পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুধু চীন নয়, করোনাভাইরাস আতঙ্ক এখন বাংলাদেশও। যার কারণে হঠাৎ করেই করোনাভাইরাস আতঙ্কে বেড়ে গেছে মাস্কের ব্যবহার। বেড়েছে মাস্কের চাহিদাও। ভাইরাস জনিত রোগটি প্রতিরোধের প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে হাটবাজার কিংবা গণপরিবহণের মতো জনাকীর্ণ পরিবেশে মাস্ক ব্যবহার বেড়েছে।
মাস্ক ব্যবহারকারীরা বলছেন, বাংলাদেশে ধুলা-বালুময় পরিবেশে ভাইরাসজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধির আশঙ্কা থাকে। এসব থেকে বাঁচতেই তারা মাস্ক পড়ছেন। এছাড়া স¤প্রতি আলোচিত করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণেও অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাবেন নাদিম গ্রীণলাইন বাস কাউন্টারে মাস্ক পড়ে টিকেট নিতে আসলে কথা হয় তার সাথে তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কে মাস্ক ব্যবহার করছেন। প্রতিদিন এই রুটে গণপরিবহণ তথা গ্রীণলাইন বাসে প্রায় কয়েক শত যাত্রী যাতায়াত করেন। যাদের অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করেন।
বাস কাউন্টারে পথচারী কামরুল হোসেন (৪৮) বলেন, তার কর্মক্ষেত্র প্রতি সপ্তাহে ৬ দিন গণপরিবহণে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সকালে বাসে তিল ধারণের জায়গা না থাকায় মানুষের ভিড় ঠেলে অফিস যেতে হয়। এক্ষেত্রে যাত্রীদের-হাঁচি-কাশি থেকে রোগ-জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তিনি নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করেন।
সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীকেও মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন অভিভাবক এবং শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেও করোনাভাইরাস আতঙ্কে মাস্ক ব্যবহারের কথা জানায়।
মাস্ক বিক্রেতা কামরুল বলেন, চীনে কিসের (করোনা) যেন ভাইরাস ছড়ানোয় গত এক সপ্তাহে মাস্ক বিক্রি দ্বিগুণ বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তরা বলেছেন, বাইরে বের হওয়ার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করা ভালো কারণ তাতে হাত থেকে মুখে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমতে পারে। যাতে হাঁচি-কাশি থেকে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি কমে। তবে ওই মাস্ক বাতাসে ভেসে বেড়ানো করোনাভাইরাস আটকে দিতে পারে।
বাজারে নানা ধরনের মাস্ক পাওয়া যায় যেমন ক্লে-বেজড মাস্ক, পেপার বা শিট মাস্ক, পিল-অব মাস্ক, এক্সফোলিয়েটিং মাস্ক ইত্যাদি।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নাজমুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সাধারণ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এ ধরনের ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। যেমন হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে ফেলতে হবে, তারপর সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে হাত। সাবান ও গরম পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধুলে জীবাণু থাকার ঝুঁকি কমবে। আর না ধোয়া হাত যেন কোনোভাবেই মুখ, চোখ বা নাকের সংস্পর্শে না যায়। পাশাপাশি সুস্থ জীবনযাপনের সাধারণ নিয়মগুলোও মানতে হবে। সবকিছুর পরও যদি কারও মধ্যে অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যায়, আতঙ্কিত না হয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওষুধ বিক্রেতারা বলেন, ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বাজারে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের মাস্কও রয়েছে। এসবের মধ্যে সার্জিক্যাল মাস্ক, ফিল্টার মাস্ক, রেসপিরেটর হিসেবে তৈরি ফেস মাস্ক ছাড়াও একটানা তিন-চার দিন ব্যবহার উপযোগী এন ৯৫ মাস্ক, পি ৯৫ মাস্ক, এন ৯৯, এন ১০০, এয়ার পিউরিফিকেশন মাস্ক ও রেসপ্রো মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। তবে সাধারণত যে মাস্ক প্রতিনিয়ত সবাই ব্যবহার করছেন সেটি সার্জিক্যাল মাস্ক। সার্জিক্যাল মাস্কের সামনে নীল আর পেছনে সাদা রংয়ের থাকে। সুস্থ থাকলে শুধু দূষণ থেকে রক্ষার জন্য মাস্কটির সাদা রংয়ের অংশটি সামনে রেখে পরতে হবে এবং অসুস্থ হলে মানে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি হলে নীল রংয়ের অংশটি সামনে রেখে পরতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।