Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাঙ্গুয়ার হাওরে ৩৫ প্রজাতির ৫১ হাজার ৩৬৮টি জলচর পরিযায়ী পাখি গণনা

ফয়সাল আমীন | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২০, ৩:৫৬ পিএম

সিলেটের হাওর, বাঁওড়, বিলসহ অসংখ্য জলাশয় এখন অতিথি পাখির স্বর্গরাজ্য। সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরকে পরিযায়ী পাখির স্বর্গ বলা যায়। এবার টাঙ্গুয়ার হাওরে ৩৫ প্রজাতির ৫১ হাজার ৩৬৮টি জলচর পরিযায়ী পাখি গণনা করা হয়েছে।
চলতি বছর বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন, ওয়ার্ল্ড বার্ড মনিটরিং ও বাংলাদেশ বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত পাখি শুমারিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ১৫ জানুয়ারি থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে ১০ দিনের পাখি গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ শুরু হয়। যা শেষ হবে আগামী ২৫ জানুয়ারি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি ইনাম আল হক, আইইউসিএন’র গবেষক সাকিব আহমেদ, জেনিন আজমিরী, রিবাউন্ড বার্ড ক্লাবের সদস্য পল থমসন ও যুক্তরাজ্যের পাখি পর্যবেক্ষক জেমস পেন্ডারসহ একটি দল পাখি শুমারি চালায়। ওয়ার্ল্ড বার্ড মনিটরিংয়ের মুখ্য গবেষক ও আইইউসিএন’র বাংলাদেশের মুখ্য গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, আইইউসিএন ও লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় ওয়ার্ল্ড বার্ড মনিটরিং প্রোগ্রাম টাঙ্গুয়াতে পাখি শুমারি ও পাখির গায়ে স্যাটেলাইট রিং পরানোর যাবতীয় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, চলতি বছর পাখি শুমারিতে আমরা ৫৩ প্রজাতির ৫১ হাজার ৩৬৮টি জলচর পাখি পেয়েছি। এর মধ্যে সর্বাধিক নয় হাজার ৯২৫টি পাতি কুট পাখির দেখা মিলেছে। লাল মাথার ভুতিহাঁস পেয়েছি আট হাজার ৩৯৪টি, পাতি তিলিহাঁস সাত হাজার ২৭৮টি, লেঞ্জাহাঁস পাঁচ হাজার এবং ইউরেশীয়-সিঁথিহাঁস চার হাজার ৮৪৬টি। তবে এর মধ্যে অনেক বিরল ও বিপন্ন পাখির দেখা পেয়েছি আমরা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১২০টি খয়রা কাস্তেচরার দেখা মিলেছে। এবারও পাখির গায়ে স্যাটেলাইট রিং পরানো হচ্ছে জানিয়ে গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, গত বছর আমরা ৪৪টি পাখিকে রিং পরিয়েছি। ওই ৪৪টি পাখির মধ্যে বেশ কিছু এবছর ফিরে এসেছে। এর মধ্যে দুটি পাখি হাওরে রয়েছে। জানুয়ারিতে পাখির সংখ্যা ৫১ হাজার থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে তা দুই লাখে পৌঁছাবে জানিয়ে এই গবেষক বলেন, পানি যত কমবে জলজ উদ্ভিদ তত ভেসে উঠবে। জলজ উদ্ভিদ এসব জলচর পাখির প্রধান খাবার। খাবার ভেসে উঠলে এদের আগমন বাড়বে। ধারণা করছি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দেড় থেকে দুই লাখ পাখির আগমন ঘটবে এখানে। গত জানুয়ারি মাসে প্রায় দেড় লাখের মতো পরিযায়ী পাখি টাঙ্গুয়াতে ছিল। কারণ তখন পানি কম ছিল। জলজ উদ্ভিদ ভেসে উঠেছিল।



 

Show all comments
  • md anwar hossain ২১ জানুয়ারি, ২০২০, ৪:৪৪ পিএম says : 0
    শিক্ষামুলক সংবাদেরর জন্য ধন্যবাদ,,.............এমন প্রতিবেদন আরও চাই ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ