Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেষ হলো চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

৩১ বছর পর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

লালদীঘি ময়দানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভার আগে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা মামলার ৩১ বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেনের আদালতে চট্টগ্রাম গণহত্যা হিসাবে পরিচিত এ মামলার ৫৩তম সাক্ষী আইনজীবী শম্ভুনাথ নন্দীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্তির আবেদন করলে আদালত তাতে সায় দেন। তারপর রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের ৩৪২ ধারায় যাচাই করেন। শেষে বিচারক ১৯ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন।

বিশেষ জজ আদালতের পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শম্ভুনাথ নন্দী প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। আশা করি, দ্রæত রায় ঘোষণা করা হবে। আগামী ২৪ জানুয়ারি লালদীঘি গণহত্যার ৩২ বছর পূর্ণ হবে। এইচ এম এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘিতে আওয়ামী লীগের জনসভা ছিল। ওইদিন শেখ হাসিনাকে বহনকারি ট্রাকটি আদালত ভবনের দিকে আসার সময় গুলিবর্ষণ শুরু হয়। বিভিন্ন সময় এ মামলার সাক্ষীরা আদালতে বলেছেন, ওইদিন পুলিশের গুলিতে মোট ২৪ জন মারা যান। গুলিবর্ষণের পর দলীয় নেতাকর্মী ও আইনজীবীরা মানববেষ্টনি তৈরির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করে আইনজীবী সমিতি ভবনে নিয়ে গিয়েছিলেন। গুলিতে নিহতদের কারও লাশ পরিবারকে নিতে দেয়নি তৎকালিন সরকার। হিন্দু-মুসলিম নির্বিচারে সবাইকে বলুয়ার দীঘি শ্মশানে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

এরশাদের পতনের পর ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু বিএনপি সরকারের সময়ে মামলার কার্যক্রম এগোয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। আদালতের আদেশে সিআইডি মামলা তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রথম এবং অধিকতর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র দেয়, যাতে আসামি করা হয় আট পুলিশ কর্মকর্তাকে।

তারা হলেন- তৎকালিন পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদা, কোতোয়ালি অঞ্চলের পেট্রোল ইন্সপেক্টর জে সি মন্ডল, কনস্টেবল আব্দুস সালাম, মুশফিকুর রহমান, প্রদীপ বড়–য়া, বশির উদ্দিন, মো. আবদুল্লাহ ও মমতাজ উদ্দিন। এদের মধ্যে রকিবুল হুদা, বশির উদ্দিন ও আব্দুস সালাম মারা গেছেন। জে সি মন্ডল পলাতক আছেন। বাকি চারজন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেন। মামলার বাদি শহীদুল হুদা মারা গেছেন। মারা গেছেন সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি আব্দুল কাদেরও।

ওই দিনের ঘটনায় নিহতরা হলেন- মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথলেবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণহত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ