রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা
বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রান্তিক মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় চলমান রয়েছে টিআর-কাবিখা প্রকল্প। কিন্তু সরকারের এমন মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সফলতা নিয়ে উঠেছে নানা অভিযোগ। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে লুটপাট হচ্ছে টাকা। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, সদর উপজেলার ৩ মাস মেয়াদে প্রকল্পটি শুরু হয়। প্রকল্পের কাজের ধরণ ধরা হয়েছে, মাটি কাটা, রাস্তাঘাট নির্মাণ, মসজিদ, মন্দির নির্মাণ, সংস্কার, সোলার প্যালেনসহ বেশ কয়েকটি কাজ বাস্তবায়ন করা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে এসব কাজের কোনটাই সঠিক নিয়মে করা হয় না। রাস্তার কাজে মাপ ঠিক না দিয়ে বিল উত্তোলন, সোলার প্যানেল ক্রয়ে ২০ ওয়ার্ডের জায়গায় বিল করা হয় ৪০ ওয়ার্ডের। আবার মসজিদ, মন্দির সংস্কার না করেই টাকা উত্তোলন। এ সব কিছুর মূলে দায়িত্বরত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার স্বাক্ষর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কোন তদারকি ছাড়াই টাকার বিনিময়ে স্বাক্ষর করছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অনেকের। সদর উপজেলার সুখান পুখুরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, ফয়জুল হক পলাশ জানান, প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে তদারকি হলে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য সফল হতো। কিন্তু লোক দেখানো তদারকি করে বিল পাস করে দিচ্ছেন পিআইও। তাই যে যেখানে সুবিধা নেয়ার কথা সুবিধা নিচ্ছেন। যদি এসব কাজের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসককে একটি তদন্ত টিম করার ব্যবস্থা করেন সরকার তাহলে কাজের সফলতা বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে বেশ কয়েক কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে। আমরা আরো ১৫ দিন বৃদ্ধি ব্যাপারে সুপারিশ করেছি। আর অনিয়ম কথায় হয়, আমার জানা নেই। আমরা চেষ্টা করি শতভাগ কাজ সম্পূর্ণ করার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।