Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংসদে প্রশ্নোত্তরে বিমানমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকার আশপাশে সর্বাধুনিক আর্ন্তজাতিক মানসম্পন্ন বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আর এর নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক সদস্যের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের লিখিত উত্তরে পর্যটনমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের এ দিনের অধিবেশন শুরু হয়।
মাহবুব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে জুলাই-২০১৫ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য এ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব তহবিলের আওতায় ১৩ হাজার ৬৭৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদনে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়েই কো লিমিটেড কাজ করছে। ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর কাজ শুরু করে। এরপর প্রতিষ্ঠানটি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার দুটি, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরসহ ৩০টি সাইটের সার্ভে শেষ করে। একপর্যায়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সাইট সিলেকশনের জন্য ১০টি স্থানের তালিকা প্রস্তুত করে।
মন্ত্রী বলেন, ১০টি স্থানের সম্ভাব্যতা সার্ভে শেষে সাইট সিলেকশনের জন্য দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি স্থানের সুবিধা-অসুবিধাসহ বিভিন্ন তথ্য সরকারের উচ্চপর্যায়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি স্থান থেকে পরবর্তীকালে দুইটি স্থানের সুবিধা-অসুবিধাসহ নানা তথ্য সরকারের উচ্চপর্যায়ে আবারও উপস্থাপন করা হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন শেষে সরকারি সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে এ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য স্থান চ‚ড়ান্তভাবে নির্বাচন করবে।
এছাড়া আকাশপথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মোংলা ইপিজেড ও মোংলা ইকোনোমিক জোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ‘খানজাহান আলী বিমানবন্দর’ নামে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও জমি অধিগ্রহণের নানা প্রক্রিয়া শেষে ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। ##

 



 

Show all comments
  • Amir ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ১১:৫৫ এএম says : 0
    দুইটি স্থানের সুবিধা-অসুবিধাসহ নানা তথ্য সরকারের উচ্চপর্যায়ে আবারও উপস্থাপন করা হয়।-----পদ্মার দক্ষিণ পাড়ে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট আসলে কি বাস্তবতার নিরিখে অসম্ভব, না এর পিছনে কারো স্বার্থ বা হিংসা জড়িত আছে? এইটা বাস্তবায়িত হলে ঢাকার অদূরে ,পদ্মা সেতুর নিকটে এবং সারা দেশ তথা দক্ষিণবঙ্গের উন্নয়নে অবদান ,জনগনের এই ইচ্ছে গুলো প্রতিফলিত হত। কেন জানি জনগণের ধারণা হচ্ছে প্রস্তাবিত দক্ষিণ পাড়ের এই এয়ারপোর্টের পিছনে কোন 'মতলব' কাজ করছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
    আজে বাজে কাজ হইতে বিরত থাকুন। জাতীয় বেঈমানদেরকে না বলুন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বঙ্গবন্ধু

৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ