পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
এখন থেকে অনলাইনে ও মোবাইলের মাধ্যমে ভ্রমণ কর পরিশোধ করা যাবে। প্রাথমিকভাবে যশোরের বেনাপোল ও দর্শনা এবং খুলনার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণকারীরা এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে এ সুবিধা সব বন্দরে চালু করা হবে। চাইলে ভ্রমণকারী আগাম কর পরিশোধ করে রাখতে পারবেন।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিন্টোলে অনলাইনে ভ্রমণ কর পরিশোধ পদ্ধতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম অনলাইনে ভ্রমণ কর পরিশোধ পদ্ধতির উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকিং বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিদেশ ভ্রমণকারীদের অনলাইনে সেবা পেতে হলে প্রথমে এনবিআরের ওয়েবসাইটে রক্ষিত ফরম পূরণ করতে যাবে। ফরমে ভ্রমণকারীদের নাম (পাসপোর্ট অনুসারে), পাসপোর্ট নম্বর, যে বন্দর দিয়ে ভ্রমণ করতে চান তার নাম, মোবাইল নম্বর দিতে হবে। এরপর নিদের্শনা অনুসরণ করে ভ্রমণকারীরা ভিসা, মাস্টার কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস ও নেক্সাস কার্ড ব্যবহার করে কর পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্যে প্রাথমিকভাবে বিকাশ, রকেট ও ইউক্যাশের মাধ্যমে ভ্রমণ কর পরিশোধ করা যাবে। শিউরক্যাশ ও নগদ ব্যবহার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (কর তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবা) কানন কুমার রায় বলেন, প্রতিদিন দেশ থেকে স্থলপথে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ভ্রমণে অন্য দেশে যায়, যাদের ৯৫ শতাংশকে ভ্রমণ কর দিতে হয়। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এ কর পরিশোধ করতে গিয়ে ভ্রমণকারীরা অনেক ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার শিকার হন। সেই বিড়ম্বনা দূর করতে সোনালী ব্যাংকের সহায়তায় অনলাইনে কর পরিশোধের পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
বর্তমানে আকাশ পথে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ দূর পাচ্যের কোন দেশে গমনের ক্ষেত্রে যাত্রী প্রতি দুই হাজার ৫০০ টাকা, সার্কভুক্ত দেশে ৮০০ টাকা পরিশোধ করতে হয়। এছাড়া অন্যান্য দেশে এক হাজার ৮০০ টাকা ভ্রমণ কর দিতে হয়। স্থলপথে যেকোন দেশে ভ্রমণে ৫০০ টাকা ও জলপথে ভ্রমণে ৮০০ টাকা দিতে হয়। পাঁচ বছরের অধিক কিন্তু ১২ বছরের অনধিক বয়সের যাত্রীদের ক্ষেত্রে দেশ অনুযায়ী করের অর্ধেক হারে পরিশোধ করতে হয়। পাঁচ বছর বা তার কম বয়সী যাত্রী, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী, অন্ধ ব্যক্তি, বাংলাদেশি ও বিদেশি ক‚টনৈতিক ও তাদের পরিবার, বিমান ক্রু, হজ্জ ও ওমরাহ যাত্রী, বিমানকর্মীদের ভ্রমণ কর দিতে হয় না। সোনালী ও জনতা ব্যাংকে ভ্রমণ কর পরিশোধ করা যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ অর্থবছর এক হাজার ১০৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা ভ্রমণ কর আদায় হয়েছে। এরমধ্যে আকাশ পথে প্রায় ৯৮৪ কোটি, স্থলপথে ১২০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, অনলাইনে ভ্রমণ কর আদায় পদ্ধতি চালু রাজস্ব আদায়ের একটি নতুন মাত্রা যোগ হলো। এ খাতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সুযোগ, সম্ভাবনাগুলো বৃদ্ধি করার জন্য যেটি সহজ পদ্ধতি তা হলো স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং জনগণের ভেতরে সে বিষয়ে আস্থা অর্জন করা। জনগণ যেন জানতে পারে, তারা যে রাজস্ব দিচ্ছে তা সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় যাচ্ছে। সেটি অর্জন করতে হলে অটোমেশন ছাড়া বিকল্প কোন পথ দেখি না। অটোমেশনের মাধ্যমে একমাত্র সম্ভব স্বচ্ছভাবে জনগণের আস্থা অর্জন করে স্বচ্ছতার সাথে রাজস্ব আদায় করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।