পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা কর্মশালার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর একটি বড় অংশের পরিপূর্ণ তথ্য ও প্রযুক্তি ভালনারেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড পেনিট্রেশন টেস্টিং (আইটি ভিএপিটি) নীতিমালা নেই। কিন্তু ব্যাংকের আইটি ঝুঁকি কমাতে সমন্বিত ভিএপিটি নীতিমালা জরুরী। যা ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের অনুমোদনের মাধ্যমে তৈরি করা উচিত। যা আইটি ঝুঁকি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘আইটি ভালনারেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড পেনিট্রেশন টেস্টিং ইন ব্যাংকস’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম’র প্রফেসর এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস.এম. মনিরুজ্জামান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম’র মহাপরিচালক ড. আখতারুজ্জামান।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম’র ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা; বিআইবিএম’র সুপারনিউমারারি প্রফেসর এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী; বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দেবদুলাল রায়; ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুর রশিদ এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের চীফ ডিজিটাল অফিসার শ্যামল বি. দাশ।
কর্মশালায় মূল গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মো. শিহাব উদ্দিন খান।
এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ই-ব্যাংকিং কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। একই সঙ্গে ই-কমার্স, ই- পেমেন্ট এবং স্বয়ংক্রিয় ক্লিয়ারিং হাউজ সিস্টেম এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। এর মাধ্যমে ইউটিলিটি বিল, অনলাইন লেনদেনসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আইটি সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে একটি কমিটি তৈরি করতে হবে। যারা সমস্যাগুলো চিহ্নত করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করবে। ব্যাংকগুলোকে নিজেদের আইটি নিরাপত্তাকে আরও জোর দিতে হবে।
ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, ব্যাংকের গ্রাহকদের সব ধরণের সুরক্ষা দিতে হবে। যাতে গ্রাহকদের মধ্যে কোন অনাস্থা তৈরি না হয়।
হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংকের নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। আইটি নিরাপত্তার খরচকে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
দেবদুলাল রায় বলেন, সাইবার নিরাপত্তায় বিশেষজ্ঞ তৈরি করা কঠিন। তবে ব্যাংকের কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে নিজেদের উদ্যোগ নেওয়া জরুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।