Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী (রহ.)

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:১১ এএম

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি, উপমহাদেশের শীর্ষ হাদিস বিশারদ, শায়খুল হাদিস আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী (রহ.) একটি নাম, একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সমৃদ্ধ চিন্তা ছিলেন। বর্তমান বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির আলেমদের একজন ছিলেন। বৃহত্তর সিলেট বিভাগের আলেমকূল শিরোমণি ছিলেন। ছিলো তার এক বর্ণাঢ্য ও সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী ব্যক্তিত্ব। দাওয়াত-তাবলিগ, ওয়াজ-নসিহত, সমাজ সংস্কার, শিক্ষকতা, রচনা ও রাজনীতি, ইত্যাদি বিষয়ে ছিলো তার সরব পদচারণা। তিনি এক বৈচিত্রপূর্ণ অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। আশি-উর্দ্ধ একজন প্রবীণ আলেমেদীন ছিলেন। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের আকাবির উলামা-মাশায়েখের সঙ্গে তার উঠাবসার সুযোগ হয়েছে। তিনি এক জীবন্ত ইতিহাস ছিলেন। নিজ এলাকায় ‘মুহাদ্দিস সাহেব হুজুর’ নামে ছোট-বড় সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন। তিনি মাঝারি গড়নের ছিলেন। ছিলেন জ্যোতির্ময় চেহারার অধিকারী; যেনো নূরের আভা ঠিকরে পড়ছে। খুব সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষিত হতো তার প্রতি।

জন্ম ও বংশ

তিনি ১৩৫৯ হিজরি মোতাবেক ১৯৩৮ খৃস্টাব্দে হবিগঞ্জ শহরের অদূরে ‘কাটাখালি’ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মলাভ করেন। তার পিতা মাওলানা শায়খ আবদুন নুর (রহ.) ছিলেন বিজ্ঞ আলেম ও সমাজ সংস্কারক। তার নানা হলেন আল্লামা আসাদুল্লাহ (রহ.)। যিনি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম সারির একজন মুজাহিদ ছিলেন। হবিগঞ্জ এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সমাজ সংস্কারকও ছিলেন। পাঁচ ভাইয়ের মাঝে তিনি বড় ছিলেন। তার অন্যান্য ভাইও নিজ নিজ ময়দানে সফল ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

শিক্ষাজীবন

অন্যদের মতো তারও পড়াশোনার হাতেখড়ি পিতামাতার কাছেই। পিতা শায়খ আবদুন নুর (রহ.) ছিলেন একজন বিজ্ঞ আলেম ও সফল শিক্ষক। এরপর তিনি হবিগঞ্জের অদূরে রায়ধর গ্রামের ঐতিহাসিক মাদরাসা ‘জামিয়া সাদিয়্যাহ’-এ ভর্তি হন। সেখানে তিনি তার মামা আল্লামা মুখলিসুর রহমান (রহ.)-এর কাছে আরবি ব্যাকরণ ও আরবিভাষা রপ্ত করেন। তার মামা ছিলেন শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ.)-এর ছাত্র। এ এলাকার এক সময়ের সফল চেয়ারম্যানও। এ কারণে তিনি নিজ এলাকায় ‘চেয়ারম্যান সাহেব’ নামেও পরিচিত ছিলেন। তার নানার মতো তার মামাও বড় মুজাহিদ ছিলেন। বাতিলের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। সমাজ সংস্কারে তারও অসামান্য ভূমিকা ছিলো। প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে তিনি উপমহাদেশের বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘জামিয়া আহলিয়া মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারি মাদরাসা’ চট্টগ্রামে গমন করেন। সেখানে ফিকহ, উসুলে ফিকহ, তাফসির, উসুলে তাফসির, হাদিস ও উসুলে হাদিস, মানতেক-ফালসাফাসহ ইসলামের বিভিন্ন শাখার গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করেন। এখানে তিনি মুফতিয়ে আজম মুফতি ফয়জুল্লাহ (রহ.)-এর বিশেষ সান্নিধ্য লাভে ধন্য হন। ছাত্র হিসেবে তিনি প্রখর মেধার অধিকারী ছিলেন। উস্তাদদের প্রিয় পাত্র ছিলেন। শিক্ষাজীবনে সর্বদা পড়াশোনাকে প্রাধান্য দিতেন। সময় নষ্ট করা থেকে সযতেœ থাকতেন। দরসের বাইরে পাঠাগারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অধ্যয়নে মগ্ন থাকতেন। হাটহাজারি মাদরাসা থেকে ১৯৬০-৬১ খৃস্টাব্দ শিক্ষাবর্ষে ‘দাওরায়ে হাদিস’ সফলভাবে সম্পন্ন করেন। এরপর জ্ঞান আহরণের তীব্র আকাঙ্খায় ছুটে বেড়ান বাংলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। সবশেষে পাড়ি জমান তৎকালীন সূদুর পশ্চিম পাকিস্তানে। ১৯৬১-৬২ খৃস্টাব্দ শিক্ষাবর্ষে সেখানকার ঐতিহাসিক ইসলামি বিদ্যাপিঠ ‘জামিয়া আশরাফিয়া লাহোর’-এ আরও গভীরভাবে হাদিস অধ্যয়নের জন্য দ্বিতীয়বার দাওরায়ে হাদিসে ভর্তি হন। লাহোরে থাকাকালে তিনি ‘খানকায়ে রায়পুর’-এর প্রসিদ্ধ বুজুর্গ ও আল্লাহর অলি শায়খ আবদুল কাদের রায়পুরী (রহ.)-এর ইসলাহি মজলিসে উপস্থিত হতেন। তার খানকায় এক সপ্তাহকাল অবস্থান করতেন। রায়পুরী (রহ.)-এর ইন্তেকালে তার জানাজায় উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি খানপুরে গমন করেন। সেখানে উপমহাদেশের বিখ্যাত তাফসিরবিদ ও হাদিস বিশারদ হাফিজুল হাদিস আবদুল্লাহ দরখাস্তি (রহ.)-এর কাছে তাফসিরের বিশেষ পাঠ গ্রহণ করেন। এরপর পাকিস্তানের ‘জামিআতুল উলুমিল ইসলামিয়া করাচি’-এর বিশ্ববিখ্যাত হাদিস বিশারদ আল্লামা ইউসুফ বিনুরি (রহ.)-এর কাছে গমন করেন। তার কাছে তিনি হাদিস শাস্ত্রের সহিহ বোখারি, শরিয়তের বিধানের বিভিন্ন রহস্য ও ভেদ শাস্ত্রের হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা এবং কোরআনে কারিমের তাফসিরের বিশেষ দরস গ্রহণ করেন। এখানে তিনি মাস কয়েক ছিলেন। এরপর উপমহাদেশের প্রখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘দারুল উলুম দেওবন্দ’ গমন করেন। দেওবন্দ গমনের পথে অনাকাঙ্খিতভাবে তিনি তাবলিগজামাতের বড় মুরুব্বি ও দাঈ হজরতজি মাওলানা ইউসুফ বিন ইলিয়াস কান্ধলবি (রহ.)-এর সঙ্গ লাভে ধন্য হন। এক সফরেই তার সঙ্গে হজরতজির হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার আবেদনে হজরতজি ইউসুফ কান্ধলবি (রহ.) তাকে সাহারানপুরে শায়খুল হাদিস জাকারিয়া (রহ.)-এর সোহবতে পৌঁছে দেন। তিনি শায়খুল হাদিস সাহেবের সোহবতে দশদিনের মতো ছিলেন। এখানে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি শায়খের সহিহ বোখারির দরসেও উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। এরপর হজরতজি ইউসুফ কান্ধলবি (রহ.)-ই তাকে দারুল উলুম দেওবন্দ নিয়ে যান। দেওবন্দে তিনি ফিদায়ে মিল্লাত হজরত মাওলানা আসআদ মাদানি (রহ.)-এর অতিথি হয়ে ধন্য হন। এখানে তিনি ঐতিহাসিক ‘মাদানি মঞ্জিল’-এর মেহমান হিসেবে অবস্থান করেন। দারুল উলুম দেওবন্দে তখন পাকিস্তানি কোনো ছাত্র ভর্তি হওয়ার নিয়ম ছিলো না। এদিকে ভর্তির সময়ও শেষ। এই দু’কারণে তিনি ভর্তি না হয়ে তৎকালীন মুহতামিম হজরত মাওলানা কারি তৈয়ব কাসেমি সাহেব (রহ.)-এর অনুমতিতে ‘বিশেষ দরস’ গ্রহণ করেন। জামিউত তিরমিজি পড়েন শায়খ হজরত মাওলানা ইবরাহিম বিলয়াভি (রহ.)-এর কাছে, তাফসিরে বায়জাবি পড়েন আল্লামা ফখরুল হাসান মুরাদাবাদি (রহ.)-এর কাছে। তখন হজরত মাওলানা কারি তৈয়ব সাহেব (রহ.)-এর হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ-এর দরসেও উপস্থিত হয়েছেন। এভাবে ‘বিশেষ দরস’ শেষ করে বার্ষিক পরীক্ষার আগেই ১৯৬৩ খৃস্টাব্দে দেশে ফিরে আসেন।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবন

দেশে ফিরে তিনি কুমিল্লার দারুল উলুম বরুড়া মাদরাসায় শিক্ষকতা আরম্ভ করেন। এখানে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত মোট তিন বছর হাদিস, তাফসির ও ফুনুনাতের বিভিন্ন কিতাবের দরস দান করেন। এরপর ১৯৬৬ খৃস্টাব্দের শেষের দিকে ময়মনসিংহের আশরাফুল উলুম বালিয়া মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা মোহাম্মদ আলী (রহ.) কিশোরগঞ্জের মাওলানা আতহার আলী (রহ.)-এর মাদরাসায় চলে যান। তখন বালিয়া মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন মাওলানা দৌলত আলী (রহ.)। তিনি হাটহাজারি মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা শাহ আবদুল ওয়াহহাব (রহ.)-এর কাছে পত্র লিখলেন বালিয়া মাদরাসার জন্য একজন শায়খুল হাদিস চেয়ে। শাহ সাহেব (রহ.) তখন তাকে চিঠি লিখে বালিয়া মাদরাসায় যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। তখন থেকে ১৯৬৯ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত টানা তিন বছর বালিয়া মাদরাসার খেদমতে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। এরপর ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ খৃস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বরের পূর্ব পর্যন্ত ময়মনসিংহের আরেকটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়ায় তার দরসে হাদিসের খেদমতের সুযোগ হয়। তারপর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর নিজ এলাকা হবিগঞ্জে ফিরে আসেন। এলাকাবাসী ও মুরুব্বিদের অনুরোধে হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া আরাবিয়া উমেদনগর মাদরাসার খেদমতে যোগদান করেন। ইন্তেকালের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সুদীর্ঘ ৫৫ বছর যাবতকাল এখানকারই মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস পদে থেকে ধর্মীয় খেদমতে নিজেকে উৎসর্গ করেন।

বৈবাহিক জীবন

১৯৬৭ সালে তিনি ময়মনসিংহের বিখ্যাত আলেম মাওলানা আরিফ রাব্বানি (রহ.)-এর কন্যার সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার ৫ ছেলে ও ৪ মেয়ে রয়েছে। সবাই যোগ্য আলেম ও আলেমা হয়ে দীনের বিভিন্ন খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।

বায়তুল্লাহ জেয়ারত

আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বহুবার পবিত্র হজব্রত ও উমরা পালন করেছেন। ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে সর্বপ্রথম তিনি বায়তুল্লাহ শরিফ জেয়ারতের জন্য রওনা হন।

চরিত্র ও গুণাবলি

তিনি ছিলেন আল্লাহপ্রদত্ত বহু গুণ ও বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি। বাল্যকাল থেকেই ছিলেন প্রখর মেধার অধিকারী। শিক্ষাজীবনে সহজেই তাই উস্তাদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। ছোটবেলায় তার কোরআনুল কারিম হিফজ করার সুযোগ লাভ হয়নি। হাটহাজারি মাদরাসায় যখন সহিহ বোখারি পড়েন, তখন তার শায়খ ও মুরশিদ মুফতিয়ে আজম হজরত মাওলানা ফয়জুল্লাহ (রহ.) তাকে কোরআনুল কারিম হিফজ করার প্রতি উৎসাহিত করেন। কিন্তু পড়াশোনার ব্যস্ততায় তখন তা হয়ে ওঠেনি। এরপর যখন লাহোরে জামিয়া আশরাফিয়ায় গমন করেন, তখন কোরআনুল কারিম হিফজের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। এ মর্মে তিনি তার হজযাত্রী শায়খ আল্লামা রসুল খান (রহ.)-কে লিখিতভাবে দোয়ার আবেদন করেন। শায়খ আল্লামা রসুল খান (রহ.) তার জন্য কোরআনুল কারিম হিফজের দোয়া করেন। এর বরকতেই তিনি নিজে নিজে মাত্র ছ’মাসে দাওরায়ে হাদিসের পড়াশোনার ব্যস্ততা থাকাসত্তে¡ও পুরো কোরআনুল কারিমের হিফজ সম্পন্ন করেন।

তিনি ছিলেন উদার মানসিকতার অধিকারী ও নিরহংকার একজন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ছোট-বড় সকলের কথাই মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। কাউকে নিরাশ করতেন না। মানুষ যেকোনো সমস্যা বা পরামর্শের জন্য তার কাছে এলে উদার মনে তার সঙ্গে কথা বলতেন। যথেষ্ট সময় দিতেন। জ্ঞানে-গুণে এত বড় হওয়াসত্তে¡ও কোনো ধরনের অহমিকা বা অহংকারমূলক আচরণ তার থেকে কখনও প্রকাশ পেতো না। তার এলাকার জনৈক লোক এক সময় তাকে বড্ডো কষ্ট দিতো। কিন্তু তিনি যখন নিজের ফেলে আসা দিনের স্মৃতিচারণ করতেন, তখন ঐ লোকের আলোচনায় কেবল তার ভালো দিকগুলো তুলে ধরতেন। তার সে আলোচনা থেকে কোনোভাবেই বোঝার উপায় হতো না, তিনি এক সময় এর কাছ থেকে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন। তিনি সময়ের খুব পাবন্দ ছিলেন। রোজকার কাজ যথাসময়ে যথানিয়মে করা তার জীবনের একটি বড় বৈশিষ্ট্য ছিলো। তার সাধারণ আদত ছিলো, ফজরের নামাজ জামিয়া আরাবিয়া উমেদনগরে পড়া বা ফজরের পরই মাদরাসায় চলে আসা। মাদরাসা থেকে তার বাসায় পায়ে হেঁটে যেতে প্রায় দশ মিনিট সময় লাগে। শীতকালেও ভোরবেলা তিনি মাদরাসায় উপস্থিত হতেন। মাদরাসার অবকাশ যাপনকালেও তার কোনো নিয়মানুবর্তিতায় ব্যতয় ঘটতো না। (চলবে)

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শায়খুল হাদিস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ