রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কসহ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, পর্যটন শহর কক্সবাজারের উন্নয়ন কাজ শুরু হলে নাগরিক সমাজের পাশাপাশি মিডিয়া কর্মীদের সহযোগিতা লাগবে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় কউক মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে কউক চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান প্রধান সড়কের উন্নয়ন কাজের বিবরণ তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড় হতে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত মোট ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়ক প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে অনাপত্তির জন্য পাঠান। গত বছরের ১৬ জুলাই এ সড়কটি একনেকে পাশ হয়।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর মোট ৭টি কোম্পানির প্রস্তাব থেকে প্রাথমিকভাবে তিনটি কোম্পানিকে কাজের জন্য বাছাই করা হয়। প্রস্তাবনা মূল্যায়ন কমিটি কারিগরী ও আর্থিক প্রস্তাব মূল্যায়ন করে ১৭ নভেম্বর। ডিজাইন প্লানিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট নামে কোম্পানির প্রস্তাবটি নির্বাচন করা হয়। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কোনো একটি মানা না হলে পুরো প্রকল্পই আটকে যেতো।
তিনি বলেন, গত ১২ জানুয়ারি প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটিতে এই প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করেছে। এরপর আমাদেরকে অফিসিয়াল চিঠির মাধ্যমে এটি জানানো হবে। এটা পাবার পর আমরা কাজ শুরুর নির্দেশ দিতে পারব। পরবর্তীতে রাস্তার ড্রয়িং-ডিজাইন সম্পন্ন হলে আমরা টেন্ডারে যাবো। অনুমোদন পেলে কাজ শুরুর আদেশ দেয়া হবে।
লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান বলেন, কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড় হতে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটিকে দুইভাগে ভাগ করে একযোগে কাজ শুরু করা হবে। এই সড়কটিতে ড্রেন ও ফুটপাথ থাকবে, রাস্তার দু’পাশের সাইনবোর্ডগুলো একই রকমের হবে। আরো থাকবে ওয়াইফাই, সিসিটিভি ক্যামেরা। রাস্তার দু’পাশ হতে বৈদ্যুতিক পিলারগুলো সরাবে পিডিবি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছ থেকে এই রাস্তাটা নেয়ার পর থেকে তিনবার রিপেয়ার করা হয়। আমি জানি প্রধান সড়কের কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মানুষের মন জয় করা সম্ভব হবে না। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে গত রোববার সকাল থেকে আরেকদফা সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। মূল কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত প্রধান সড়ক মেরামতের কাজ অব্যাহত থাকবে।
অত্যাধুনিক একটি সড়ক পাবার জন্য আপনাদেরকে কমপক্ষে ২ বছর কষ্ট করতে হবে। রাস্তার প্রশস্ততা নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে কউক চেয়ারাম্যান বলেন, হলিডে মোড় হতে হাশেমিয়া মাদরাসা পর্যন্ত রাস্তার প্রশস্ততা হবে ৫০ ফুট। এরপর থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত রাস্তা ১০০ ফুট চওড়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে কউকের পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলো প্রকল্প পরিচালক লে. কর্ণেল ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার-উল-ইসলাম, সচিব আবু জাফর রাশেদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।