Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষমতাসীনরা আবারও কলঙ্কিত নির্বাচন করতে চায়

মতবিনিময়ে ইশরাক হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী আবারও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে কলঙ্কিত নির্বাচন করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরা হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এবং সমর্থকসহ বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ণের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে। নির্বাচন থেকে সরে যেতে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শণের মাধ্যমে প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সরকারের এধরণের আচরণে এটি সুষ্পষ্ট যে, অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আবারও অতীতের জাতীয় নির্বাচনের মতো ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে নির্বাচনকে কলঙ্কিত করতে চায়।

গতকাল বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণ নির্বাচন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু, বিশেষ বক্তা ছিলেন- সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল। উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ঝিলন প্রমূখ। এছাড়াও সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দল দক্ষিণের সভাপতি এসএম জিলানী এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের সিদ্ধান্তে ভোটাররা ক্ষুব্ধ হলেও নির্বাচন কমিশনের টনক নড়ছে না। ইভিএম ব্যবহারে ইসির অটল সিদ্ধান্তে প্রমাণিত হয় যে, তারা সরকারের আজ্ঞাবাহী হয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, এই মূহুর্ত থেকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে ইভিএম পদ্ধতি বাতিলসহ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত নতুন করে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দায়ের ও গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে।

শফিউল বারী বাবু বলেন, নির্বাচন কমিশন বর্তমান সরকারের ইচ্ছা পূরণে তৎপর রয়েছে বলেই তারা আবারও ৩০ ডিসেম্বরের মতো ভোট ডাকাতির সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায়। আর এক্ষেত্রে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারে ইসির সিদ্ধান্ত সেটিরই প্রমাণ। আওয়ামী অবৈধ সরকার পরিস্কারভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে, ভয়াবহ দু:শাসনের কারণে সরকারের প্রতি জনগণ অতিষ্ঠ। আর জন্যই জনগণের সমর্থন নয়, বরং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা রক্ষায় সরকার পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হলে তাদের নিশ্চিত পরাজয় হবে জেনেই রাষ্ট্রশক্তি ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও প্রহসনের মাধ্যমে নিজেদের দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার।

আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল বলেন, বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন সরকার গণতন্ত্রকে কবরস্থ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহারের মাধ্যমে গায়ের জোরে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। জনগণের ভোটের অধিকারকে কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল এবং ভয়াবহ দুঃশাসনের কারণে বর্তমান সরকারকে আর একমূহুর্ত রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ। আর এজন্যই জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে দেশের জনগণ ও বিরোধী দলগুলোকে পরাস্ত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা সারাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে সরকার। আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও ভীতিমুক্ত করতে হলে এই মুহূর্তে বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ওপর নিপীড়ণ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি করপোরেশন নির্বাচন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ