রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর ব্রিজ সংলগ্ন কানসাট-কর্ণখালী খালে (ক্যানেল) সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পানি সেচে মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়, ওই খালে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সেচ কাজে ব্যবহৃত স্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচে মাছ শিকার করছে। ফলে ওই খালে মাছের পোনাসহ ছোট ছোট মাছ নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ।
সরজমিনে দেখা যায়, মির্জাপুর-কর্ণখালী বিলের অদূরে ওই খালে ৪-৫টি শ্যালো মেশিনে পানি ওঠিয়ে ওই এলাকার আমবাগানসহ পার্শ্ববর্তী জমিতে ফেলা হচ্ছে। সাবলিজ নেয়া ইব্রাহিম ও সেলিম ওই খাল লিজ নিয়ে পানি সেচে মাছ ধরার কথা স্বীকার করেছেন। প্রধান লিজ গ্রহীতার নাম জানতে চাইলে তারা জানান, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের দপ্তর থেকে বিলভাতিয়া-কর্ণখালী বিলের লিজ নেন গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরের সাবের আলী। তার কাজ থেকে শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ বালিয়াদিঘি গ্রামের আবদুস সালাম সাবলিজ নেয়। ইব্রাহিম ও সেলিমসহ বেশ কয়েকজন আবদুস সালামের কাছ থেকে পুনরায় তৃতীয় বার লিজ নিয়ে মাছ শিকার করছে। ইব্রাহিম আরও জানায়, মোট ৬ বছরের জন্য এই খাল লিজ নিয়ে মাছ শিকার করছে। এদিকে পানি সেচে মাছ শিকারের খবর পেয়ে দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েল কয়েকজন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে পানি সেচ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেও তারা কর্ণপাত করেননি।
জলাশয়ের লিজ সংক্রান্ত ও মাছ শিকার বিষয়ে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বরুণ কুমার মন্ডল বলেন, গত ২০০৯ সালে ২৫ জুন সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৭নং শাখা থেকে একটি গেজেট প্রকাশিত হয়। গেজেটে ৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ইজারাকৃত জলমহলগুলো কোন ক্রমেই সাবলিজ দেয়া যাবেনা। যদি সাবলিজ দেয়া হয়, তাহলে ওই জলমহলের ইজারা জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাতিল করবেন এবং জামানতসহ জমাকৃত ইজারা মূল্য সরকারের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত হবে। ওই ইজারা গ্রহীতা সমিতি পরবর্তী তিন বছর কোন জলমহলের ইজারা জন্য বা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। ২১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে. বন্দোবস্তকৃত/ইজারাকৃত জলমহলের কোথাও প্রবাহমান প্রকৃতির পানি আটকিয়ে রাখা যাবেনা। সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, কোন জলমহল/খাল সেচ যন্ত্র দিয়ে পানি সেচে মাছ শিকার করা যাবেনা। কেননা সম্পূর্ণ পানি সেচে ফেলা হলে মাছের পোনাসহ ছোট ছোট মাছ ধ্বংস হয়ে যাবে। পাশাপাশি ওই খালের সমস্ত জলজ প্রাণিও ধ্বংস হয়ে যাবে। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবে পরিবেশের। তিনি জানান, অবিলম্বে জলাশয় লিজ দেয়া ও নেয়ার সময় যে সমস্ত শর্তাবলী/বিধান/নীতিমালা রয়েছে, তা মেনে ওই খাল বা জলাশয়গুলোতে মাছ শিকার করা উচিত। এছাড়া মাছ শিকারের সময় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন/উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা জলমহল ইজারাদারের উচিত বলে মনে করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল আকতার জানান, জলমহলের ইজারাদারের বিষয়টি নীতিমালাগুলো জানা নেই। তবে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।