Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যাংকে গ্রাহক সেবা বাড়াতে আউট সোর্সিংয়ে গুরুত্বারোপ

বিআইবিএম’র কর্মশালায় বক্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:৩৯ পিএম

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) আর্থিক সেবা খাতে আউট সোর্সিং বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা ব্যাংকিং খাতে গ্রাহক সেবা বাড়াতে আউট সোর্সিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, ব্যাংক খাতে আউট সোর্সিংয়ের অনেক ক্ষেত্র আছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এ বাজার ধরতে না পারলে বিদেশী প্রতিষ্ঠান দখলে নেবে। এখনই বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘আউটসোর্সিং ইন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সেক্টর’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম’র প্রফেসর এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। কর্মশালার সভাপতিত্ব এবং উদ্বোধন করেন বিআইবিএম’র মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। বিআইবিএম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউট সোর্সিং (বাকো) এবং এলআইসিটি প্রকল্প এ কর্মশালার আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ব্যাংকখাত গড়তে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ব্যাংক খাতের কিছু বিনিয়োগ ব্যয়বহুল। এজন্য শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে যাতে খরচ কমানো সম্ভব হবে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৭০০ বিলিয়ন ডলারে যেয়ে ঠেকবে। এজন্য ব্যাংক খাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, পেপারলেস অফিস এবং ক্যাশলেস সোসাইটি গড়তে কাজ করছে সরকার। এজন্য অবকাঠামো এবং নীতি সহায়তা দিচ্ছে সরকার।

বিআইবিএম’র মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ব্যাংক আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো আরও ভালো ব্যাংকিং সেবা গ্রাহকদের দেওয়া সম্ভব। তবে কিছু ঝুঁকি রয়েছে তা বিবেচনায় নিয়ে সর্তকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

বাকো’র সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আউট সোর্সিংয়ের বাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। এক লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

ডেবনেট লিমিটেড’র চেয়ারম্যান এ কে এম সাব্বির মাহমুদ বলেন, বৈশ্বিক ব্যাংকিং যেভাবে চলছে তার সংঙ্গে মানানসই ব্যাংকিং ব্যবস্থাও দেশে প্রচলন করতে প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়াতে হবে। অটোমেশন হলে মনিটরিং খুব সহজ হয়। এতে স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা বাড়ে।

বিআইবিএম’র সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান আলম বলেন, ব্যাংকিং খাতে অনলাইন লেনদেন গত কয়েক বছরে অতি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ব্যাংক সম্পদের ৫ গুণ। ব্যাংক খাতে আউট সোর্সিংয়ের অনেক ক্ষেত্র আছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এ বাজার ধরতে না পারলে বিদেশী প্রতিষ্ঠান দখলে নেবে।

এলআইসিটি প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ব্যাংক আউট সোর্সিং করলে অনেক সব পক্ষই লাভবান হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিআইবিএম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ