পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চীন থেকে সংক্রমিত নতুন (২০১৯-হঈড়ঠ) করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। সব ডিসি, এসপিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে দেশের কোন জেলা বা উপজেলায় যদি এ ধরনের উপসর্গসহ কোন রোগীর খোঁজ পাওয়া যায় তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাতে। চীন সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কারনে আপাতত সেদেশে আটকা পড়া বাংলাদেশীদের আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তাদের আনতে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আলোচিত নতুন করোনাভাইরাস সার্চ ভাইরাসের মতো ভয়াবহ নয়। এই ভাইরাস শীতকালে সক্রিয় হলেও গরমে এটি টিকতে পারবে না। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় স্বাস্থ্য সেবা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি প্রফেসর আহমেদুল কবীর, কিটস বিশেষজ্ঞ প্রফেসর রোবেন, বিশ্ব ব্যাংকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি শিউ ওয়াং, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, শিল্প, বিমান ও পর্যটন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট শাখার ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৩টি দেশে করোনাভাইরাস প্রবেশ করলেও বাংলাদেশে একটি মানুষও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। সীমান্ত এলাকার সবগুলি ইউনিটেই আমরা স্ক্যানার মেশিন বসিয়েছি। প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনাভাইরাস সনাক্তকরণের জন্য আলাদা একটি আইসোলেটেড ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী ও কীটস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এসব কাজের খোঁজ খবর রাখছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে আমরা আলাদা হটলাইন চালু করেছি। বিমান বন্দরে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের হাতে করোনাভাইরাসের সতর্কতা, করনীয় ও যোগাযোগ নম্বর সংবলিত কার্ড দেয়া হচ্ছে। সুতরাং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের স্বাস্থ্যখাতসহ সকল ইউনিট একযোগে কাজ করে যাচ্ছে এবং আমরা সবাই একে মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি।
চীনের উহান সিটিতে আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে জাহিদ মালেক জানান, উহানে ৩১৭ জন শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে আনতে সরকার উদ্যোগ নিলেও চীন সরকার ১৪ দিনের মধ্যে সেখান থেকে বের হবার নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় আপাতত আনা যাচ্ছে না। আগামী ৬ ফেব্রæয়ারি এই ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। ১৪ দিনের নির্ধারিত সময় শেষ হলেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চীনে যাতায়াত প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাণিজ্যিকভাবে চীনের সাথে বাংলাদেশের বহুবিধ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এখনো কোন দেশ চীনের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ বন্ধ করেনি। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা দেয় নি। কাজেই চীনের সাথে যাতায়াত ব্যবস্থা স্থগিত রাখার কোনো চিন্তা সরকারের নেই। তবে যারা বিভিন্ন কারণে নিয়মিত চীনে যাতায়াত করেন তাদের প্রতি পরামর্শ, সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে। তাই এখনই চীন ভ্রমন না করে কিছুদিন পরে ভ্রমন করাই ভাল হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দুই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি হচ্ছে- ভাইরাসটি যেনো কোনোভাবেই দেশের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর, নৌবন্দরে আমরা মনিটরিং করছি, স্ক্যানার বসিয়েছি, পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্ক্যানারও সরবরাহ করা হয়েছে। বিমানবন্দরের প্রতি বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। সিভিল অ্যাভিয়েশন ডিপার্টটমেন্ট আমাদের সার্বক্ষণিক সবধরনের সহযোগিতা করছে। চীন থেকে যারা আসছেন, তাদের নজরদরিতে রাখা হচ্ছে। গত ১৫ দিনে চীন থেকে ২৮০৫ জন যাত্রী দেশে এসেছে। যাদের সবাইকে স্ক্যান করা হয়েছে। তাদের বৃত্তান্ত রাখা হয়েছে এবং তাদের শরীরে কোন উপসর্গ দেখা দিয়েছে সেটি নিয়মিত খোজ নেয়া হচ্ছে। এ সময় বিমানের পরিচালক জানান, চীন থেকে প্রতিদিনই ৪টি ফ্লাইট বাংলাদেশে আসে। এসব ফ্লাইটে ৪০০ থেকে ৫০০ যাত্রী আসা যাওয়া করে।
মন্ত্রী জানান, গত ১২ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এ ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি ম্যানেজম্যান্ট প্রটোকল প্রকাশ করেছে। যা ইতিমধ্যে সারাদেশের চিকিৎসকদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। দেশের যেকোন জেলায় রোগী পাওয়া গেলে যেন সেই প্রটোকল অনুযায়ী তার চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপণা গ্রহণ করা হয় সেই নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাস ‘চীনের উহান রাজ্যে আবির্ভাব ঘটেছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে শতাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু করণ করেছে। সংক্রমিত হয়েছে তিন হাজার। আরও ৫ হাজার লোক এর দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে ধারনা করা হচ্ছে। এই ভাইরাস পশু থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়, ইঁদুর-বাঁদুর থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি বলে ধারনা করা হচ্ছে। ভারইরাসটি সংক্রামক।
বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চীনা নাগরিকদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অনেক চীনা নাগরিক কাজ করেন। তারা যেসব এলাকায় থাকেন, সেসব এলাকায় বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে। তবে বেশি নজরদারি রাখা হচ্ছে বিমানবন্দরে। এই সময় যারা চীন থেকে বাংলাদেশে আসছেন, তাদেরও ১৪ দিন নজরদারীতে রাখা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, রাজধানীর একটি বেসরকরি হাসপাতালে একজন চীনা নাগরিক সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বর্তমানে সুস্থ, বাড়িতে ফিরে যেতে চাচ্ছেন। তবে তাকেও নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।
বিস্তার প্রতিরোধেই সর্বাধিক গুরুত্ব : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশে এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী সনাক্ত না হলেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ভাইরাস প্রতিরোধেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
গতকাল ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও বিস্তার প্রতিরোধে করণীয় ও প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক জরুরি বৈজ্ঞানিক সেমিনারের তিনি এসব কথা বলেন। ‘প্রাথমিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ও প্রয়োজনীয় জনসচেতনা সৃষ্টি এবং সময়োপযোগী ও জ্ঞানলব্ধ কার্যকরী গাইডলাইন তৈরির লক্ষ্যে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. মো. শহীদুলাহ সিকদার, প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, মেডিসিন অনুষদের ডীন প্রফেসর ডা. মো. জিলন মিঞা সরকার, শিশু অনুষদের ডীন ও সেমিনার সাব কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডা. মো. আবদুর রহিম, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সাইফ উলাহ মুন্সী প্রমুখ।
করোনাভাইরাস নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভাইরোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. মুনীরা জাহান, ব্যক্ষব্যধি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ এবং ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. নামজুল হাসান।
চীন থেকে দেশে ফিরতে আগ্রহীদের নিবন্ধন শুরু : চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সেখান থেকে ফিরে আসতে আগ্রহী বাংলাদেশীদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কতজন আসবেন তা নির্দিষ্ট হওয়ার পর সেখানে পাঠানোর জন্য বিমান নির্ধারণ করবে সরকার। তবে আগ্রহীদের দেশে ফেরানোর এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত চীনে যারা আছেন, তাদের সেখানকার সরকারের স্বাস্থ্যবিষয়ক নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে। গতকাল নিজের ফেসবুক পেজে এ বার্তা দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। চীন থেকে আগ্রহী বাংলাদেশীদের ফেরানোর সবশেষ আপডেট ও করণীয় জানিয়ে বার্তাটি দেন তিনি।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকা চীনের উহানে আটকা পড়া বাংলাদেশীদের ফেরাতে প্রয়োজনে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে চীন সরকারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। পরে চীনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের কারণে চীন থেকে বাংলাদেশীদের ফিরতে আরও ১৪ দিন লাগবে। ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধের লক্ষ্যে ১৪ দিন পর্যন্ত উহানে কাউকে প্রবেশ করতে দেবে না স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
কী ধরনের বিমান আমরা পাঠাব তা জানতে চেয়েছে চীন। যারা ফিরতে চান তাদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। আমরা দু-একদিনের মধ্যেই সঠিক ধারণক্ষমতার বিমানটি নির্ধারণ করতে পারবো ফিরে আসতে চাওয়া মানুষের সংখ্যার মাধ্যমে। আমি অনুরোধ করবো যে কয়েকটা দিন ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে, সেই সময় পর্যন্ত চীন সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা কোনো ব্যতিক্রম ছাড়া মেনে চলার জন্য। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু নিজের জীবনের স্বার্থে এবং ভাইরাসটি যেন তাদের কারও মাধ্যমে না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে চীনের স্বাস্থ্যবিষয়ক নির্দেশনাগুলো মেনে চলতেই হবে। শাহরিয়ার আলম বলেন, আমি আরও অনুরোধ করবো বাংলাদেশে থাকা তাদের পরিবারের সদস্যদের যেন চীনে থাকা তাদের আত্মীয়দের এই বার্তাটি পৌঁছে দেন এবং উদ্বুদ্ধ করেন। আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং অতিপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছেন। আমরা ঢাকা থেকে দূতাবাসের কার্যক্রমের সাথে সমন্বয় করছি এবং তদারকি করছি।
পদ্মাসেতু প্রকল্পে কর্মরত চীনা কর্মীদের ওপর বিশেষ নজরদারী : পদ্মাসেতু প্রকল্পে কর্মরত চীনা কর্মীদের মধ্যে যারা ছুটি কাটাতে চীনে গেছেন, আপাতত তাদের বাংলাদেশে ফেরা বন্ধ করা হয়েছে। আবার চীনা কর্মীদের মধ্যে যারা প্রকল্প এলাকায় রয়েছেন তাদের কেউ যেন চীনে যেতে না পারেন সে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেওয়ান আবদুল কাদের এ খবর নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনেক চীনা প্রকৌশলী ও কর্মী রয়েছেন। তবে দেশি-বিদেশি কোনও কর্মী এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের সিনিয়র অক্যুপেশনাল অ্যান্ড হেলথ স্পেশালিস্ট মাহমুদ হোসেন ফারুক। তিনি জানান, করোনাভাইরাসে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কোনও কর্মী আক্রান্ত নন। তবে এই ভাইরাসের যেহেতু কোনও ভ্যাকসিন নেই, তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যেগুলো নিতে হয়, সেগুলো নেয়া হচ্ছে।
এছাড়া পটুয়াখালীর কলাপাড়ার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত চীনা নাগরিকদের সতর্ক করেছে করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সেখানে প্রায় আড়াই হাজার চীনা নাগরিক কর্মরত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে চীনে। সরকারি হিসাবে, আক্রান্ত হয়েছে আরও চার হাজার ১৯৩ জন। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। মূলত চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। পরে অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, জার্মানি, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রেও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বিদেশে ছড়ানোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, চীনে সফর করেছেন এমন লোকজনের মাধ্যমেই ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।