বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
এস এম সাখাওয়াত হুসাইন
পবিত্র নগরী বায়তুল মুকাদ্দাস হচ্ছে মক্কা মু’আয্যামা ও মদীনা মুনাওয়ারার পরে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান যেখানে অবস্থিত ইসলামের প্রথম ক্বিব্লা মসজিদুল আক্বসা। হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) মক্কার মসজিদুল হারাম, মদীনার মসজিদুন্নবী ও বায়তুল মুকাদ্দাসের মসজিদুল আক্বসার উদ্দেশে সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন। হযরত রাসূলে আকরাম (সা.)-এর হিজরতের আগে মক্কায় এবং হিজরতের পরে মদীনায়ও বেশ কিছুদিন মসজিদুল আক্বসাই ছিল মুসলমানদের ক্বিবলা, পরে আল্লাহ্ তা’আলার আদেশে মক্কা নগরীর কা’বা ঘর ক্বিবলা হিসেবে নির্ধারিত হয়। হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এই মসজিদুল আক্বসা থেকেই মি‘রাজে গমন করেছিলেন। তাই বায়তুল মুকাদ্দাস দুনিয়ার অন্য অনেক ভূখ-ের মত কোন সাধারণ ভূখ- নয়। বায়তুল মুকাদ্দাস ও তার আশপাশের এলাকা তথা সমগ্র ফিলিস্তিন ভূখ- বহু নবী-রাসূলের (আ.) স্মৃতিবিজড়িত এবং কোরআন মজীদে এ পুরো ভূখ-কে ‘র্আদে মুক্বাদ্দাস্’ বা ‘পবিত্র ভূমি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং মসজিদুল আক্বসা, বায়তুল মুকাদ্দাস ও ফিলিস্তিনÑএ পবিত্র নামগুলো মুসলমানদের ঈমান ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই মসজিদুল আক্বসা, বায়তুল মুকাদ্দাস ও ফিলিস্তিনের প্রতি ভালবাসা প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত। হাদীস অনুযায়ী হযরত আদম (আ.) মক্কায় কা‘বা ঘর নির্মাণের চল্লিশ বছর পর বায়তুল মুকাদ্দাসে মসজিদুল আক্বসা নির্মাণ করেন, অতঃপর হযরত সুলায়মান (আ.) বায়তুল মুকাদ্দাসের এ পবিত্র মসজিদের পুনঃনির্মাণ করেন। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে উক্ত মসজিদ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
৬৩৮ খৃস্টাব্দে বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের অধিকারে আসে এবং পরবর্তীকালে উক্ত পবিত্র স্থান আবাদ করে সেখানে মসজিদুল আক্বসা ও কুব্বাতুস্ সাখ্রাহ্ (মসজিদ)সহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হয়। ১০৯৬ খৃস্টাব্দে ইউরোপের ক্রুসেডার খৃস্টানরা সমগ্র সিরিয়া ও ফিলিস্তিন দখল করে নেয়ার পর বায়তুল মুকাদ্দাসের বিভিন্ন ইসলামী স্থাপনায় পরিবর্তন করে, বিশেষ করে মসজিদুল আক্বসাকে গির্জায় পরিণত করে। এরপর ১১৮৭ খৃস্টাব্দে সালাহ উদ্দীন আইয়ুবী বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে পুনরায় মুসলমানদের অধিকারে নিয়ে আসেন। কিন্তু পরাজিত হওয়ার পর খৃস্ট শক্তি পিছু হটলেও ইহুদি চক্র বায়তুল মুকাদ্দাসের প্রতি লোলুপ দৃষ্টিতে তাকাতে থাকে। তারা ফিলিস্তিন ও মদীনাসহ মিসরের নীল নদ থেকে শুরু করে ইরাকের ফোরাত নদী পর্যন্ত বিশাল মুসলিম এলাকা নিয়ে বৃহত্তর ইসরাঈল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করে। ইহুদীবাদীরা তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে তুরস্কের তৎকালীন শাসক সুলতান আবদুল হামিদের নিকট ফিলিস্তিনে জমি কেনার অনুমতি চায় এবং এর বিনিময়ে তারা তুরস্কের সকল বিদেশী ঋণ পরিশোধ করে দেবে বলে অঙ্গীকার করে। সুলতান তাদের এ ষড়যন্ত্রমূলক প্রস্তাব মানেননি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইহুদিরা গোপনে জমি কিনতে থাকে।
১৯১৭ খৃস্টাব্দে বৃটিশরা ফিলিস্তিন দখল করে এবং এরপর স্যার হার্বাট স্যামুয়েল নামক একজন ইহুদিকে সেখানে বৃটিশ কমিশনার নিযুক্ত করে। এভাবে জমি কেনার মাধ্যমে বহিরাগত ইহুদিদের জন্য ফিলিস্তিনের দরযা খুলে যায়। পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যায়নবাদ নামে পরিচিত উগ্র ইহুদি মতবাদে বিশ্বাসী সংস্থাগুলোকে ফিলিস্তিনে বসবাস ও জমি কেনার জন্য কোটি কোটি ডলার প্রদান করে। ফলে অতি অল্প দিনের মধ্যেই বিরাটসংখ্যক বহিরাগত ইহুদি ফিলিস্তিনে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে। ইহুদিদের সংখ্যা বাড়তে থাকার কারণে আরব মুসলমানদের সাথে দাঙ্গা-হাঙ্গামা প্রতিদিনের ঘটনায় পরিণত হয়। অবশেষে বৃটিশ সরকার ফিলিস্তিনকে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেÑ যার ফলে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদী অবৈধ ইসরাঈল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভের পর ইহুদিরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং মুসলমানদের কচুকাটা করতে থাকে। তাদের অত্যাচারে জর্জরিত আরবরা জীবন বাঁচাতে দলে দলে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। এ সত্ত্বেও তখনও বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের দখলে ছিল। কিন্তু আরবদের দুর্বলতার মুখে ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাঈল যুদ্ধে তা মুসলমানদের হাতছাড়া হয়ে যায়। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের আবাসভূমি ও আল-কুদ্স (বায়তুল মুকাদ্দাস) উদ্ধারের জন্য রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চালিয়ে যেতে থাকে। তাদের সংগ্রামে দিশেহারা হয়ে ইহুদিবাদী ইসরাঈল ফিলিস্তিনী জনগণের মধ্যে ভাঙ্গন ধরানোর জন্য ফিলিস্তিনের একটি ক্ষুদ্র অংশে সীমিত স্বায়ত্তশাসনের কথা বলে কিছুসংখ্যক নেতাকে বিভ্রান্ত করে। তথাকথিত শান্তি আলোচনার সুযোগে তারা একে একে ফিলিস্তিনের প্রকৃত সংগ্রামী নেতাদের হত্যা করে চলেছে এবং ফিলিস্তিনের নতুন নতুন এলাকা দখল করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে, এমনকি ফিলিস্তিনে মানবিক ত্রাণসহায়তা পৌঁছাতে পর্যন্ত বাধা দিচ্ছে।
২০১১ সালে তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের ত্রাণসামগ্রীসহ জাহাজবহর ফ্লোটিলায় আক্রমণ চালিয়ে তারা ২০ জন বেসামরিক ত্রাণকর্মীকে শহীদ করে। এ ধরনের অমানবিক কার্যক্রম তারা এখনো অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া তারা ফিলিস্তিনের গাযা ভূখ-ে বার বার বিমান হামলা চালিয়ে নারী ও শিশু-বৃদ্ধসহ এ পর্যন্ত কয়েক হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে এবং হাজার হাজার বাড়িঘর, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। ইহুদীদের ষড়যন্ত্র ও ধ্বংসলীলা আজ ফিলিস্তিনী ভূখ-ে সীমাবদ্ধ নেই। সমগ্র মধ্যপাচ্যে, বিশেষ করে সিরিয়া, ইরাক, ইয়ামেন, লিবিয়া, বাহরাইনসহ গোটা আরব বিশ্বে মুসলিম দেশ সমূহে যায়নবাদী আগ্রাসন ছড়িয়ে পড়েছে। যায়নবাদী ষড়যন্ত্রের ফাঁদে কোন কোন মুসলিম শাসক পতিত হয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যার শিকার হয়েছে। কোটি মুসলিম নিজ বাড়ী-ঘর থেকে বিতাড়িত হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এবং সেখানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকে সাগরে ডুবে মরছে। আবার বোম্বিং করে বিভিন্ন স্থাপত্য শিল্প মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরও বিশ্ববাসীর ঘুম ভাঙছে না, বিশ্ব মুসলিমও ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে না। তাই বিশ্ব মুসলিমের প্রতি আকুল আহ্বান, ইহুদিবাদী ঈসরাইলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী চলছে ইহুদিবাদের নেপথ্যে পরিচালনার সাম্রাজ্যবাদীদের মহানাটক। এ নাটকের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। মাঝেমধ্যেই ইউরোপ আমেরিকায়ও এর কিছুটা আঁচ লাগে। নাটকের উদ্দ্যেশ্য একটাই। মধ্যপ্রাচ্য তথা মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্রস্থলে বৃহত্তর ইসরাইল রাষ্ট্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং শান্তির ধর্ম ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে প্রমাণ করে নতুন প্রজন্মের কাছে বিতর্কিত করা। ধারণা করা হচ্ছে আল-কায়েদার পরে ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদীদের প্রয়োজনে সৃষ্টি হয়েছে ‘আইএস’Ñ যারা ইসলাম ও খিলাফতের নাম ভাঙ্গিয়ে শিয়া-সুন্নি নির্বিশেষে হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করছে। মজার ব্যাপার আইএসের একটি গুলিও ইসরাইলের দিকে নিক্ষিপ্ত হয়নি। সিরিয়ার শাসকদের উচ্ছেদের জন্য আইএসসহ একাধিক গ্রুপ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। কার্যত সিরিয়া এখন বহুধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। ইরাকের অবস্থাও একই। ইরাকের সরকারের বিরুদ্ধে আইএস কুর্দীসহ বিভিন্ন গ্রুপ যুদ্ধ করছে। ওদের টার্গেট ইরাককে টুকরা টুকরা করা। ইয়ামেনে হুতিদের উত্থানে শংকিত হয়ে সৌদি নেতৃত্ব বহুজাতিক বাহিনীর নামে ইয়ামেন দখলের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। নির্বিচারে গণহত্যার শিকার হচ্ছে ইয়ামেনের মুসলমানরা। ইতোমধ্যে গদি হারানের ভয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ শেখ, আমীর ওমরাহ-বাদশা সৌদি নেতৃত্বে এসব যুদ্ধে সামিল হয়ে গেছে। আর এসব চলছে ইসলামের বিভিন্ন গ্রুপ তথা শিয়া-সুন্নি, ওয়াহাবী, নুসাইরীসহ বিভিন্ন মাজহাবী গ্রুপের নামে।
চির প্রতারক সন্ত্রাসী ইহুদীবাদীদের পরিকল্পনা ছিল গোটা আরব বিশ্ব দখল করার। কিন্তু ফিলিস্তিনীদের দীর্ঘ সংগ্রামের পাশাপাশি অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের জনগণও আজ জেগে উঠছে। তারা নিজ নিজ দেশে শান্তি ও মুক্তির সংগ্রামের পাশাপাশি ফিলিস্তিনীদের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইহুদী আগ্রাসনের শুরুর দিন থেকেই কোন না কোন গ্রুপ প্রতিরোধ সংগ্রাম করে যাচ্ছে। হামাস, আল জিহাদ, হিযবুল্লাহ এ ক্ষেত্রে আশা জাগানিয়া ভূমিকা রাখছে। ফলে সাম্প্রতিক দশকে তিনবার ইসরাঈল যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে। ওআইসি, ন্যাম, জাতিসংঘ সবসময়ই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে প্রস্তাব পাশ করে আসছে। বিশ্বজনমত আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং আরব বিশ্বের ক্যান্সার খ্যাত ইসরাঈলের বিপক্ষে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও আল কুদ্স মুক্তির দাবীতে সোচ্চার বিশ্বের সকল ইসলামী পক্ষ। শিয়া-সুন্নী, আরব-অনারবসহ সবাই বিশ্ব মুসলিমের ঐক্য ও আল কুদ্স-ফিলিস্তিনের মুক্তির কথা বলে। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনের মুক্তি ও বায়তুল মুকাদ্দাস পুনরুদ্ধারের নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং এ বিপ্লবের মহান নেতা হযরত ইমাম খোমেইনী (রহ্.) মসজিদুল আক্বসাসহ সমগ্র ফিলিস্তিনের মুক্তির লক্ষ্যে মুসলিম উম্মাহকে প্রতি বছর রামাযানের শেষ শুক্রবারকে ‘আল-কুদ্স দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য আহ্বান জানান এবং সেই থেকে প্রতি বছর সারা বিশ্বে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এরই পাশাপাশি ইহুদিবাদী চক্রের এজেন্টরা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে উগ্রবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীসমূহ সৃষ্টি করেছে। যারা পরস্পরকে কাফির ফতোয়া দিয়ে হত্যাকা- চালিয়ে যাচ্ছে। এইসব জঙ্গি গোষ্ঠী নিজেদেরকে ইসলামী বলে দাবি করলেও ফিলিস্তিন-আল কুদ্স এর ব্যাপারে যেমন কোন কথা বলে না তেমনি ইসরাইলের সন্ত্রাসী কর্মকা-েরও প্রতিবাদ করে না। উপরন্ত মধ্যপ্রাচ্যে তাদের উগ্র হাঙ্গামার কারণে ফিলিস্তিন ও আল কুদ্স ইস্যু ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। এতে আল কুদ্সের মুক্তির ব্যাপারটা মুসলমানদের দৃষ্টির অন্তরালে চলে যাচ্ছে।
আবার ইসলামের দোহাই দিয়ে মাযহাবী বিতর্ক চাঙ্গা করে ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে দিচ্ছে। তারা নিরীহ নারী-পুরুষ ও শিশুদেরকেও নির্বিচারে হত্যা করছে। ষড়যন্ত্রকারীরা নতুন নতুন দল ও উপদল সৃষ্টি করে সমরাস্ত্র, অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে যুদ্ধের বিস্তার ঘটানোর মাধ্যমে মুসলমানদের শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টায় নিয়োজিত হয়েছে। একই সাথে তারা এই কর্মকা-ের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের মূল সমস্যা ফিলিস্তিনের বিষয়টি থেকে মুসলমানদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে দেয়ার এবং মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্যের বীজ বপন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এসব ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাঈল সকল দিক থেকে নিজেদের রাষ্ট্রের ভীতকে শক্তিশালী করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় মুসলিম উম্মাহর উচিত ইহুদিবাদীদের গভীর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং তাদের প্রচার-প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হয়ে আল-কুদসের মুক্তি সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়া।
য় লেখক : সাংবাদিক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।