পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাম বিশ্বরোড হলেও দু’পাশে সারিবন্ধ রাখা ট্রাক ও বাস দেখে মনে হয় এটি একটি টার্মিনাল! আর এমন দৃশ্য রাজধানীর আন্ত:জেলা সায়দাবাদ বাস টার্মিনালের বাইরে থেকে মালিবাগ রেল গেট সড়কে নিয়মিসত দেখা যায়।
জানা গেছে, সায়দাবাদ থেকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা অনেক ব্যস্ততম একটি রাস্তা। ওই সড়কে প্রতিদিন ভারি যান চলাচল করে। কিন্তু বাস ও ট্রাক রেখে অঘোষিত টার্মিনাল বানিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে করে বিশ্বরোডে বেড়েছে যানজট। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্টদের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন স্থানীয়রা।
আবুল হোসেন নামের ব্যবসায়ী জানান, তিনি সপরিবারে খিলগাঁও রেল গেট এলাকায় বসবাস করেন। সেই সুবাধে তার এক সন্তান মুগদা এলাকায় একটি স্কুলে লেখাপড়া করে। প্রতিদিন খিলগাঁও থেকে মুগদা যেতে হয় তাদের। কিন্তু রাস্তার পাশে রাখা বাস ও ট্রাকের কারণে রাস্তায় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। তার মত এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সায়দাবাদ থেকে মালিবাগ রেল গেট যাওয়ার পথে মানিক নগর ও মুগদা এলাকায় রাস্তায় ডান পাশে আন্ত:জেলা রুটে চারটি কোম্পানির দূরপাল্লার বাসের কয়েকটি কাউন্টার রয়েছে। আর সেই কাউন্টারের সামনেই রাস্তায় বাস রাখা আছে। শুধু তাই নয়, কাউন্টারে পাশবর্তী এলাকাগুলোতেও বাস সারিবদ্ধভাবে বাস রাখা আছে। এমন দৃশ্য বছরের পর বছর চললেও যানজট ও ভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা নেই বলে স্থানীয়রা জানান।
অপরদিকে সায়দাবাদ থেকে মালিবাগ রেল গেট যাওয়ার পথে বিশ্বরোডের দুই পাশের চিত্র একই। মানিকনগর, কমলাপুর রেল স্টেশনের এলাকা, বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের উল্টো দিকে সারিবব্ধভাবে বড় বড় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান রাতদিন পার্ক করে রাখা হয়। আবার কোথাও কোথাও রাস্তার মধ্যেই বাস-ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মেরামতের কাজ চলে।
এছাড়াও আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উল্টো দিকের রাস্তা যেন লেগুনা স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। একই অবস্থা কমলাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের উল্টো দিকেও। সেখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে। আর সেই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করেন কমলাপুর রেল স্টেশনে আসা যাত্রীরা। নাম প্রকাশ না করে লেগুনার দুইজন চালক জানান, ‘ম্যানেজ’ করেই যাত্রী নিয়ে চরাচল করার জন্যই লেগুনা রাখা হয়।
খিলগাঁও রেল গেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্বরোডের দুই পাশে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা লাইন করে রাখা। সড়কের উপর থেকে যাত্রী নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন চালকরা। বিশ্বরোডেরা খিলগাঁও রেল গেট থেকে মালিবাগ অংশের দুই পাশ যেন ভারি ও হালকা যানবাহনের পার্কিংয়ের নির্ধারিত স্থান!
খিলগাঁও রেল গেট থেকে মালিবাগ রেল গেট এই অংশের ফুটপাতের উপর অবৈধভাবে একটি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। ওই অফিসে একটি আলমারি, একটি টেবিল ও কয়েকটি চেয়ার রয়েছে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, একজন লোক বসে রয়েছেন। তিনি নিজেকে ম্যানেজার পরিচং দিয়ে জানান, চালকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাস চালক জানান, সিটি সার্ভিসের বাস খিলগাও রেল গেট থেকে মালিবাগ রেল গেটের রাস্তার দু’পাশে রাখা হয়। এসব বাস মতিঝিল, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১৪, ১০, ২, ১, শ্যামলী, আসাদগেট, ধানমন্ডি ২৭, ৩২, কলাবাগান, সাইন্সল্যাব, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, পল্টন, গুলিস্তান, আরামবাগ, কমলাপুর, বাসাবো ও খিলগাঁও রুটে চলাচল করে।
চালকদের কথায়, সিটি সার্ভিসের নির্ধারিত কোনো টার্মিনাল না থাকায় তারা মালিকদের সিদ্ধান্তে বাধ্য হয়েই বাস খিলগাঁও এলাকায় বিশ্বরোডের দুই পাশে রাখেন। এর ফলে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে অসুবিধা এবং যানজট স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে। এদিকটি নজরে দিলে চালকরা বলেন, তাদের কিছুই করার নেই। মালিকরা কাকে কিভাবে ‘ম্যানেজ’ করে রাস্তার দুই পাশে বাস রাখার ব্যবস্থা করেছেন তা তারাই বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ডিএমপির ট্রাফিকের (পূর্ব বিভাগ) ডিসি সাহেদ আল মাসুদ ইনকিলাবকে বলেন, রাস্তা থেকে গাড়িগুলো সরানোর জন্য একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। আগের চাইতে রাস্তায় গাড়ি কম রাখা হয়। খিলগাঁও থেকে মালিবাগ রেল গেট এলাকার যে বাসগুলো রাখায় হয় সেগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, সেই এলাকায় তেমন যানজট নেই। তবে যানজট হলে সেখান থেকেই বাসগুলো সরিয়ে দেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।