পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিন ধাপে নিচ্ছ্রিদ্র নিরাপত্তা, ভোটার ছাড়া কেউ কেন্দ্রে যাবেন না-ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সন্দেহভাজন ও প্রভাববিস্তারকারীরা নজরদারিতে রয়েছেন। কেউ কোনো ধরণের বিশৃংখলা সৃষ্টি কিংবা বলপ্রয়োগের চেষ্টা করলেই তাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশের শীর্ষ পর্যায় থেকে। পাশাপাশি নগরজুড়ে রয়েছেনিচ্ছ্রিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোটের আগে ও পরে এবং ভোটের দিন- এ তিন ধাপে ভোটারদের ও ভোট কেন্দ্রের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ। ঢাকা মহাগনর পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানী বেইলি রোডের সিদ্ধেশ্বরী কলেজ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে র্যাব ও বিজিবিসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি আকাশে থাকবে হেলিকপ্টার, সোয়াত ও র্যাবের ডগস্কোয়াড এবং ক্রাইসিস রেসপনস টিম। প্রয়োজনে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই সিটি নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে নেমেছে আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রায় ৪০ হাজার সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসানোর পাশাপাশি টহল কাজে নিযুক্ত আছে পু্লশি, র্যাব, আনসার ও এপিবিএনের সদস্যরা। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নেমেছে ৬৫ প্লাটুন বিজিবি। নির্বাচন কমিশনের চাহিদা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে তারা। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের কথা জানিয়েছেন আইন-শৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জানা যায়, ঢাকা উত্তরে ৫৪ টি ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫ টি ওয়ার্ডের নির্বাচনে প্রায় আড়াই হাজার ভোট কেন্দ্র ও এর আশপাশের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে র্যাব, পুলিশ, আনসার ও বিজিবিসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরা। ভোটের আগে ও পরে এবং ভোটের দিন- এ তিন ধাপে ভোটারদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন তারা। সেই সঙ্গে দুই সিটিতে দায়িত্ব পালন করছেন ২৫৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নিরাপত্তায় কাজ করবে পুলিশের ৫৪টি মোবাইল ফোর্স, ১৮ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ২৭ টি রিজার্ভ স্টাইকিং ফোর্স। সেই সঙ্গে মাঠে থাকবে র্যাবের ৫৪ টি টিম এবং ২৭ প্লাটুন বিজিবি। একইভাবে সাজানো হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা। এ এলাকায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশের ৭৫ টি মোবাইল ফোর্স, ২৫ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ২৫ টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স। সেই সঙ্গে মাঠে থাকবে র্যাবের ৭৬টি টিম ও ৩৮ প্লাটুন বিজিবি। এছাড়া, নির্বাচনের দিন সাধারণ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে থাকবে ১৮ জন পুলিশ, আনসার ও ভিডিপির সদস্য। সেই সঙ্গে দুই সিটিতে র্যাবের ১০টি ভ্রাম্যমান টিম ও ১০ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এবারের নির্বাচনে পুলিশ কোনো বাড়াবাড়ি আচরণ করবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ থেকেও বিরত থাকবে তারা। তবে পুলিশের উদ্বেগ ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী নিয়ে। যেসব ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন, সেসব স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছে। এ জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
ভোটার ছাড়া কেউ কেন্দ্রে যাবেন না
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের সিদ্ধেশ্বরী কলেজ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ভোটের দিন কেন্দ্রের আশপাশে বহিরাগত থাকা যাবে না। একই সঙ্গে কেন্দ্রে আসার সময় ভোটার কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।
সাধারণ ভোটাররা যেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন সেজন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে র্যাব, বিজিবিসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে শফিকুল ইসলাম বলেন, ভোট কেন্দ্রের আশপাশে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না। কেবল যারা ভোট দেবেন তাদেরই ভোট কেন্দ্রে আসতে দেয়া হবে। এজন্য ভোটররা আইডি সঙ্গে নিয়ে আসবেন। ভোট শেষে তারা বেরিয়ে যাবেন। কেন্দ্রের আশপাশে অবস্থান নেয়া যাবে না। একই সঙ্গে কেউ যেন ভোটের মাঠে সহিংসতা করতে না পারে, সেজন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।