পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। এর দেখা মিলেছে চীনের উহান শহর থেকে। চীনের বেশ কয়েকটি শহর তো বটেই, বিশ্বের অনেক স্থানেও দেখা মিলেছে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগির। মারা গেছে কয়েক ডজন রোগি। তবে প্রাণী-বাহিত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হতে পারে চীনের গোপন জীবাণু অস্ত্র গবেষণাকেন্দ্র। ওই গবেষণাগার অবস্থিত উহান শহরে। এমন অনুমান করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইলি জৈব অস্ত্র বিশ্লেষক এই সম্ভাবনার কথা নাকচ করেননি।
চীনের উহানে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের দেখা মেলার পর রেডিও ফ্রি এশিয়া গত সপ্তাহে তাদের ২০১৫ সালের একটি প্রতিবেদন পুনঃপ্রচার করে। ওই প্রতিবেদনটি ছিল চীনের সবচেয়ে অত্যাধুনিক ভাইরাস গবেষণাগার উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজির ওপর। উহান শহরে অবস্থিত এই গবেষণাগারে প্রাণঘাতী বিভিন্ন ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছিল। চীনের জৈব অস্ত্র প্রকল্প নিয়ে গবেষণা করেছেন ইসরাইলের সাবেক সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ড্যানি শোহাম।
তিনি বলেন, উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি চীনের গোপন জৈব অস্ত্র প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার ভাষ্য, ‘এই ইন্সটিটিউটের কিছু পরীক্ষাগার গবেষণা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত ক্ষেত্রে চীনের গোপন জৈব অস্ত্র প্রকল্পের সঙ্গে হয়তো সম্পৃক্ত। তবে এগুলো এই প্রকল্পের প্রধান স্থাপনা নয়।’ অপরদিকে, চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের যে সিফুড মার্কেট থেকে সার্সের মতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে সেখানে জীবিত কোয়ালা, সাপ, ইঁদুর ও নেকড়ের বাচ্চা বিক্রি করা হতো। উহানের হুয়ানান সিফুড মার্কেট থেকে ওই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে চীনা কর্মকর্তাদের এমন আশঙ্কার পর সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এরপর এই মার্কেটের জায়গাকে ‘গ্রাউন্ড জিরো’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। দ্রæত ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত চীনে ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বিশ্বের অন্তত ১৬টি দেশে সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ওই মার্কেটে যেসব বন্যপ্রাণী বিক্রি হতো তার যে তালিকা রয়েছে, তাতে সেখানে- জীবন্ত শেয়াল, কুমির, নেকড়ের বাচ্চা, বড় সালামান্ডার, সাপ, ইঁদুর, ময়‚র, সজারু, কোয়ালা এবং শিকার করা প্রাণীর মাংস। ওই ম‚ল্য তালিকায় দেখা যায়, কোয়ালার মাংসের দাম ৭০ রেনমিনবি। ওই মার্কেটে বন্যপ্রাণী বিক্রি করা দেখে অনেক চীনা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীও বিস্ময় প্রকাশ করেছে। চীনা ভাষায় ওয়েবসাইট উইবু’তে একজন লিখেছেন, ভাইরাল হওয়া বন্যপ্রাণীর তালিকাটা দেখুন একবার-তারা কোয়ালাও খায়। এমন কিছু নেই যা চীনারা খায় না। ওই তালিকায় ১১২ জীবন্ত প্রাণী ও প্রাণীজাত পণ্য রয়েছে। শিকার করা প্রাণী বিক্রি করা হয় একটি দোকানের ম‚ল্য তালিকায় লেখা রয়েছে- ‘তাজা জবাই, ফ্রোজেন মাংস আপনার দরজা পৌঁছে দেয়া হয়।’ এক ইমেইল বার্তায় বলেন, বেসামরিক-সামরিক গবেষণার অংশ হিসেবে জৈব মারণাস্ত্র নিয়ে গবেষণার কাজ হয়ে থাকে। এ ধরণের যেকোনো প্রকল্প অবশ্যই গোপন রাখা হয়। মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী শোহাম ১৯৭০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইসরাইলি সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীতে মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বব্যাপী জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র সংক্রান্ত জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে চীনের গোপন জীবাণু প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তবে চীন কোনো ধরনের আক্রমণাত্মক জৈব অস্ত্র থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সূত্র : ওয়াশিংটন টাইমস, ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।