশন রোড, চেরাগাালী মার্কেট, কলেজ গেট, গাজীপুরা, বোর্ডবাজার, ভোগড়া বাইপাস ও জয়দেবপুর চৌরাস্তায় অন্যান্য সময়ের তুলনায় ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করায় এবং রাস্তার পাশে অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্ত করায় স্বাভাবিক সময়ের চাইতেও এসব এলাকায় যানজট নিতান্তই কম ছিল বলে স্থানীয় লোকজন মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।