পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আয়ামী লীগের এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আটক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার সারওয়ার হোসেন ঢাকা উত্তরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাটা চামচ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী শহীদুল ইসলাম বাবুলের এজেন্ট নাজির হোসেনকে কুপিয়েছেন একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ফুফাতো ভাই রুবেল। গতকাল রাত পৌনে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার সারওয়ার হোসেনের গ্রেফতারের বিষয়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, জুমআর নামাজের পর নাবিস্কোর পাশের রহিম মেটাল মসজিদ এলাকা থেকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল পুলিশ তাকে আটক করে বলে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নামাজের পর দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে বেশ উত্তেজনা দেখা দেয়। মুখোমুখি এই অবস্থানের সময় তালুকদার সারওয়ার হোসেন তার কাছে থাকা একটি অস্ত্র বের করে প্রদর্শন করে। এসময় অস্ত্র প্রদর্শন নির্বাচনী অপরাধ। তাকে থানায় নেওয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটকে আহবান করা হয়েছে, তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
অস্ত্রটি বৈধ দাবি করে স্বপন নামে সারোয়ারের এক নির্বাচনকর্মী অভিযোগ করেছেন, সফিউল্লাহর সমর্থকরা তার প্রার্থীকে মারধর করলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানা কোনো মামলা নিচ্ছে না।
তবে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সফিউল্লাহ বলেন, নামাজ শেষেও তিনি মসজিদের ভেতরে ছিলেন। এসময় সারওয়ার কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বাইরে থেকে মসজিদের সামনে এসে হঠাৎ করে অস্ত্র বের করে ‘গুলি করব, গুলি করব’ বলে।
ঘটনার বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আলী হোসেন বলেন, দুইপক্ষ মুখোমুখি হলে সে সময় উত্তেজনা থেকে হাতাহাতি হয়। এতে তালুকদার সারওয়ার হোসেনসহ তার চার সমর্থক ও সফিউল্লাহর ৫ সমর্থক আহত হন। তালুকদার সারওয়ার হোসেন পুলিশ হেফাজতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে।
বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্টকে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী শহীদুল ইসলাম বাবুলের এজেন্ট নাজির হোসেনকে কুপিয়েছেন একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ফুফাতো ভাই রুবেল। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার জানিয়েছেন, তারা খবর জেনেছেন। ঢাকা মেডিকেলেও ফোর্স পাঠানো হয়েছে খবর নেওয়ার জন্য। আমরা বিষয়টি দেখছি। তবে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী নাজির হোসেনকে যে নিজের এজেন্ট বলে দাবি করেছেন তা সঠিক নয়। নাজির হোসেন তার সমর্থক।
বাবুল বলেন, নাজির হোসেন আমার এজেন্ট ছিলেন। তাকে ওয়ার্ডের আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ ভোট কেন্দ্রের এজেন্ট করা হয়েছিল।
শুক্রবার রাত ৮টায় ওয়ার্ডের ইসলামবাগে হাজী বাবুল রোডে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বাবুলের ফুফাতো ভাই রুবেল কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে নাজিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।