Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বহিরাগতদের শহর ত্যাগের অনুরোধ

র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ঢাকা উত্তর ও দিক্ষণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের পক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। তবে গতকাল রাত থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে তাদের শহর ত্যাগের অনুরোধ জানান র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। এছাড়াও যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে কমান্ড বাহিনী ছাড়াও হেলিকপ্টার, বোম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি।

গতকাল বিকেল রাজধানীর কাওরান বাজারস্থ র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে নির্বাচনী নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের জন্য যারা ঢাকার বাহিরে থেকে এসেছিলেন, তাদের থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ। এবার আপনা চলে যান। তিনি বলেন, আইনশুঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আমরা কোনো অপ্রয়োজনীয় লোকের তৎপরতা চাই না। আজ রাতে (গতকাল রাতে) প্রচারণা শেষ হয়ে যাবে। যদি কেউ থেকেও যান, আশা করব, আপনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। তবে যারা জেনুইন ভোটার তাদের চলাফেরা ও ভোটদানে সহযোগিতা করবেন। কোনো ঝামেলা করবেন না, কোথাও জড়ো হবেন না। ইটস আওয়ার ইনস্ট্রাকশন।

ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের সবার দায়িত্ব। যাতে করে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটতে পারে। আমরা সবার সহযোগিতা চাই, সে লক্ষ্যে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কমান্ড বাহিনী ছাড়াও হেলিকপ্টার, বোম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে। তাছাড়া ২৪ আওয়ার স্পেশাল মনিটরিংয়ে থাকবে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী আজকে (গতকাল) থেকে পরবর্তী ৫৬ ঘণ্টা র‌্যাব সদস্যরা মাঠে থাকবেন।

ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, যেসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে, সেই দিকে র‌্যাবের বাড়তি নজর থাকবে। তবে আমরা আগে থেকেই কিছু করতে চাচ্ছি না। কারণ অপব্যাখ্যা হতে পারে। দেশের ভোটার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটদান ও গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ। আমি মনে করি না, কেউ নির্বাচনকেন্দ্রিক অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করবেন। এরপরেও যদি কেউ করার চেষ্টা করেন তাহলে দেশে যে প্রচলিত আইন আছে সেই আইনের আওতায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা রযেছে কি-না জানতে চাইলে র‌্যাবের ডিজি বলেন, অতীতের হিস্ট্রি যদি দেখেন তাহলে এই ধরনের ঘটনা বিচ্ছিন্ন ছাড়া কিছুই না। আবার পার্শ্ববর্তী দেশের নির্বাচনকালীন অবস্থা যদি দেখেন তাহলে এসব ঘটনা কিছুই না। তুচ্ছ ঘটনাকে বড় করে দেখার কিছু নাই আবার এটাও ঠিক, তুচ্ছ ঘটনাকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। যদি আইনবিরোধী কোনো কর্মকান্ড ঘটে তাহলে সংক্ষুব্ধ হয়ে যেকোনো প্রার্থী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে কমপ্লেন করতে পারেন কিংবা থানায় অভিযোগ করতে পারেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা ঢাকার বাইরে থেকে প্রচার-প্রচারণা জন্য ঢাকায় এসেছেন, তবে কেউ যদি ঢাকায় অবস্থান করেন সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাব কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ওই পর্যন্ত যাচ্ছি না, ঢাকার বাইরের কেউ ঢাকায় অবস্থান করলে তাদেরকে জেলে পাঠাবো এমন নয়। প্রত্যেকটা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে, জেল জুলুমের ভীতি আমরা দেখাতে চাই না। আমার মনে হয় না, আমার সেই পর্যায়ে রয়েছি। তবে আমরা আহবান রেখেছি যেন; শহরে যারা জেনুইন ভোটার তারা সহজে শান্তিপূর্ণভাবে ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে এবং নিরাপদ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। মূলত, শৃঙ্খলা রক্ষা করাই হচ্ছে আমাদের আহবানের মূল লক্ষ্য। কাউকে জেলে পাঠানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে যদি কেউ জেলে পাঠানোর মতো কাজ করেন, তাহলে তো জেলেই যাবেন।

বিগত সময়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জ্বালাও-পোড়াও পেট্রোলবোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এবার নির্বাচনে এ ধরনের অপতৎপরতা হলে কী ধরনের ব্যবস্থা নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব প্রধান বলেন, অতীতে তাদের কি ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হয়েছে আমরা সবাই জানি। তারা স্বীকার করেছেন। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তার ফলাফল স্বরূপ কারাভোগ করছেন। যদি তারা সামান্য মূল্যায়ন করে থাকেন তাহলে কখনই তারা একই কাজ আবার করবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ