পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে বা পরিস্থিতি তৈরী না হয় সেজন্য অগ্রীম ব্যবস্থা প্রস্তুতি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। নির্বাচন কমিশন অফিস জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৭২৬টি এবং দক্ষিণে ৭২১টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে পুলিশের অতিরিক্ত নজরদারি থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ, র্যাব, আনসারের পাশাপাশি বিজিবি থাকবে। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে।
তবে নানা প্রস্তুতির মাঝেও মেয়র প্রার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়মিত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বেশি। ভোটের দিনও যেসব ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে সেখানে বেশি নজর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর।
জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন অন্তত ১১১ জন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪২টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন ৭২ জন। অন্যদিকে উত্তর সিটিতে ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫টিতে আছেন ৩৯ বিদ্রোহী প্রার্থী। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ১২৯ ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৭টিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা মোকাবিলা করবেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের। এলাকাগুলোতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রভাবও রয়েছে।
গতকাল বিকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পরবর্তীতে বিদ্রোহী প্রার্থী তালুকদার সরোয়ারকে অস্ত্রসহ আটক করে।
গত বুধবার বেলা ১২টার দিকে গুলশানের শহীদ ফজলে রাব্বি পার্কের ভেতরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতেই মারামারিতে জড়িয়েছেন দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা। জানা গেছে, পার্কের ভেতরে আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বসেছিলেন ২০ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও গত মেয়াদের কাউন্সিলর মো. নাসির মঙ্গলবার রাত প্রায় ১ টার দিকে মোহাম্মদপুরের ২৯ নং ওয়ার্ডে দলীয় কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতনের সঙ্গে বিদ্রহী দুই প্রার্থীর(সলু-সামিউল) সংঘর্ষ ঘটেছে। ৫৪ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনকে মারধর করেছে বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল শেখের লোকজন।
গত রবিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশেনে ৪৯ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আলহাজ সফিউদ্দিন মোল্লা পনুর নির্বাচনি প্রচারণায় একই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাইমের সমর্থকরা হামলা চালায়। এর পর দিন পনু মোল্লার লোকজন নাঈমের লোকজনদের মারধর করে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর বিপরিতে অন্য চার প্রার্থী। যারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বলে পরিচিত। বেশকিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদিনিই কোনো না কোনো মারামারি হচ্ছেই। ৬৮ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদুর হাসান পলিন দুই বিদ্রোহী সহিদুল ইসলাম ও সবুর খানের উপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছেন।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪, ৮, ৯, ১১, ১২, ১৯, ২৬, ২৮, ৩০, ৩২, ৩৬, ৩৮, ৩৯, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৫, ৫৬, ৫৭, ৫৮, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৪, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ নং ওয়র্ডে মারামারির ঘটনা ঘটতে পারে। ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১১, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ২০, ২৩, ২৫, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৫, ৩৬, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪৩, ৪৭, ৪৮, ৪৯ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড সংঘর্ষ হতে পারে।
এদিকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এটা আমাদের ওপর ছেড়ে দিন। অ্যাবস্যুলেটলি ইন্টারন্যাল ম্যাটার অব আওয়ার পার্টি। আমরা নির্বাচন করছি, এসব ছোটোখাটো সমস্যাকে নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা নির্বাচনেও বিজয়ী হচ্ছি এবং বিরোধী দলের চ্যালেঞ্জও মোকাবেলা করছি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমশিনার শফিকুল ইসলাম গতকাল সিদ্ধেশরী স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচনি পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, মাঠে ত্রিশ হাজার পুলিশ থাকবে। ভোটার ছাড়া কাউকে ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। ভোটার ছাড়া কাউকে পেলেই গ্রেফতার করা হবে। সে যে রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী হোক। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আমাদের নজরদারি থাকবে। কোনও রকমের বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।