Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগকে জেতাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মরিয়া হয়ে উঠেছে -সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৩৮ এএম

নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আওয়ামী লীগকে জেতাতে ততটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ১ ফেব্রæয়ারি ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর স্বরুপ উন্মোচিত হতে শুরু করেছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে যে অবস্থা বিরাজমান ছিল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেতা-কর্মীদের হয়রানী, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদের ঘুম কেড়ে নেয়ার নীতি এবারও তারা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে ইতোমধ্যে ঢাকা শহরে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। বরাবর নির্বাচনের পূর্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং বৈধ অস্ত্র জমা নেয়া হয়। এবারে ঢাকা সিটি নির্বাচনে সেই উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সুতরাং সন্ত্রাসের বাতাবরণে একদলীয় ভোট অনুষ্ঠিত করার জন্য বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান ও তাঁর প্রীতিধন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রতিদিনই নানা প্রকাশের আক্ষেপে নব নব রুপে স্ফুরিত হচ্ছেন। সুশাসন নয়, আওয়ামী লীগ যে সন্ত্রাস বিতরণের কেন্দ্র সেটিরই বহিঃ প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডিতে ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পূর্ব নির্ধারিত প্রচারণা কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। সেখানকার ওসি ও ডিসি দাঁড়িয়ে থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা দিয়েছে। এর আগে রোববার গোপীবাগে ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেনের প্রচারণায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলার ঘটনার পর উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের করার পর এপর্যন্ত ১০-১২ জনকে গ্রেফতার করে এখন রিমান্ডের নামে চলছে অকথ্য নির্যাতন। ৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামীসহ শতাধিক অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এই অজ্ঞাতনামা আসামী করার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে গণগ্রেফতার চালিয়ে এলাকাকে বিএনপি নেতাকর্মী ও ভোটারশুন্য করা।
তিনি বলেন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী রোকন উদ্দিনের ক্যাম্প থেকে হামলা করা হয়, দোতলা থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ১২ জনের মতো বিএনপি নেতাকর্মীকে আহত করা হয়। আহতদের মধ্যে তিনজন সাংবাদিকও রয়েছেন। অথচ এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি ওয়ারী থানার ওসি আজিজুর রহমান। উল্টো ওয়ারী থানার ওসি আজিজুর রহমান আজিজ নিজে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। তিনি যেন ঐ থানায় যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ১ ফেব্রæয়ারির নির্বাচনকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অনুকূলে রাখার জন্য ওয়ারী থানার ওসি দায়িত্ব পালন করছেন।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরেই কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। এই ভোটে নির্বাচন কমিশনের যেভাবে দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন, তা হচ্ছে না। নির্বাচনের আচরণবিধি, অনিয়ম বা প্রার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, এসব অভিযোগের পেছনে যে অসন্তোষ, তা বিস্ফোরিত হলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যথোপযুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হবে না, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সিইসি’র নেতৃত্বে কতিপয় কমিশনার ও ইসির কর্মকর্তা ১ ফেব্রæয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ী করতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে রেখেছে। আর সেজন্যই সিটি নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনা কমিশনসভায় স্থান পায় না। আজ পর্যন্ত বিএনপি’র পক্ষ থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে যতো অভিযোগ কমিশনে করা হয়েছে সবগুলোই অপ্রয়োজনীয় কাগজের ঝুঁড়িতে নিক্ষেপ করা হয়েছে। কারণ এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার স্তাবক ও সেবক।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ