বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
আবুল কাসেম হায়দার
এক সময় পাট আমাদের একমাত্র রপ্তানি পণ্য ছিল। তাই পাটকে সোনালী আঁশ বলা হতো। কিন্তু পাটের অবস্থান বর্তমানে সেই পর্যায়ে নেই। তবে সম্ভাবনাময় খাত। নতুন করে পাটের ‘জিন’ আবিষ্কারের ফলে পাটের উৎপাদন আগামীতে কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে পাট থেকে বহুবিধ পণ্য উৎপাদন করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারছি। আজকে দেশে তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানিতে প্রথম স্থান দখল করে আছে। এক সময় তৈরি পোশাক শিল্প আমাদের দেশে ছিল না। মাত্র ১৯৮৪ সাল থেকে ০.৮৩ শতাংশ মোট উৎপাদনের অংশ নিয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু। আর এখন মোট বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ৮৯ শতাংশ তৈরি পোশাক শিল্প দখল করে নিয়েছে।
আমাদের দেশে পাট জাত একমাত্র পণ্য যার পুরো কাঁচা পণ্য দেশে উৎপাদিত হয়। কোন রকম কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় না। দ্বিতীয় পণ্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। চামড়ার ও পুরো কাঁচামাল দেশে পাওয়া যায়। তাই এই দুইটি পণ্যের ব্যাপক ব্যবহার বাড়িয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পাট ও পাটজাত পণ্যের যতœ আমরা তেমন ভালোভাবে নিতে পারিনি। আমাদের ব্যর্থতার জন্য বিশ^বিখ্যাত পাটকল আদমজীকে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। অথচ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে বড় বড় পাটকল ইতোমধ্যে স্থাপিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে পাটকল পরিচালনায় সরকার দীর্ঘদিন ধরে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। এই ব্যর্থতার দায় থেকে সরকার কোন ভাবেই বের হয়ে আসতে পারছে না। দিন দিন যেন ব্যর্থতা সব সরকারকে খেয়ে ফেলছে। কিন্তু বাঁচতে তো হবে। সরকারকে পাটের ব্যাপারে সফল হতে হবে।
একটা ব্যাপারে আমরা অগ্রসর হয়েছি, তা হচ্ছে পাটের ‘জিন’ আবিষ্কার। যার ফলে আগামীতে পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। পাটের ব্যবহার বাড়বে। পাটের রপ্তানি আয়ও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। বেসরকারি উদ্যেগে আর ও নতুন নতুন পাটকল স্থাপিত হবে। এখন পাটের সোনালী স¦প্ন আমরা ফিরে পাব। আমাদের পুরনো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে। পাট চাষে সরকারকে বিশেষ প্রণোধনা দিতে হবে। পাট চাষিদের বিশেষ প্রণোধনা প্রদানের মাধ্যমে পাট উৎপাদন বৃদ্ধি করা যাবে। আর সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি খাতে পাট শিল্প স্থাপনে বেসরকারি উদ্যেক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। পাটে বর্তমানে যে ক্যাশ ইনসেপটি দেয়া হয় তা বৃদ্ধি করে পাট ব্যবস্থার মাত্রা সৃষ্টি করতে হবে। বিশে^র বিরাট বাজার আমাদের দখলে আনতে হলে পাটের নানাবিধ পাশর্^ পণ্য উৎপাদন করে বিশ^ বাজার দখল করতে হবে।
ব্যাংকের সুদের হার ৫ থেকে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। বর্তমানে দেশে সুদের হার অনেক বেশি। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত এখন ব্যাংকের সুদের হার। সারা বিশে^ ব্যাংকের সুদের হার ২ থেকে ৫ শতাংশ। এমন অনেক দেশ রয়েছে উল্টো ব্যাংক কে সুদ দিতে হয় ব্যাংকে অর্থ রাখার কারণে। ওই অবস্থা হয়তো আমাদের দেশে সহজে আসবে না। তবে আমরা সুদের হার, ব্যাংকের নানা চার্জ বেশ কমিয়ে আনতে পারি। এবং পারাও খুবই দরকার। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির জন্য ব্যাংকের সুদের হার অসম্ভব রকমে কমিয়ে আনা দরকার। শুধু পাটের জন্য নয় সকল রপ্তানিমুখী শিল্পের স্বার্থে ব্যাংকের এই সীমাহীন সুদকে দীর্ঘদিন চলতে দেওয়া কোন ক্রমেই উচিত নয়।
পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় বেড়েছে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই মে মেয়াদে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কিছুটা বেড়েছে। তবে অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় আলোচ্য সময়ে কাঁচা পাট রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়লেও কমেছে পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জুন মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৮৬ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আয় হয়েছিল ৭৯ কোটি ৮২ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এরমধ্যে ১১ মাসের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৫ কোটি ৪৩ লক্ষ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ৮২ কোটি ২৭ লক্ষ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের ১১ মাসের তুলনায় পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, পাটের সুতা ও কু-লী রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৫ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার, পাটের সুতা ও কু-লী রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ কোটি মার্কিন ডলার।
ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৪ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৮ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৪ শতাংশ ১৭ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে। এতে জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পাটের সুতো ও কু-লী রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫০ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের তুলনায় এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে। আলোচ্য সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার। ইপিবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় শূন্য দশমিক ০৭ শতাংশ কমেছে।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয় বেড়েছে : ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যরপ্তানিতে ৯২ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের এই সময়ের তুলনায় এই খাতে রপ্তানি আয় শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যরপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১১৩ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার। এরমধ্যে জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে এই খাতে আয় হয়েছিল ৯১ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যরপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২১ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। এরমধ্যে প্রথম ১০ মাসে এই খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৮ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৯২ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
চিংড়িং রপ্তানিতে ভাটা, আয় কমেছে ৯ শতাংশ : চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে হিমায়িত খাদ্য ও মৎস্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪৮ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার। যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ কম। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে হিমায়িত খাদ্য ও মৎস্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫২ কোটি ৯৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউরোপের বাজারে চিংড়ির দর কমে যাওয়া এবং রাশিয়াতে ডলারের বিপরীতে রুবলের দরপতনের কারণে চিংড়ি রপ্তানি আয় কমেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে হিমায়িত খাদ্য ও মৎস্য রপ্তানি আয়ে। তাছাড়া চিংড়ির উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তার ওপর চিংড়িতে রোগের আক্রমণের প্রবণতাও অনেক বেশি। ফলে উৎপাদনও কমেছে।
চারকোল উৎপাদন : পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল বাংলাদেশ নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এতে কৃষকরা পাট উৎপাদনে আবারও আগ্রহী হবে। এভাবেই সোনালী আঁশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে। নতুন এ খাতে যেসব সমস্যা রয়েছে তা সরকার অবগত আছে। দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে যদি ৫০ ভাগ পাটকাঠি চারকোল উৎপাদনে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন চারকোল উৎপাদন সম্ভব হবে। যা বিদেশে রপ্তানি করে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে সারা দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। চারকোল শিল্পকে একটি উদীয়মান শিল্প হিসাবে ঘোষণা দিতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও পাটজাত পণ্য হিসাবে ২০ ভাগ ক্যাশ ইনসেনটিভ পাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ শিল্প বিকাশে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সুযোগ দিতে হবে। এ শিল্পের জন্য দ্রুত পৃথক নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এছাড়া এ শিল্পের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা ও ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশে প্রথম ২০১২ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদন শুরু হয়। ওই বছরই সর্বপ্রথম চীনে এ পণ্য রপ্তানি করা হয়। বর্তমানে বিশে^র বিভিন্ন দেশে চারকোলের চাহিদা রয়েছে। দেশে এ পণ্য উৎপাদনের ব্যাপ্তি বাড়লে আগামীতে জাপান, ব্রাজিল, তুকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, কানাডা, মেক্সিকোসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে চারকল রপ্তানি সম্ভব হবে। বর্তমানে বিদেশে চারকোল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফেসওয়াস, ফটোকপিয়ারেরকালি, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, দাঁত পরিষ্কার করার ওষুধ।
এছাড়া বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে এ কার্বন ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১০-১২টি চারকোল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো; সানবিম কর্পোরেশন, মাহাফুজা অ্যান্ড আহান এন্টারপ্রাইজ, জামালপুর চারকল লিমিটেড ও রিগারো প্রাইভেট লিমিটেড। বর্তমানে জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে বাণিজ্যিকভাবে চারকোল উৎপাদন শুরু হয়েছে।
য় লেখক : সাবেক সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআই, বিটিএমএ, বিজেএমইএ, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।