পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও পূজা একসঙ্গে হবে, এটি সাংঘর্ষিক হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি আইন, সরস্বতী পূজা, এসএসসি পরীক্ষাসহ সব বিবেচনায় নিয়ে সর্বোত্তম দিন হিসাবে ৩০ জানুয়ারি ঠিক করেছিল। হিন্দু স¤প্রদায়ের নেতাদের আবেদন ছিল ভোটের তারিখ পরিবর্তনের। কমিশনও তাদের সঙ্গে বসেছিল, তাদের কথা শুনেছে। কী কারণে ভোটের তারিখ ৩০ জানুয়ারি করা হয়েছে তাও বলেছেন। আর তারা আদালতে যে রিট করেছিল, আদালত সব পক্ষের কথা শুনে রিট খারিজ করেছেন। ফলে ভোট আয়োজনে বাধা নেই। ফলে নির্ধারিত ৩০ জানুয়ারি তারিখেই ভোট আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিচ্ছি।
গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ সিটি নির্বাচন পেছানোর রিট খারিজ করে দেন। এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, পরিস্থিতি অবনতি হবে, কেন এটা বলেছেন তা আমাদের বোধগম্য হয়নি। তারাও যারা ধার্মিক, তারাও জানেন যে, আইন-শৃঙ্খলা মানতে হয়। সবাই সচেতন নাগরিক। নির্বাচন জমে উঠেছে। সবাই নির্বাচনমুখী। আমরা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা আশা করি না। এরপরও তারা আদালতে গেছেন। যে রায় এসেছে তারাও নিশ্চয় তা মাথা পেতে নেবেন। ভুল-ভ্রান্তি থাকলেও সবাই হয়তো বুঝবে ৩০ জানুয়ারি ভোটের সিদ্ধান্ত বৃহত্তর স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে। একটা সুন্দর দিন বেছে নেওয়া হয়েছে। কারোরই কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
তিনি বলেন, কমিশন যেটা বলেছে, সব স্কুলে কিন্তু পূজা হয় না। বাকি স্কুলে যেখানে পূজা হবে, সে জায়গাটা ছেড়ে দেবে। আবার সরকারি অনেক অফিস, আদালতেও পূজা হয়। সেখানে অনেক রুম থাকে। তাই যেখানে পূজা হবে, সে রুম ছেড়ে দিয়ে অন্য রুমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। পূজার জায়গায় পূজা চলবে, নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন হবে। রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনেও দূর্গাপূজার দশমী ছিল। সেখানে তো কোনো সমস্যা হয়নি। নির্বাচনও হয়েছে, প‚জাও হয়েছে একই প্রতিষ্ঠানে পশাপাশি। কোনো সমস্যা তো হয়নি। শাহবাগে অবরোধ করেছে রায়ের পর, পরে কী হতে পারে, কী ব্যবস্থা নেবে ইসি- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, আদালত যেখানে রায় দিয়েছে, সেখানে আপনাদের-আমাদের-কমিশনের তো কোনো বিষয় নেই। রায়ের প্রতি তো তাদের শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। তারা আপিল করলে করতে পারেন। আপিলের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। নির্বাচন ও প‚জা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের তো কিছু নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।