পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক ও মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের শিক্ষিত তরুণরা ইসলামি ভাবধারার প্রতি দিন দিন আকৃষ্ট হচ্ছে। ইউরোপে পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মুসলমানরা শুধু নিজ দেশেই নয় ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলামের পক্ষে কাজ করছে। বাংলাদেশের আলেম-উলামা ও পীর-বুজুর্গরা অসংখ্য মাদরাসা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ কারণে এদেশে অসংখ্য আলেম তৈরি হয়েছেন। এখন ইসলামের বহুমুখী ফায়দা নিতে হলে তাঁদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সঠিকভাবে কাজের ম্যাপ তৈরি করতে হবে।
গতকাল বুধবার সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার মির্জা শহিদপুর গ্রামে আলহাজ্ব আতাউর রহমান চৌধুরী হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসা ও মোহাম্মাদ ইছহাক মিয়া চৌধুরী এতিমখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিরাজাম মুনিরা অ্যাডুকেশন সেন্টার ইউকের পরিচালক আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ এম এম বাহাউদ্দীন আরো বলেন, সউদী সরকার তাদের আইডিওলজি প্রতিষ্ঠার জন্য সারাবিশ্বে মসজিদ মাদরাসা তৈরি করছে। কিন্তু এসব কোন কাজে লাগে নাই। বাংলাদেশেও বাতিল ধ্যান-ধারণার সালাফি, ওহাবি ও জামাতিরা ব্যর্থ হয়েছে। অর্থ ও সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে অনেক আলেমকে তারা ব্যবহার করছে।
তিনি সুন্নী আলেমদের এক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, সুন্নী আলেমদেরকে আরো বেশি কথা বলতে হবে। সিরিয়ার শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ হানাফি মাজহাবের। রাজনৈতিক কারণে যেসব আলেম সেখান থেকে বের হয়ে আসছেন তাদের বেশিরভাগই সুন্নী মতাদর্শের। এরা ইউরোপসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছেন। এর প্রভাব পড়ছে সেই দেশগুলোতে। ইউরোপে বাংলাদেশের আলেমদেরও প্রভাব বাড়ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর সভাপতি আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী।
তিনি বলেন, যে এলাকায় একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা হয় সেখানে দোয়ার সিলসিলা কায়েম হয়ে যায়। সেই অঞ্চলের সমস্ত মানুষ এই দোয়ার ভাগ পায়। আল্লাহর রহমত বর্ষিত হতে থাকে। তিনি আরো বলেন, দ্বীনি ইলিম অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ স্থান হচ্ছে মাদরাসা। মাদরাসায় কুরআন, হাদিসের তালিম দেয়া হয়। এতে মানুষের মধ্যে দ্বীনি মনোভাব তৈরি হয়। বর্তমানে মানুষের মাঝে ইসলামের সঠিক জ্ঞান না থাকায় শয়তানী বাড়ছে। খুন-খারাবি বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্বীনি ইল্ম অর্জন করে আমাদেরকে এ সমস্ত শয়তানী কাজ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিরাজাম মুনিরা অ্যাডুকেশন সেন্টারের প্রিন্সিপাল শায়খ সাইয়্যিদ ফাদি জুবা ইবনে আলী, ইউরোপের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এস-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাজ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী।
উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে আল-ইসলাহর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, দৈনিক ইনকিলাবের আইটি প্রধান সৈয়দ এ রহমান গালিব, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি এস এইচ চৌধুরী, দৈনিক সিরাজাম মুনিরা অ্যাডুকেশন সেন্টারের পরিচালক আলহাজ মো. জসিম উদ্দিন, সুমী মহসিনা অ্যাডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. চন্দন মিয়া, ফুলতলী ইসলামিক সেন্টার কভেন্ট্রি ইউকের প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল হাসান, সিলেট মহানগর আল-ইসলাহর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, আলহাজ ফয়ছল আহমদ চৌধুরী, ডা. কুতুব উদ্দিন অ্যাডুকেশন ট্রাস্ট, মৌলভীবাজারের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসরাম, সংগীতশিল্পী মুজাহিদুল ইসলাম বুলবুল, সাপ্তাহিক পূর্বদিক পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক সালাহ্ উদ্দিন ইবনে শিহাব, আনজুমানে আল-ইসলাহ মৌলভীবাজার জেলা শাখার অফিস সম্পাদক মাওলানা শফিকুল আলম সুহেল, মাদরাসার সুপার মোহাম্মদ আবুল খায়ের, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, উসমানীনগর উপজেলা কারী সোসাইটির সসভাপতি মাওলানা ছাদিকুর রহমান শিবলী, উপজেলা আল-ইসলাহর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মতিন গজনবী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।