পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলায় দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন স্থায়ী জামিন পেয়েছেন। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ (বিশেষ আদালত) কেএম ইমরুল কায়েশ এ জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৮ নভেম্বর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল ইসলামের ডিভিশন বেঞ্চ তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দুদকের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইনকিলাব। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ নভেম্বর ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২), ২৭ (১) ধারায় মামলা ঠুকে দেয়া হয়। এজাহারে ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে ‘সম্পদের তথ্য গোপন’ এবং ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন’র অভিযোগ আনা হয়।
তবে গতকালের জামিন শুনানিতে তার কৌঁসুলি সৈয়দ আহমেদ গাজী বলেন, দুদক এজাহারে যে সম্পদের মালিক এ এম এম বাহাউদ্দীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি আদৌ এসব সম্পদের মালিক নন। দুদক তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরুর বহু আগেই এসব সম্পত্তি হস্তান্তর করে তিনি নিঃস্বত্ববান হয়ে গেছেন। অন্য ব্যক্তির সম্পত্তিকে দুদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারে দুদকই বরং তথ্য গোপন করেছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানিমূলকভাবে মামলা দায়ের করেছে।
তিনি বলেন, ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান শুরু করে। অথচ এর আগেই তিনি সম্পত্তি বিক্রি করে নিঃস্বত্ববান হয়েছেন। ভালোভাবে অনুসন্ধান না করেই যেনতেন প্রকারে একটি মামলা ঠুকে দেয়া হয়েছে। ইনকিলাব সম্পাদককে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা, তার মানহানি এবং হয়রানির উদ্দেশেই এ মামলা। আমরা আশা করছি, সুষ্ঠু তদন্ত হলে কমিশন এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। এ হেন হয়রানিমূলক মামলায় তার স্থায়ী জামিন প্রত্যাশা করছি।
এর জবাবে দুদকের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ এম এম বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে ২০১৬ সালে। তার এ বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে আদালত বলেন, এজাহার তো সেটি বলে না। এখানে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ইনকিলাব সম্পাদককে নোটিস করা হয়েছে- মর্মে উল্লেখ রয়েছে। নোটিস করার আগে দুদক কি করেছে সেটি হিসেবে আসতে পারে না। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ এম এম বাহাউদ্দীনের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর ১ কোটি ৭০ লাখ ২৯ হাজার ৪৩৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৮৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।