পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেছেন, সততা, আদর্শ নিয়ে আমরা কাজ করবো। কল্যাণকর কাজ করার মধ্য দিয়ে যুবলীগ সাধারণ মানুষের মন জয় করবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করবে। সেজন্য যুবলীগের ইমেজ সংকট ফিরিয়ে আনা এবং যোগ্য নেতৃত্ব তৈরীতে যুবলীগকে ঢেলে সাজানো হবে।
সম্প্রতি ইনকিলাবের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। নিখিল বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ জানিয়েছেন ‘আই হেট পলিটিক্স’ জনগণকে রাজনীতিমুখি করবেন। যুবলীগ চেয়ারম্যানের এই কথাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে পুরো যুবলীগকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি আমরা। যাতে করে যুবলীগের নাম দিয়ে কোন অপকর্ম না হয়, কল্যাণকর কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে পারে যুবলীগ।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুবলীগের ইমেজ সংকট দূর করতে বিতর্কিত, মাস্তান, দখলবাজ, স্বাধীনতা বিরোধী চেতনার কারো আর যুবলীগ করার সুযোগ নেই। যুবলীগ হবে সবচেয়ে বেশি পরিচ্ছন্ন সংগঠন। কেন্দ্র হতে তৃণমূল প্রতিটি ইউনিটে যুবলীগে স্বচ্ছ ইমেজ ফিরিয়ে আনা হবে। যুবলীগের প্রতিটি ইউনিটে স্থান পাবে মুজিব আদর্শের ত্যাগী নেতারা। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় নিজেকে নিবেদিত রাখবে।
তিনি বলেন, নেত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন যুবলীগতে তার ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে। আমি বিতর্কমুক্ত যুবলীগ গড়তে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার প্রত্যয় নিয়েছি। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশও এব্যাপারে কঠোর আছেন। তিনি ইতোমধ্যে বেশ কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন। সিটি নির্বাচনের পরপরই আমরা বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবো। যেখানে যেখানে সম্মেলন প্রয়োজন সেখানে সম্মেলনের ঘোষণা দিব।
কেন্দ্রীয় পূনাঙ্গ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ইতোমধ্যে ১৫’শ মতো বায়োডাটা দফতরে জমা পড়েছে। বর্তমানে আমরা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছি। এছাড়া আমাদের গঠনতন্ত্রের বেশ কিছু নেত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। তিনি সিদ্ধান্ত দিলেই আমরা কমিটি গঠনের কাজ শুরু করবো। কমিটিতে কারা মূল্যায়ন পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা দীর্ঘ সময় যুবলীগ করছেন, সাবেক ছাত্রনেতা, অনেক ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ হতেও কাউকে যুবলীগে আনা হতে পারে। অনেকেই এখন যুবলীগে আসতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর যুবলীগের সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ঢাকা শহরে আমাদের থানা কমিটি গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল না, আগামীতে থানা কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া সারাদেশের যেখানেই কমিটি গঠন করা হবে সেখানের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বায়োডাটা কেন্দ্রীয় যুবলীগকে পাঠাতে হবে। আমরা নেতাদের সকল বিষয় খোঁজ খবর নিব এবং যাচাই-বাছাই করবো। যদি কেউ কোন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে আমরা তাকে পদ দিব না।
নিখিল বলেন, আল্লাহ দরবারে হাজার কোটি শুকরিয়া। আর নেত্রীর দূরদর্শিতার কারণে আজ আমি এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি। নেত্রী আমাকে মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তিতে সভাপতির দায়িত্বদিয়ে ছিলেন। এবার আমাকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক করেছেন। নেত্রী প্রখর এ স্মৃতি শক্তির প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা এবং তার আস্থার মর্যাদা আমি রাখবো।
ঢাকার দুই নির্বাচন নিয়ে যুবলীগের পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজের পর থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে যুবলীগের নেতাকর্মীরা নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিটে সব শ্রেনীর পেশার মানুষের সমন্বয়ে নির্বাচনি টিম গঠন করেছি। তারা কাজ করছে এবং তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সমন্বয় করতে কেন্দ্রীয় নির্বাচনি টিম। চেয়ারম্যান এবং আমি প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে। নেত্রী কেন উত্তর আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণে শেখ ফজলে নূল তাপসকে মনোনয়ন দিয়েছেন তা তুলে ধরছি। দুই প্রার্থী যোগ্যতা এবং ঢাকাকে ঘিরে তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরে ভোটাদের কাছে ভোট প্রার্থণা করছি। আশা করি ৩০ জানুয়ারি দুই সিটিতেই নৌকা বিপুল ভোটে পায় পাবে।
উল্লেখ্য, মাইনুল হোসেন নিখিল ১৯৯১ সালে যুবলীগের রাজনীতিতে আসেন। তৎকালীন ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আহŸায়ক কমিটির যুগ্ম আহŸায়ক ছিলেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকা মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ষষ্ঠ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। গত বছরের ২৩ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের কাউন্সিল অধিবেশনে যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হিসেবে শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক হন মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।