বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ শহরের হামদহ কালীমন্দির পাড়ায় সোলাইমান হোসেন বিপ্লব (৪০) নামে এক ঠিকাদার তার নিজ অফিসে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায় সোলাইমান বিপ্লব শহরের কাঞ্চনপুর পাড়ার মুন্সি সিরাজুল ইসলামের ছেলে। মৃত্যুর আগে বিপ্লব নিজ অফিসের দেয়ালে সুইসাইড নোট লিখে গেছেন। তাতে লেখা আছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আবু তালেব, প্রোপ্রাইটার ইমন এন্টারপ্রাইজ, কুটুম কমিউনিটি সেন্টারের মালিক এবং মনি (আজিজ ডা. ছেলে)। আমি তালেবের লাইসেন্সে যশোর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি তৈরির কাজ করি। তাদের নিজ স্বাক্ষর করা খরচ বাদ দিয়ে আমার পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বারবার তাদের দুয়ারে ধর্না দেই। কিন্তু একটা বিল থেকে আমাকে কোনো টাকা দেয়নি বরং তালেব মনিকে দিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এই বলে যে, ‘তোর লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না...।’ এভাবে মৃত্যুর কারণ লিখে আত্মহত্যা করেন ঠিকাদার সোলায়মান হোসেন বিপ্লব। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, দুপুরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে বিপ্লবের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, মৃত্যুর আগে বিপ্লব তার অফিসের দেয়ালে কালি দিয়ে কুটুম কমিউনিটি সেন্টারের মালিক আবু তালেব ও ডা. আজিজের ছেলে মনির নাম উল্লেখ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিপ্লবের ভাই শামিম হায়দার রিংকু বলেন, ব্যবসা করতে গিয়ে সে অনেক লস খেয়েছে। বিপ্লবের সর্বক্ষণের সাথী সুমন জানান, ঠিকাদারি করতে গিয়ে বিপ্লব অনেক ঋণে জড়িয়ে পড়েন। ইসলামী ব্যাংকেও তার অনেক ঋণ রয়েছে। মানুষের কাছে বিপ্লবও অনেক টাকা পাবেন, কিন্তু তারা পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি দিত। দেনায় জর্জরিত বিপ্লব হতাশা থেকেই মূলত আত্মহত্যা করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।