Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বকেয়া বেতনের দাবিতে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি

প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা : দৈনিক মজুরি বর্ধিত ১৬ টাকা হারে গত চার মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সরকারি মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) পাঁচটি চাবাগানের ছয় হাজার শ্রমিক আজ মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালন করেছেন। তবে পরে বেতন পাওয়ার আশ্বাসে আগামীকাল বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দেবেন তাঁরা।
এই পাঁচটি চাবাগান হলো কমলগঞ্জের মাধবপুর, মদনমোহনপুর, পাত্রকলা, কুরমা ও চাম্পারায়।
গত বছর চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৬৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৫ টাকা করে চাবাগান মালিকদের সংগঠন চা সংসদ।
কর্মবিরতিতে থাকা শ্রমিকদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে বর্ধিত বেতন কার্যকর হলে মাধবপুর, মদনমোহনপুর, পাত্রকলা, কুরমা ও চাম্পারায় চাবাগানে ওই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু পরের মাস থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত চার মাসের দৈনিক বর্ধিত ১৬ টাকা হারে জনপ্রতি চা শ্রমিকদের প্রায় তিন হাজার টাকা বকেয়া প্রদান করা হয়নি। ফলে কমলগঞ্জের এই পাঁচটি চাবাগানের ছয় হাজার শ্রমিক আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু ধলই ভ্যালির (অঞ্চলের) সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা বলেন, অন্যান্য চাবাগানের শ্রমিকদের গত বছরের জানুয়ারি থেকে বর্ধিত বেতন দেওয়া হলেও এই পাঁচটি চাবাগানে এখনো চার মাসের বর্ধিত বেতন আটকে রাখা হয়েছে। তাই শ্রমিকেরা আন্দোলন করছেন।
এনটিসির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ঈদের আগে এত টাকা (প্রায় তিন কোটি) একসঙ্গে ব্যাংক থেকে তোলা যাচ্ছে না। তবে আগামী ৪ জুলাই বকেয়া পরিশোধ করা হবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলেন, ৪ জুলাই বকেয়া দিয়ে দেয়া হবে কর্তৃপক্ষের এমন আশ্বাসে শ্রমিকেরা আগামীকাল কাজে যোগে দেবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ